লাইফ স্টাইল- গভীর রাতে আড়ং-এ ঈদ শপিং করার অনুভূতি || lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু বেশ ভালো আছি। ভালো থাকার সবচেয়ে বড় কারন হলো পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে আমরা যতই অসুস্থ্য থাকি না কেন, রমজানের পরিশুদ্ধতায় আমাদের দেহ আর মনও হয়ে উঠে সজিব আর প্রাণবন্ত। এই মাসে সিয়াম সাধনার ফলে আমাদের দেহ হতে রোগ ব্যাধিগুলো দৌড়ে পালায়। হি হি হি।
প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। হুম বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আরও একিট লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচিছ। গতকাল গভীর রাতে ছুটে গিয়ে ছিলাম আড়ং এর মগবাজার আউটলেটে। আর আজ আমি গত কালের গভীর রাতে আড়ং এ ঈদ শপিং করার কিছু কথা শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি।
গভীর রাতে আড়ং-এ ঈদ শপিং করার অনুভূতি
গভীর রাতে আড়ং-এ ঈদ শপিং করার অনুভূতি
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
চাকুরিজীবি মানুষের জীবনের বিড়ম্বনার শেষ নেই। এমন কি ঈদ আসলে যে একটু পরিবারের জন্য কেনাকাটা করবে তারও কোন উপায় নেই। শুনেছি যে সরকারি চাকুরি নাকি অনেক আরামের চাকুরি। কিন্তু আমার তো মনে হয় আমি প্রতিদিন একশত বারই চাকুরি ছাড়ি। শুধু পেটের দায়ে এই এত বিড়ম্বনা মেনে নেওয়া। তবুও তো আমাদেরও জীবন আছে। আছে পরিবার পরিজন। তাই তো পরিবারের জন্য কেনাকাটা করার সুযোগ খুঁজে ফিরি সেই প্রথম রোজা থেকেই। যাই হোক অবশেষে সেই সোনার হরিণ শুক্রবার এসে উপস্থিত হলো আমার সামনে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
কিন্তু তাতে কি? আমার সময় হয় তো সাহেবের হয় না। শুক্রবারও নাকি মিটিং আর সিটিং। এও কি মেনে নেওয়া যায়? তারপর বহু মান আর অভিমানের পর সিদ্ধান্ত হলো তারাবির পর আড়ং এ যেয়ে কিছু কেনাকাটা শেষ করবো। ওমা সেখানেও দেখি বৃষ্টি মামার হানা। তারাবির শেষ হওয়ার আগ মূহূর্তে কি যে ধুম বৃষ্টি হয়ে ঢাকার শহর তলিয়ে দিলো সে আর বলতে। কিন্তু আমার জিদ তো জিদই। যত রাতই হোক আমি শপিং করতে যাবোই। সঙ্গী হিসাবে হায়ার করালাম নিজের ছোট ভাইকে। তারপর রাত ১১.০০ বের হলাম আড়ং এর উদ্দেশ্যে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
রাস্তায় বের হয়ে তো আমি অবাক। এ যেন মাত্র সন্ধ্যা রাত ঢাকাবাসির জন্য। তখন নিজের মনে একটু সাহস পেলাম। আর একটি রিক্সা নিয়ে আমরা চলে গেলাম আড়ং এর আউটলেটে। ওমা আড়ং তো দেখি বেশ নতুন সাজে সাজিয়েছে এবার। প্রথম ফ্লোরেই কসমেটিকস, জুতা আর বই দিয়ে ক্রেতাদের কে আকর্ষন করার উপায়। ক্রেতারাও বেশ উৎফুল্ল। যাই হোক আমার গতকালের উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের ভাই আর আমার ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবির। তাই প্রথমেই চলে গেলাম পাঞ্জাবির ফ্লোরে। বেশ ঘুরাঘুরি করে পাঞ্জাবি পছন্দ হলেও তার কোন সাইজ নেই। বলেন তো কি অবস্থা। তাই চলে গেলাম সেই ফ্লোর থেকে নিচের ফ্লোরে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
নিচের ফ্লোরে গেলাম আমার একজন খুব প্রিয় মানুষ আছে। যে কিনা আমার আপন না হয়েও আপনের চেয়েও অনেক বেশী। সেই আপুর দুটো বাবু আছে। একটি ছেলে বাবু আর একটি মেয়ে বাবু। তাই ভাবলাম তাদের কিনা কাটাটিই শেষ করে ফেলি। তানাহলে এত কিছু কেনাকাটার সময় পাবো না। আর তাই তো গরমের কথা মাথা রেখে তাদের কেনাকাটা সেরে নিলাম। বাপরে বাচ্চাদের কাপড়ের দাম শুনে তো মাথায় হাত। তাও দুটো কিনে নিলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
বিল পেমেন্ট করতে যখন লাইনে দাঁড়ালাম তখন দেখলাম এক ভদ্র মহিলা বেশ রাগারাগি করছে। তার নাকি ২৯০০ টাকার বিলের জায়গায় ৪৫০০ টাকা বিল রাখা হয়েছে। শুনেই বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। অবশ্য ঘটনাটি সত্য হলেও ভুল বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই নিজে বারে বারে চেক করে আমার বিল গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর শুধুমাত্র দুই বাবুর কেনাকাটা করেই বাসায় ফেরত আসলাম। আর বড় বাবুদের কেনাকাটা অন্যদিন করবো বলে আশায় রইলাম। হি হি হি।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্য বলতে ঈদের কেনাকাটা করতে যেমন সুখ আছে তেমনি আছে কষ্টও। আর সবার জন্য কেনাকাটা করাটা যে কি পেইন সেটা শুধু আমিও বুঝি। আপনাদের মতামত জানার আশায় রইলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যারা চাকরি করে তারা বলে চাকরি করে সময় পাওয়া যায় না কিংবা শান্তি নেই। আর যাদের চাকরি হয় না তারা বলে কেন চাকরি হয় না। সবকিছুই দেখি ঝামেলার। আপু আপনি সময় বের করে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো।
আসলেই সব কিছুই বেশ ঝামেলার। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আসলে আপু চাকরি পেয়েছেন কষ্ট হলে ও শান্তি পাওয়া যায়।তবে এটা সত্যি বলেছেন বাচ্চাদের জামা কাপড় এর অনেক দাম বলার মতো নয়।তার পরেও বাচ্চাদের জন্য কিনতে হয়। আপনি তো ঠান্ডা মাথায় কিনেছেন বৃষ্টি ছিল বিধায়।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কই আর ঠান্ডা মাথায় কিনতে পারলাম? সবই তো বেশ দাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমিতো ভাবলাম এত রাতে গিয়ে সবার জন্যই কেনাকাটা করেছেন। এখন তো দেখি খুব বেশি কেনাকাটা করতে পারেননি। তবে রমজান মাসে রাতের বেলা কেনাকাটা করতে একটু মজা লাগে বেশি।কারণ আমরাও কিছুদিন আগে রাতের বেলায় কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। যাইহোক আবার সময় করে কেনাকাটা করতে যাবেন আশা করি।
কিভাবে পারবো সব কিনাকাটা করতে? এটা মিলে তো ওটা মিলে না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
Tweet
আড়ং সম্পর্কে আমি অনেক শুনেছি এবং এখানে অনেকে অনেক ধরনের শপিং করেছে৷ তারা তাদের বিভিন্ন এডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমেও তাদের সম্পর্কে সকলকে জানিয়ে দিয়েছে৷ আজকে আপনি সেই স্থান থেকেই শপিং করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ রাতের বেলা শপিং করতে গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে রাতের বেলা মানুষজন খুবই কম থাকে৷ তবে আপনি তেমন কিছু শপিং করতে পারেননি৷ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু আপনার কেনাকাটার ব্লগটি পড়ে বুঝলাম খুব ঝামেলার মধ্যে দিয়েই কেনাকাটা সামান্য কিছু শেষ করতে পারলেন।আসলে চাকুরীজীবি হলে দুজন একটু ঝামেলারই হয়ে যায়। আশাকরি ঈদের শপিং সুন্দর ভাবেই শেষ করতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
যাক আমার কষ্ট যে বুঝতে পেরেছেন তার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
যারা চাকরীজিবী সবাই ব্যস্ত থাকে। পরের কাজ করলে কাউকে কিছু বলার থাকে না। যায়হোক সবাই এগারোটা বাজে মার্কেট করে ফিরে আসে। আর আপনারা গেলেন ১১ টার সময় মার্কেট করতে। তবে ঐ সময় গিয়ে তুলনা মূলক মাকের্টে ভিড় কম পেয়েছেন। সন্ধার পরে গেলে আড়ং এ ঢুকতেই পারতে না। যায়হোক ড্রেস গুলো অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ।
জি ভাই একদম ঠিক। রাতের বেলায় আড়ংয়ে ভীর একটু কমই থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যত ব্যস্ততা ই থাকুক না কেনো, ঈদের শপিং তো করতেই হয়। তবে বেশি ব্যস্ত থাকলে সময় বের করাটা কষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক অবশেষে এতো রাতে শপিং করতে গেলেন আড়ং এর মগবাজার আউটলেটে। আসলে কোনো কিছু পছন্দ হওয়ার পর যদি সাইজ না থাকে,তাহলে খুবই মেজাজ খারাপ হয়। যাইহোক পাঞ্জাবি কিনতে না পেরে, প্রিয় মানুষের দুই বাচ্চার জন্য কেনাকাটা করেছেন তাহলে। বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে আরও বেশি ঝামেলা। আমি ইস্টার্ন মল্লিকা থেকে ছোটদের জামাকাপড় কিনে,আবারও গিয়েছিলাম সাইজ পরিবর্তন করতে। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি ভাইয়া ছোট বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা বেশ ঝালেমার। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।