গ্রামের সকাল একটু তাড়াতাড়ি শুরু হয় ||ফটোগ্রাফি পর্ব - ২||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
আমরা শহরে থেকে কখনো উপলব্ধি করতে পারিনা কি পরিমাণ কষ্ট করে কৃষক ভাইয়েরা ফসল ফলায়। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ধান কাটা মাড়াই সম্পন্ন করার পরে অনেক রাত অব্দি চাল তৈরি করা প্রক্রিয়া চলতে থাকে। আমি কয়েক মাস আগে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেগুলো দেখেছিলাম। যাইহোক বেশ কিছুদিন পর গ্রামে এসে সকালবেলা ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে হাঁটতে খুব ভালো লাগছিল। কখন যে এতটা সময় পার হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সকাল সাড়ে দশটা বাজে। আসলে রোদের তীব্রতা কম থাকার কারণে বুঝতে পারিনি। খুব তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পড়লাম।
সকালবেলা হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ইতিমধ্যে সেখান থেকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি প্রথম পর্বে শেয়ার করা হয়েছিল। এখন আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাঘের মাসি বিড়াল আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মনে হয় আমাকে চিনতে পারেনি বলে তার এতো ভাবনা। বাইরের দেওয়ালের উপর পাহারাদারের মতো বসে আছে। কে কোন দিক দিয়ে ঢুকছে বেরোচ্ছে সেগুলো লক্ষ্য করছে। আমার তো মনে হচ্ছে কোন কিছু শিকার করার জন্য চুপ মেরে আছে।
এই ফলটি আমরা সবাই চিনি আবার অনেকে নাও চিনতে পারি। কারণ শহর অঞ্চলে চালতার গাছ আমি নিজেও খুব একটা লক্ষ্য করিনি। শুধুমাত্র গ্রামে আসলেই দেখতে পাওয়া যায়। আমি উপরের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে পায়ের মধ্যে চালতা টা লেগে হোচট খাই। তখনই এটাকে নিচে পড়ে থাকতে লক্ষ্য করি। চালতা ঠিকমতো সবাই না চিনলেও এর আচার কিন্তু আমরা সবাই খেয়েছি বিশেষ করে ছাত্র জীবনে স্কুলে।
সকালবেলা টিপটিপ করে দুই এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়েছিল। ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কিছু কচু পাতার উপরে বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখি। ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম বৃষ্টির পর কচুর পাতায় জমে থাকা পানি দিয়ে খেলতাম। পাতার উপর স্বচ্ছ পানি গুলো ঠিক যেন মুক্তার দানার মত দেখতে। সারিবদ্ধভাবে অনেকগুলো কচু পাতার উপরে পানি জমে থাকতে দেখে খুব ভালো লাগলো।
এই দৃশ্যগুলো ভালো না লাগে উপায় আছে বলেন তো ? শহরে এই দৃশ্যগুলো দেখার আশা করাটাও বোকামি। একদম সকালবেলাতেই যখন বেরিয়ে আসি তখন এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। হয়তোবা কিছুক্ষণ আগেই আশেপাশের কোন বাসা থেকে হাঁসগুলো বেরিয়ে এসেছিল। হাঁস যেখানে পানি পায় সেখানেই খাবার খোঁজার জন্য নেমে পড়ে। এখানেও ধানের চারা রোপন করা জমিতে পানি পেয়ে খাদ্যের সন্ধানে নেমে পড়েছিল।
আগেই বলেছিলাম এখানে প্রত্যেকটা মাঠ পরিপূর্ণ কোথাও এতটুকু ফাঁকা জমি নেই। কোন জমিনে হয়তো যারা রোপন করা সম্পন্ন হয়েছিল। কোথাও কৃষকরা চারা রোপনের কাজে ব্যস্ত। আবার কোথাও বীজ বপন করার পর যে চারা হয়েছিল সেগুলো উঠানোর কাজে ব্যস্ত। কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলো তাদের জমিতে চারা রোপণ করা শেষ হয়েছে। এখন অতিরিক্ত চারাগুলো হাটে নিয়ে বিক্রি করবেন।
এই সময় গ্রামের পথে প্রান্তরে হাঁটতে মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। অনেক চির চেনা সেই গন্ধ একদম গায়ে মাখতে ইচ্ছা করে। ছোটবেলা যখন গ্রামে যেতাম তখন বিভিন্ন অজুহাতে গায়ে কাদা মেখে খেলতাম। স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। ঠিক সেই মুহূর্তে ছেলে মেয়েদের কথা খুব মনে পড়ছিল। আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য খুব কাছে থেকে তাদের দেখাতে ইচ্ছা হয়েছিল। আবারো একদিন সময় করে বাচ্চাদের নিয়ে গ্রামে যেতে হবে। গ্রাম থেকেই যে আমাদের জীবনের শুরু এটা এখনকার ছেলে মেয়েদের জানানো অত্যন্ত জরুরি।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A-10 |
---|---|
ফটো | @mayedul |
লোকেশন | w3w location |
সকালে গ্রামের প্রকৃতির দৃশ্য গুলো অসাধারণ ছিল ভাইয়া, যা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। আপনি ঠিক বলেছেন, গ্রামের সকালটা একটু তারাতারি হয়।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য আসলেই অসাধারণ।
আসলে আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। ফটোগ্রাফির প্রত্যেকটা অনেক ভালো লাগে। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি এগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে। শুভকামনা রইল এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
দৃশ্যগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফির সাথে বনর্না গুলো অনেক ভাল লাগলো। খুব সুন্দর একটি সকাল কাটিয়েছেন আপনি। চালতা টা দেখে খুব ভাল লাগলো , চালতাটা কি আপনি বাসায় নিয়েছিলেন।
একবার নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে যাব ভেবে আর তুলে নেই নি।
সকালবেলা গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফটো গ্রাফি গুলোর মধ্যে আমার কাছে কচু পাতার মধ্যে যে বৃষ্টির পানি ফোঁটা এবং ধান রোপনের দৃশ্য। বিড়ালের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
এই দৃশ্যগুলো দেখে আমার নিজের গ্রামে ছোটবেলায় যে সময় কাটিয়েছি সেগুলো বারবার মনে পড়ছিল।
গ্রামের সকাল আসলেই অনেক সুন্দর হয়। প্রাকৃতিক দৃশ্য বেশি দেখা যায়।ধান খেতে পাশ দিয়ে সকালে হাঁটলে আসলেই অনেক মজা হয়। গ্রামে গেলে এইরকম প্রকৃতির জায়গায় বেশ ঘোরাঘুরি হয়। আপনি সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি শেয়ার করেছেন। বিড়ালের ছবিটি আসলে অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
গ্রামের সবুজ প্রকৃতির মাঝে বারবার হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে।
বিড়াল মনে হয় আমাকে দেখে ক্ষেপে উঠেছিল।
গ্রামের সকালের সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আমিও সুযোগ পেলে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছাড়ি না।এতো সুন্দর করে সকালের পরিবেশ তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সেদিন সকাল বেলা হঠাৎ করে গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালো লেগেছিল।
গ্রামের সুন্দর মনোরম পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার ক্যামেরার মধ্যে দিয়ে, ধানক্ষেতে দৃশ্য কচু পাতার পানি এই ছবিগুলো যেন যে কারো মন ভালো করে দিতে পারে।
গ্রামের সুন্দর মনোরম পরিবেশে ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালোই লেগেছিল।
চাঁদনী রাতে একটি বিড়ালের ডিজিটাল অংকন অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার দক্ষতার সত্যিই অসাধারণ শুভকামনা রইল।
আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছিলাম। চাঁদনী রাতে বিড়ালের ডিজিটাল অঙ্কন করিনি।
গ্রামের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে এই ফটোগ্রাফি গুলো। এত সুন্দর সুন্দর গ্রামের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাদের যে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে এটাই আমার সার্থকতা।