প্রসঙ্গ : -ফুড রিভিউ এবং নেশায় বিরানি খাওয়া|| আমার বাংলা ব্লগ||১০%to @shy-fox
শুভেচ্ছা ও স্বাগতম
আমি মো : আশিকুজ্জামান আশিক। বাংলাদেশ থেকে আপনাদের মাঝে।সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি সকল ভাই ও বোনেরা এবং এই কমিউনিটির সকল মডারেটর এবং ফাউন্ডার। আশা করি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে।
প্রথমে সকলকে জানায় আন্তরিক ভাবে দুঃখিত কারণ আমি গত ৩-৪ দিন অসুস্থতার কারণে পোস্ট করতে পারিনি। কোভিড ১৯ এর প্রথম ডোজ দেওয়া পর হঠাৎ করে শরীরটা এত পরিমাণে অসুস্থ হয়ে যায় জ্বর এ যে উঠে কিছু করার মত ক্ষমতা ছিল না আমার। আমি পোস্ট করতে না পারায় সুমন ভাই এর আন্ডারে ছিলাম তাই তাকে জানিয়েছিলাম এখন থেকেই নিয়মিত পোস্ট করব আশা করা যায়।
তো সুস্থ হয়ে আবারো আপনাদের মাঝে চলে এসেছি দেখা হবে এখন প্রতিদিন। বন্ধুদের সাথে কাটানো অসাধারন মুহুর্ত আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আর নেশায় যখন বিরানি খাওয়া সেই গল্প এবং বিরানি এর ফুড রিভিউ নিয়েই হাজির আপনাদের মাঝে।
কলেজ শেষে আমরা চা খাওয়ার জন্য বের হলাম। চা খেতে খেতে হঠাৎ করে আমার মাথায় আসলো বিরানি খাওয়ার ভূত। বিরানী অনেকদিন খাবো খাবো করে খাওয়া হচ্ছে না। তাই প্রসঙ্গ টা তুললাম বন্ধুদের মাঝে তিনজন ছিলাম আমরা। তো আমি বলতে সবাই এক কথায় রাজি হয়ে গেল কারণ আমরা অনেকদিন ধরেই বলছিলাম যে বিরানি খাব কিন্তু কাছে টাকা না থাকার কারণে বিরানি খাওয়ার হচ্ছিল না। এই বলে হুট করে প্লান হয়ে গেল আমাদের বিরানি খাওয়ান। তারপর আমি বললাম এখন না গিয়ে এখানে বসে একটু আড্ডা দেই চা খেতে খেতে।
সন্ধ্যা হলে আমরা বিরানি খেতে যাব নান্না বিরানি হাউজ। দিনাজপুরের নান্না বিরিয়ানি হাওজ এ বিরিয়ানি টা খেতে বেশ ভালোই হয়। এই বলে আড্ডা দিতে দিতে আমরা নান্না বিরানি হাউজের সামনে চলে গেলাম।
তারপর হঠাৎ করে আরও দুইটি ফ্রেন্ড কে ডাকলাম কারণ আমরা সবাই সবসময় একসাথেই থাকি তাই ওদের ছাড়া খাব কেমন একটা না। ওদের সেদিন একটু কাজ ছিল বলে আমাদের সাথে আসতে পারেনি। তারপর তাদেরকে কল দিয়ে ঢাকা হল এবং বিরানির কথা বলতেই কেন জানিনা দৌড় মেরে চলে আসলো তারা দুইজন। আসলে খাওয়ার কথা শুনলে মনে হয় সবাই দৌড়ে আসে আর বন্ধুদের মতো ছেচড়া কোথাও আছে বলে মনে হয় না।
বসে কথা বলতে বলতেই বিরিয়ানির অর্ডার দিয়ে দিলাম।আমাদের কমবেশি সবারই কাচ্চি বিরানী খুব পছন্দ ছিল তাই 5 প্লেট কাচ্চি বিরানি হাফ করে অর্ডার দেওয়া হল। প্রতি প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানির দাম ছিল ২২০ টাকা করে।
তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসলো আমাদের বিরানি। আর কি সবাই হামলে পড়লাম বিরানি খাওয়ার উপর।
বিরিয়ানির সাথে নিয়েছিলাম বোরহানি কারণ বোরহানি না হলে কি বিরানি জমে। এই বলেই সবাই খাওয়া শুরু করে দিলাম। সত্যিই খুবই সুন্দর রান্না হয়েছিল বিরানি টা এবং বোরহানি টা টাটকা ছিল খেয়ে মনে হলো বিরানি আর বোরহানি মিলে একদম ক্ষীর হয়ে গেল আমাদের খাওয়ার মজাটা।
সব মিলিয়ে আড্ডা এর সাথে বিরিয়ানি খাওয়াটা জমে গিয়েছিল এবং অসাধারণ মুহূর্ত ছিল আমাদের।
সত্যিই বিরিয়ানি টা অসাধারন ছিল এবং এই রেস্টুরেন্টে প্রথম আমার বিরানি খাওয়া। এর আগে কোন রেস্টুরেন্টে খেয়েছি তবে এই রেস্টুরেন্টে না। তবে বিরিয়ানি টা সত্যিই খুব ভাল ছিল।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মো: আশিকুজ্জামান আশিক।বাংলাদেশ থেকে। আমি একজন ছাত্র। দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করি।আমি সব সময় কথায় না কাজে বিশ্বাস করি।আর আমি স্বাধীন প্রিয় মানুষ।মনের বিরূদ্ধে কোনো কাজ করি না।নতুন নতুন বিষয় জানতে ও শিখতে খুব আগ্রহী আর নতুন কোন কিছু শিখতে পারলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আমার সখ বই পড়া,গান শুনা এবং ঘোরাঘুরি যা আমার বেশ ভালো লাগে।
বিরানি খেতে আমি খুবই ভালোবাসি আমি নিজে একজন বিরিয়ানি লাভার। আমি সুযোগ পেলেই বিরানী খেতে চলে যায় এটি খুবই সুস্বাদু একটি খাবার । আপনি বিরিয়ানি রিভিউ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ,আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। আপনার প্রতিও শুভকামনা রইল।
আসলেই বিরিয়ানি কার না প্রিয় খাবার। আমার তো খুবই ভালো লাগে বিরিয়ানি খেতে। আমরা তো প্রায় সময় বিরিয়ানি খেতে চলে যাই। কারণ বিরিয়ানি আমার অনেক অনেক বেশি পছন্দের। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে বিরিয়ানি খেতে তো আরো ভালো লাগে। তেমনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে বিরিয়ানি খেলেন আপনি। আসলে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত এইটা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি বিরানি আমার খুবই পছন্দের খাবার। ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।