চাউল ভাজা দিয়ে ভিন্নরকম স্বাদের রেসিপি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাউল | এক কাপ |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
লবন | স্বাদমতো |
পেঁয়াজ | ১ টা |
কাচা মরিচ | ৩ টা |
হলুদ গুঁড়া | ১/৪ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১/৪ চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১/৪ চা চামচ |
পাঁচফোড়ন গুঁড়া | ১/৪ চা চামচ |
চিনি | স্বাদমতো |
প্রস্তুত প্রণালী:
পর্যায়ক্রমে:
প্রথমেই রেসিপিটি করার জন্য পরিষ্কার করে এক কাপ পরিমাণ চাউল নিয়েছি। চাউলগুলো একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
চুলায় কড়াই বসিয়ে গরম করে নিয়েছি। তারপর কমিয়ে দেয়ার পর অল্প অল্প করে চাউল ভেজে নিয়েছি। এভাবে সবগুলো চাউল ভেজে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
এভাবে সবগুলো চাউল হালকা করে ভেজে রেখে দিয়েছি।
ভেজে নেয়া চাউল গুলো পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি। ভাজা চাউল গুলো নরম হওয়ার জন্য ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে অপেক্ষা করেছি।
কিছুক্ষণ পর যখন দেখলাম নরম হয়ে গিয়েছে তখন পানি ঝরিয়ে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রেখেছি।
এখন চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তেল দিয়ে গরম করে নেয়ার পর সেখানে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজকুচি ও মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি কিছুক্ষণ ভেজে নেয়ার পর ভিজিয়ে রাখা ভাজা চাউল গুলো কড়াইতে ঢেলে দিয়েছি।
এখন কড়াইতে স্বাদমতো লবণ দিয়েছি।
সবগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ভুনিয়ে নিয়েছি। হালকা তাপে ভুনা করতে হবে তা না হলে নিচে লেগে যাবে।
জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া ও পাঁচফোড়ন গুড়া পরিমানে একটু বেশি নেওয়া হলেও সবগুলোর মিশ্রণ থেকে ১/৪ চা চামচ গুড়া মশলা দিয়েছি।
এই পর্যায়ে আমি স্বাদমতো চিনি দিয়েছি। চিনির পরিমাণ আপনাদের রুচি অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে। আবার অনেকেই চিনি না দিয়েও খেতে পারেন।
এখন আমি খুব সামান্য পরিমাণে হলুদ দিয়েছি। আপনারা ইচ্ছা করলে হলুদ নাও দিতে পারেন। তবে হলুদ দিলে কালারটা খুব সুন্দর আসে।
সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আরো পাঁচ থেকে সাত মিনিট ভালোভাবে ভুনিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত:
হঠাৎ করে নতুনভাবে চাউল ভাজা খাওয়ার ইচ্ছাটাকে পূর্ণতা দেয়ার প্রচেষ্টা। জানিনা সফল হতে পারবো কিনা সেই দুশ্চিন্তাও মাথায় ছিল। তাই অনেক চাপ নিয়ে রেসিপিটি সম্পন্ন করলাম। খাওয়ার পর সবাই এক বাক্যে পাস মার্ক দিয়ে দিল। আমি নিজেও অবশ্য খেয়ে দেখেছি। অসাধারণ হয়েছিল খেতে। বানিয়ে বলছি না আপনারাও রেসিপিটি অনুসরণ করে বাসায় ট্রাই করতে পারেন। আমার কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
চাল ভাজা দিয়ে খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।ছাএ জীবনে মাঝে মাঝে খাওয়া হতো।এখন আর খুব একটা খাওয়া হয় না।চাল ভাজার ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। যে কেউ চাইলে বানিয়ে খেতে পারবে।
রেসিপিটি খেতে আসলেই বেশ মজার।
আরেহ বাহ এজে দেখি পুরায় ভিন্ন ধর্মী একটি রেসিপি।আমার মনে হয় খেতেও দারুন হবে।বাড়িতে একদিন ট্রাই করে দেখা যেতে পারে।
ভিন্নরকম ভাবে ভিন্নস্বাদের রেসিপিটি বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে শুধু চাউল ভাজা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।। নামেও ভিন্ন রকম কাজেও ঠিক ভিন্ন রকম রেসিপিও প্রস্তুত করেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল
আসলেই ভাই ভিন্ন রকম স্বাদ পেয়েছিলাম।
চাউল ভাজা দিয়ে ভিন্নরকম স্বাদের রেসিপি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । আসলেই রেসিপিটা ভিন্ন এমন ধরনের রেসিপি আগে কখনো খাইনি বা দেখিনি কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ।বাড়িতে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখব ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইউনিক এই রেসিপিটি খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু।
ওয়াও অসাধারণভাবে আপনি আজ আমাদের মাঝে চালভাজা দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে এমন রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। না জানি খেতেও কত মজার ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ খেতে অনেক মজা হয়েছিল। আপনিও বাসায় ট্রাই করতে পারেন।
চাল ভাজা দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে চাল ভাজা খেতে আসলেই খুব মজা লাগে। এত সুন্দরভাবে একটি পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাউল ভাজা একটু ভিন্ন ভাবে খাবার ইচ্ছা থেকেই রেসিপিটি করা।
চাউল ভাজা দিয়ে ভিন্নরকম স্বাদের রেসিপি। শেয়ার করেছেন বাহ্ বাহ্ দারুন হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেস্টি হয়েছে লোভনীয় খাবার আমার ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
রেসিপিটি খেতে আসলেই অনেক টেস্টি ছিল। বিভিন্ন রকম একটি স্বাদ পেয়েছিলাম।
চাল ভাজা দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন, ছোটবেলায় একবার খেয়েছিলাম। খেতে অনেক মজা লাগে। ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার কাছেও বেশ মজাই লাগলো। প্রথমবার খেয়েছিলাম তাই মনে হয় একটু বেশি ভালো লেগেছে।
চাউল ভাজা দিয়ে ভিন্নরকম স্বাদের রেসিপি দেখে ভালোই লাগলো। আসলে চাল ভাজা খেয়েছিলাম অনেক দিন আগে। আজকে চাল ভাজি দেখে অনেক খেতে মন চাচ্ছে।
চাউল ভাজা দিয়ে ভিন্ন রকম স্বাদের রেসিপি করে আমি নিজে অনেক আশ্চর্য হয়ে গেছি। কারণ অসাধারণ হয়েছিল খেতে।
চাউল ভাজা দিয়ে ভিন্ন রকম স্বাদের একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় মনে হয়েছে। ধন্যবাদ এত মজাদার একটি রেসিপি তুলে ধরার জন্য।
হঠাৎ করে আইডিয়াটা মাথায় চলে এসেছিল তাই করে ফেললাম। খেতে অসাধারণ ছিল।