ফটোগ্রাফি পোস্ট- স্মৃতির পাতা হতে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
সকাল সকাল বেশ চকচকে রোদ ছেয়ে গেছে চারদিকে। কেমন যেন শীতের সকাল মনে হচেছ চারদিক টাকে। তাইতো সকাল সকাল ঘর হতে বের হয়েই যেন মনটা ভরে গেল প্রফুল্লাতায়। ভাবলাম আমার ভালোবাসার কমিউনিটির সকল কে সুন্দর আর স্নিগ্ধ সকালের একগুচ্ছ শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করি আমার আজকের ব্লগ। আশা করি প্রতিদিনের মত করে আমার আজকের ব্লগটিও আপনাদের মন কে ছুঁয়ে দিবে একটি বারের জন্য হলেও।
জীবন স্মৃতিময়। জীবনের প্রতিটি ক্ষনে ক্ষনে মনের সাথে কিছু স্মৃতি জড়িয়ে যায় নিজের অজান্তেই। আর সেই স্মৃতিগুলো কোন এক সময়ে মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে মনকে ভরে তুলে প্রফুল্লতায়। অতীত জীবনের সেই সকল স্মৃতিকে মনে করে আমরাও হয়ে পড়ি কখনও কখনও আনন্দিত। আবার কখনও হয়ে পড়ি বেদনাময়। আজ মোবাইল গ্যালারীতে হাত পড়তেই তেমনি কিছু স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ভাবলাম জীবন চলার পথে এ সকল স্মৃতি গুলো নিয়ে সুন্দর করে আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করি। আর এজন্যই আমার আজকের এই ফটোগ্রাফি।
কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম বেশ জরুরী কাজে। তো সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হয়ে গেল। যখন বাসায় ফিরছিলাম তখন দেখলাম যে রাস্তায় একটি অসহায় মহিলা একটি বাচ্চা কুলে করে নিয়ে বসে আছে হাতে ফুল নিয়ে। ফুল গুলো বিক্রি করে তার বাচ্চার জন্য দুধ কিনবে। কিনে নিলাম তার থেকে কয়েকটি ফুলের মালা। আর সাথে সেই দুঃখিনী মহিলাটির একটি ফটোগ্রাফিও করে নিলাম।
ঠিক কবে যে গিয়েছিলাম সেই রমনায় মনে নেই। আসার সময় রাস্তার ধারের ফুলের নার্সারি হতে তুলে নিলাম কিছু মাটির ফুলের টব আর আনুসাঙ্গিক জিনিসের ছবি। সেই সাথে চোখে পড়লো বাংঙালি রমনীদের প্রিয় চুড়ির দোকানটি। তাই চুড়ি তো নিলামই। সাথে কিন্তু আমার প্রিয় চুড়ি গুলোর ফটোগ্রাফি করতে ভুল করিনি।
এই তো কয়েকদিন আগের কথা। গার্মেন্টস কর্মীদের আন্দোলনের জন্য শ্যামলী হতে ফার্মগেইট পর্যন্ত সকল গাড়ী বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন বাধ্য হয়ে হাটঁতে হাটঁতে মোহাম্মদপুর হতে ফার্মগেইট যেতে হয়। আর সে সময়েই সংসদ ভবনের সামনে হতে ক্ষুধা নিবারন করি। আর রাস্তার পাশ হতে খাওয়া সে সকল খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের জন্য করে নেই।
এটা হলো প্রতিদিন ঢাকা শহরের প্রতিদিন সকাল আর বিকেলের ফটোগ্রাফি। প্রতিদিন যখন ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে রাস্তায় বসে বসে তসবিহ গুনতে হয়। আর তসবিহ গুনতে গুনতে শরীরেও এক সময় ঘাম ধরে যায়। কি যে দূর্বিসহ জীবন কাটাতে হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় চাকরি ছেড়ে চলে যাই দূরের কোন দেশে।
সেদিন যখন মেট্রো রেলে উঠলাম, তখন মেট্রো রেল হতে বাহিরের যে দৃশ্য দেখলাম তাতে তো মনে হচ্ছিল যে আমি বাহিরের কোন দেশে বসবাস করছি। তাই ক্যামেরা বন্দী করে নিলাম সেই সুন্দর দৃশ্য কে আপনাদের জন্য।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা সব কয়টি ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে বিভিন্ন রঙের চুরি এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জানিনা কতটা সুন্দর হয়েছে। তবে চেষ্টা করেছি কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
স্মৃতির পাতা থেকে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন চেষ্টা করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল অনেক সুন্দর দেখার মত আর পাশাপাশি পথ চলতে যে সমস্ত অনুভূতিগুলো মনের মধ্যে জেগে উঠেছিল আর যা কিছু করেছেন তারই বর্ণনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই ফটোগ্রাফি ও বর্ণনামূলক পোস্ট।
কি করবো ভাইয়া বলেন? হেঁটে হেটে আসছিলাম, তাই ফটোগ্রাফি গুলো করে নিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে
।মানুষের জীবনযাত্রার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।