জেনারেল পোস্ট- 👍পুথিঁগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন👍 || written by@maksudakar ||

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

👍পুথিঁগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন👍

❤️সকালের স্নিগ্ধ বাতাসের শুভেচ্ছা জানাচিছ প্রাণের প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সকল কে❤️। সকলের সুস্বাস্থ্য, সুন্দর জীবন এবং প্রশান্ত মনের প্রত্যাশা নিয়েই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। দেহের কি দোষ, যদি মনটাই মরে যায়। মানুষের মন এমন একটি জিনিস যেটা কেউ স্পর্শ করতে পারে না। পারে তাকে ধরতে আর ছুতেঁ। অথচ সেই মনেরই কত ক্ষমতা। মানুষের দেহে যত প্রকার অশান্তি তার সৃষ্টি কিন্তু সেই মনের ভিতর থেকে।

❤️জীবনে চলতে গেলে নিজেকে জ্ঞানী হয়ে উঠতে হয়। হতে হয় বিদ্যান মানুষ। বিদ্যা কিন্তু একটি অমূল্য সম্পদ। আর প্রকৃতি বিদ্যা অর্জন করার মাধ্যমেই কিন্তু আমরা আমাদের নিজেদের জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে পারি। পারি নিজেকে প্রকৃতি মানুষ হিসাবে সমাজে কাছে তুলে ধরতে। একমাত্র জ্ঞানই পারে মানুষ কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে। আর এ জন্যই কিন্তু আমাদের প্রতিটি মানুষরে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রিয় বন্ধুগন আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে। আশা করি আমার আজকের ব্লগটিও আপনাদের ভালো লাগবে।

money-3864576_1280.jpg

source

সকাল সকাল বাসা হতে বের হয়ে গাড়ীতে উঠবো। দেখলাম এক জায়গায় অনেক ভিড়। তো সেখানে থেকে একটি ছেলে আমার দিকেই আসছে। আমি কৌতুহল নিয়ে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম কি হলো ওখানে? সে আমাকে বলল- টু ম্যান কোয়ারেল উইথ বাশঁ এন্ড মাই বড়ি ইজ হাউ মাউ করছে। আমার কাছে কিন্তু ছেলে টিকে বেশ শিক্ষিত বলেই মনে হলো। আমি বললাম বুঝিনিতো। সে বলল- আরে দুইজন মানুষ বাশঁ নিয়ে মারামারি করছে। আর এসব দেখে আমার শরীর কাপঁছে। জানিনা ছেলেটি কি দুষ্টুমি করলো কিনা। তবুও আমি গাড়ীতে আসতে আসতে ভাবছিলাম তার ইংরেজী বলার ধরন দেখে।

আমরা আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলেই দেখবো যে আমাদের চারপাশে অনেক ডিগ্রীধারী শিক্ষিত মানুষ রয়েছে। কিন্তু আমার মাঝে মাঝে নিজের কাছে নিজের প্রশ্ন জাগে যে তারা কি প্রকৃত শিক্ষিত কিনা। কারন শিক্ষার আলো তো অনেক শক্তিশালী। যার মধ্যে প্রকৃত শিক্ষা রয়েছে সে সবকিছুতেই পারদর্শী হয়। কারন অন্যের শিখানো বুলিকে মুখস্থ করলে হয়তো একটা ডিগ্রী লাভ করা যায়। হয়তো সাময়িক ভালো থাকা যায়। কিন্তু তাতে কি প্রকৃতি জ্ঞানের বিকাশ ঘটে? না ঘটে না। যার জন্য এখন শুধু ডিগ্রীধারী লোকের সংখ্যাই বেড়ে যাচেছ। জ্ঞানের আর বিকাশ হচ্ছে না।

জ্ঞানের বিকাশ করতে হলে অবশ্যই কোন একটি বিষয় মুখস্থ নয় বরং জ্ঞান দিয়ে বুঝতে হবে। তাকে আয়ত্ব করতে হবে। আর সে বিষয়টিকে নিজের জ্ঞান আর মেধা দিয়ে নিজের মনের মত করে গুছিয়ে লিখতে হবে। আর এই সৃজনশীলতার অভাবেই কিন্তু নষ্ট হয়ে যাচেছ আমাদের প্রকৃত জ্ঞান। আচ্ছা একবার মনে করে দেখেন তো আমরা আমাদের শিক্ষা প্রস্তুকে যা পড়েছি বাস্তবে সেই পড়া গুলোর কি কোন মূল্য আছে? মূল্য আছে সে সব কবিতা ছড়া মুখস্থ করার? আমরা তো শুধু মুখস্থ্য করেই খালাস। বুঝার চেষ্টা বা আমরা কতজনা করি।

আমরা যদি জ্ঞান না অর্জন করতে পারতাম, আমরা যদি নিজেদের কে শুধু মাত্র বইয়ের মধ্যে স্থান দিয়ে রাখতাম তাহলে তো আজ এত সুন্দর একটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারতাম না। লিখতে পারতাম না এত সুন্দর সুন্দর কবিতা, গল্প আর আর্টিকেল। আজকে আমাদের এই কমিউনিটিতে যতটুকু অর্জন তার সবকিছুই কিন্তু আমাদের ক্রেয়েটিভিটির জন্য। পুথিঁগত বিদ্যার এখানে কোন স্থান নেই। আমরা কিন্তু এখানে কোন বই দেখে দেখে লিখতে পারিনা। বা কোন কবিতাও হুবাহো মুখস্থ করে এখানে প্রকাশ করতে পারি না। আমাদের কাজ যতটুকু সবটাই হলো জ্ঞানের বহি প্রকাশ।তাই পুথিঁগত শিক্ষাটা কিন্তু আমাদের ডিগ্রীর জন্যই প্রয়োজন। জ্ঞান বিকাশে নয়। নিজের প্রকৃত জ্ঞান বা সৃজনশীলতা না থাকলে পুথিঁগত বিদ্যা কোন কাজেই লাগে না।

আবার অন্য দিকে জীবনে চলতে গেলে অর্থ হলো অনেক প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। অর্থ ছাড়া জীবন অচল। জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে অর্থ ছাড়া চলা যায় না। সেই কুলি মজুর হতে শুরু করে অনেক উচ্চ স্তরের মানুষও কিন্তু প্রতিনিয়ত অর্থের জন্যই যুদ্ধ করে যাচেছ। কিন্তু সেই অর্থই যদি নিজের কাছে না থাকে তাহলে তো জীবন কে পরিচালিত করা বেশ কঠিন। পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে আর যাই হোক বেচেঁ থাকা কষ্টকর হয়ে যায়। হয়ে যায় জীবন দূর্বিসহ।

এই যেমন একজন শিক্ষিত বেকার যুবক তার প্রতিদিনের চলার জন্য পরিবারের কাছে হাত পাতে। আজ যদি নিজের কাছে যথাযথ অর্থ থাকতো তাহলে কে পরিবারেরর কাছে হাত পাততে হতো? আবার আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে নিজেদের অর্থ বিত্ত ব্যাংকে গচিছত রাখে বা সম্পদ কিনে রাখে। কিন্তু তাতে কি হয়? মনে করেন আপনার অনেক টাকা আছে আপনি আপনার ওয়াইফের কাছে রেখে দিলেন। প্রতিদিন একটি পরিমান মত অর্থ নিয়ে বাহির হচ্ছেন।হঠাৎ আপনার রাস্তায় বিপদ হলো বা অর্থের প্রয়োজন হলো তখন কি অবস্থা হয়। কি লাভ হলো আপনার এত অর্থবিত্তের।

আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকের অনেক অর্থ আছে কিন্তু পরিবারের কেউ অসুস্থ্য বা মৃত্যুশর্য্যায়। তাকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়। কি দাম আছে সেই অর্থ জমানোর? আমরা কি করি আমরা আমাদের আগামীর কথা ভেবে ভেবে বর্তমান কে ধরিসাৎ করে আগামীর জন্য সম্পদ বা অর্থ সঞ্চয় করে রাখি। আর বর্তমানের সকল সুখ আর স্বাচ্ছন্দ কে ধুলায় মিশিয়ে দেই। কিন্তু আমাদের জীবনে এমন এক সময় আসে যখন সেই অর্থ আর আমাদের কোন কাজে আসে না। সেই অর্থ তখন জীবনের জন্য মূল্যহীন হয়ে পড়ে।

তবে আমার মনে হয় ভুরি ভুরি টাকা সঞ্চয় করে ব্যাংকে রেখে মরে যাওয়ার চেয়ে সেই টাকা ব্যয় করে সুন্দর এই পৃথিবীর কিছু অংশ দেখে যাওয়া উচিত। তাতে আখেরাতের হিসাবও কম হবে। আর আমাদের সুন্দর এই পৃথিবীটাকেও দেখা হবে। আচ্ছা আমার অনেক টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স আছে, অনেক সম্পদ গচিছত আছে। কিন্তু আমি এগুলোর কিছুই ভোগ করে যেতে পারলাম না। তাতে কি হলো? জীবনের সকল চাওয়া গুলোই অপূর্ণ রয়ে গেল।

image.png

আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

image.png

Add a heading (1).png

image.png

image.png

Sort:  
 last year 

নিজের মধ্যেকার সৃজনশীলতা আর জ্ঞান অর্জন করে সেটা প্রকাশ করার একটা ভালো মাধ্যম এই কমিউনিটি। এটা আপনি ঠিকই বলেছেন আপু যে আমরা নিজে থেকে যা কিছু করি বা তৈরি করি সেটাই এখানে আমরা পোস্ট করি। জ্ঞান যেমন বইয়ের পাতায় আটকে থাকলে কোন কাজে আসে না তেমনি অন্যের ধন সম্পদ নিজের বলে দাবি করা যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সেই বলেছেন আপু পুথিঁগত বিদ্যা কোন কাজেই লাগে না।তবে
পুথিঁগত বিদ্যা পড়তে পড়তে আর আরো বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারি। আসলে সঞ্চয় ব্যাংকে জমা রেখে কোন লাভ নেই। তবে আপু কথায় বলে না মরবো বলে করব না বাঁচলে খাব কি। তারজন্য আমাদের অনেক কিছুই করতে হয়।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

তাই বলে কি টাকা জমিয়ে কিপটোমি করতে হবে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

না আপু কিপটেমি করতে হবে না খেয়ে পড়ে কিছু সঞ্চয় করতে হবে।

 last year 

আমি কিন্তু আপু সঞ্চয় বিশ্বাসী না ।

 last year 

একজন মানুষ হিসেবে সবারই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেকে সুশিক্ষিত ভাব করে কিন্তু তার মধ্যে শিক্ষার বড়ই অভাব। এরকম অসংখ্য লোক রয়েছে যাই হোক আপনার সাথে ঘটে যাওয়া গল্পটি পড়ে ভালই লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনি কিন্তু আজকে অনেক সুন্দর একটা টপিক তুলে ধরেছেন এই পোস্টটা লেখার জন্য। আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে আপনার লেখা এই পোস্ট। এটা কিন্তু একেবারেই সত্যি কথা পুঁথিগত বিদ্যা কোন কাজেই লাগে না। মানুষ যদি কোন কিছু মুখস্ত না করে ভালোভাবে সে বিষয়টা বুঝে, তার জ্ঞান দিয়ে তাহলে তার জন্য এটা অনেক ভালো ব্যাপার। সবাই মুখস্ত বিদ্যায় অনেক বেশি ব্যস্ত। অনেক সুন্দর করে পোস্টটা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ভাইয়া এত সুন্দর একটি উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আসলে আমাদের চারপাশে অনেক ডিগ্রিজিবি শিক্ষিত মানুষ রয়েছে কিন্তু তারা শুধু মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত। তারা কখনোই সবকিছু বুঝার চেষ্টা করে না। যদি বুঝে মাথার মধ্যে জ্ঞানটা ঢুকিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে ওই বিষয়টা সারা জীবনের জন্য মাথার মধ্যে গেঁথে যায়। আপনি অনেক সুন্দর করে আজকের পোস্টটা লিখেছেন। বিশেষ করে আমার কাছে এই পোস্টটা লেখার টপিক অনেক ভালো লেগেছে।

 last year 

আমি আমি কিন্তু সত্যিকারের বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। থন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

মুখস্ত করে পড়া থেকে সেটা বুঝে পড়া অনেক ভালো। কেননা অনেক সময় মুখস্ত করা মন থেকে হারিয়ে যায়। আর আমরা যেটা বুঝে পড়ি সেটা সব সময় আমাদের মনে থাকে। জ্ঞান যদি শুধু বইয়ের পাতায় আটকে থাকে তাহলে তা আমাদের কোন কাজে আসবে না। আমাদের সমাজে অনেক শিশু আছে যারা অনেক মেধাবী কিন্তু তারা অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না। ধন্যবাদ আপু এরকম একটি শিক্ষামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমিও কিন্তু তাই বলি, কি লাভ যে শিক্ষায় কোন জ্ঞান নেই তা অর্জন করে? ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত আপু। আসলে বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষ পুঁথিগত বিদ্যার দিকেই ঝুকে গেছে। এর জন্য শিক্ষ্যা ব্যবস্থা দায়ী। আপনি দেখেন ইন্টার্ভিউ গুলোতে কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়। কে কোন দেশের রাষ্ট্রপতি? কোন দেশের মুদ্রার নাম কি। এ জন্যই তো আমরা মুখস্ত বিদ্যায় ঢুকে গিয়েছি রীতিমত।

 last year 

কি আর বলবো। আমার ভাই কিছুই বলার নেই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65546.28
ETH 2666.01
USDT 1.00
SBD 2.90