আজ আমি এখানে শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ও ধনেপাতার মজাদার একটি ভাজি রেসিপি নিয়ে এসেছি। আমি শোল মাছ খেতে খুব পছন্দ করি তাই বাজারে কখনো শোল মাছ আমার নজরে আসলেই আমি তা কিনে নিয়ে আসি। শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ভাজি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আর তাই বাজার থেকে মাছ কিনে নিয়ে আসলে আমি সাথে অবশ্যই বেগুনও নিয়ে আসি। বেগুনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি আছে আর তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় বেগুন অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা আছে। অত্যন্ত সুস্বাদু শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ও ধনেপাতার ভাজি রেসিপি আমি শেয়ার করব। তো চলুন দেখে নেয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|
| শোল মাছের চামড়া | সম্পূর্ণ থুতনিসহ |
| বেগুন | ৫০০ গ্রাম |
| ধনেপাতা | স্বাদমতো |
| সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
| লবন | স্বাদমতো |
| পেঁয়াজ | ৩-৪ টা |
| কাচা মরিচ | ৪-৫ টা |
| শুকনা মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| ধনিয়া গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| জিরা গুড়া | পরিমাণমতো |
| পাঁচফোড়ন গুঁড়া | পরিমাণমতো |
| হলুদ গুঁড়া | পরিমাণমতো |
রান্না শুরু হচ্ছে:
প্রথম ধাপ:
প্রথমেই সমস্ত চামড়া গুলো থুতনিসহ ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
আমি এখানে শোল মাছের চামড়া দিয়ে ভাজির জন্য ৫০০ গ্রাম বেগুন নিয়েছি। তাই বেগুন গুলোকে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে চিকন চিকন ফালি করে কেটে নিয়েছি। এখন কেটে নেওয়া বেগুণ গুলোকে আলাদা একটা পাত্রে রেখে দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ:
শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ধনেপাতার মজাদার ভাজি রেসিপি তৈরি করার জন্য আমি পূর্বেই প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ ধনেপাতা লবণ ও মসলাগুলো প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। এখন একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম হয়ে যাওয়ার পর সেখানে প্রয়োজনীয় লবণ পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ:
লবণ পেয়াজ কুচি ও কাঁচামরিচ কিছুক্ষণ ভেজে দেয়ার পর সেখানে শোল মাছের চামড়া গুলো দিয়ে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
এখন পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় সব মশলা গুলো দিয়ে চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। এখন হাফ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে শোল মাছের চামড়া গুলো ভালো করে কষিয়ে নেব।
ষষ্ঠ ধাপ:
শোল মাছের চামড়া গুলো ভালো করে কষিয়ে নেওয়ার পর এখন পর্যাক্রমে আমার পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা বেগুন গুলো এবং ধনেপাতা দিয়েছি। ভালো করে মাখিয়ে নেয়ার পর চার থেকে পাঁচ মিনিট রান্না করে নিয়েছি। তারপর এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে ১০ মিনিটের মতো ঢেকে দিয়েছি। এখন রান্না হয়ে গেলে পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিব।
| পোস্ট | রেসিপি |
|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি A10 |
| ছবি | @mayedul |
ভালো করে রান্না করে নেয়ার পর প্রস্তুত হয়ে গেল আমার শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ও ধনেপাতার মজাদার ভাজি রেসিপি। এটা রেসিপিটি খেতে আমার অত্যন্ত ভালো লাগে তাই আমি শোল মাছ কিনে আনলে সঙ্গে বেগুন নিয়ে এসে এরকম করে খাই। আমি নিজে খেয়ে দেখেছি আমার তৈরি মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ও ধনেপাতা মজাদার রেসিপি আমার কাছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনারা এই রকম করে বেগুন ও ধনেপাতা দিয়ে শোল মাছের চামড়া ভাজি রেসিপি করে দেখতে পারেন আশা করছি অনেক ভালো লাগবে। আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন নিশ্চয়ই।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ও ধনেপাতার মজাদার ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে ইউনিক রেসিপি মনে হচ্ছে। এভাবে কখনো খাইনি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ও ধনেপাতার মজাদার ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে এটা দারুন ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন এবং এটি আমার কখনো খাওয়া হয় নাই তাই আমার কাছে বেশ ইউনিক লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
রেসিপিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয় অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবেন।
আপনি অনেক মজাদার একটি ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ভাজি রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধনিয়া পাতা দিয়ে যেকোনো ধরনের ভাজি অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলেই ভাজিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদম সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি দেখলাম। এটি আমার কাছে একদম ইউনিক রেসিপি বলে মনে হয়েছে কারণ শোল মাছের চামড়া দিয়ে এর আগে কখনো কোনো রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয় নি।
একদিন খেয়ে দেখবেন এর টেস্ট টা বোঝার জন্য।
শোল মাছের চামড়া যে আলাদাভাবে খাওয়া যায় তা জানা ছিলোনা। আপনার রেসিপির মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনার বেগুন দিয়ে শোল মাছের চামড়া রান্না দেখে মনে হচ্ছে যে খুব মজা হয়েছে। দেখতেও অনেক লোভনীয় এসেছে রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে অন্য রকম একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নতুন ধরনের একটি রেসিপি দেখলাম ভাই। শোল মাছের চামড়া, বেগুন এবং ধনেপাতা দিয়ে অসাধারণ একটি ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। যদিও ধনেপাতার রেসিপি আমি কম খাই। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ভাজি রেসিপি খেতে অসাধারণ লাগে। খেয়ে দেখবেন আশা করছি খুব ভালো লাগবে ।
এমন রেসিপি আগে কখনো খাওয়া তো দূরের কথা দেখিনি আমি। সত্যি বলতে এই রেসিপিটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে আপনার তৈরি করে ধাপ গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। জন্য শুভকামনা রইল আপনার আগামীর জন্য।
আমি সবসময় খাওয়ার চেষ্টা করি খেতে খুব ভালোই লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এরকম রেসেপি আগে কখনো খায়নি। আমার কাছে একদমই নতুন লাগছে। তবে দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই মজার। রান্নার পদ্ধতি টা ও বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ও আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যা খেতেও অনেক মজাদার। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রেসিপি টা বেশ ইউনিক হয়েছে, এত সুন্দর ভাবে রেসিপি সাজানো হবে এর আগে কখনো দেখি নাই। বিশেষ করে এই শোল মাছের চামড়া দিয়ে।
শোল মাছের চামড়া দিয়ে বেগুন ভাজি রেসিপি খেতে অসাধারণ লাগে। খেয়ে দেখবেন আশা করছি খুব ভালো লাগবে ।