জেনারেল পোস্ট- এমন দরদী ভবে কেউ হবে না আমার মা গো || written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আমার মা গো |
---|
❤️শুভ রাত্রি ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার❤️। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনা করে আবার আজ চলে আসলাম নতুন আরও একটি ব্লগ নিয়ে। জীবনটা অনেক ছোট। আর ছোট এই জীবন চলতে চলতে কখন যে শিশু পেরিয়ে শৈশব, কৈশর আর যৌবনের সময় পার করে দেয় সেটা কিন্তু আমরা কেউ বুঝতে পারি না। জীবনের চলার পথের প্রতিটি সময়ে ছায়ার মত পাশে পাই আমাদের প্রিয় মা কে। যিনি দশমাস দশদিন আমাদের কে পেটে রেখে দুনিয়ার আলো দেখতে সহায়তা করে।
মা শব্দটি ভীষণ মধুর একটি নাম। যার তুলনা আমরা অন্য কিছুর সাথেই করতে পারবো না। করতে পারবো না মায়ের সে ভালোবাসার সম্মান। যার উপর মায়ের দোয়া থাকে সেই সন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে পৃথিবীর বুকে বিবেচিত হয়। মায়ের দোয়া নিয়েই আমরা সমাজে উচ্চ শিখরে পৌছাতে পারি। পারি নিজেদের কে একটি সম্মান জনক জায়গায় নিয়ে দাড় করাতে। যার মা নেই সেই কেবল বুঝে মায়ের ভালোবাসার শূণ্যতা। পৃথিবীতে একমাত্র মায়ের ভালোবাসাই শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা।
আজ সকালে যখন অফিসে যাবো তখন রাস্তায় দেখি দুটো বিড়াল ঝগড়া করছে। যার মধ্যে একটি ছিল বিড়াল ছানা। আমি দাড়িয়ে বুঝার চেষ্টা করলাম বিষয়টা কি। দেখলাম অনেক দূর থেকে আরও একটি বড় বিড়াল এসে সেই বিড়াল ছানাটিকে আদর করছে। তারপর বড় সেই বিড়াল ছানার উপর ঝাপিয়ে পড়লো। আমি তখন বুঝতে পারলাম যে দৌড়ে আসা সেই বড় বিড়ালটি ছোট বিড়াল ছানাটির মা। ভাবলাম কি দরদ সন্তানের জন্য মায়ের । সাথে সাথে মায়ের ভালোবাসার কথা মনে হয়ে গেল। কত ভালোবাসে মা সন্তান কে। পৃথিবীর কেউ তার সন্তান কে এতটুকু আচড় কাটুক সেটা কোন মাই সহ্য করতে পারে না।
সন্তানের জন্য মায়ের কত হাহাকার থাকে। কত কষ্টে যে একজন মহিলা মা হতে পারে একমাত্র সেই জানে। একজন মা হতে অনেক সাধনার প্রয়োজন হয়। যেদিন থেকে একটি মেয়ে বুঝতে পারে যে সে সন্তানের মা হতে যাচেছ সেদিন থেকেই তার জীবনে চলে আসে একটি পরিবর্তন। কিভাবে তার পেটের সন্তান ভালো থাকবে? কি করলে তার একটি সুস্থ্য সন্তান হবে যে চিন্তার যেন শেষ নেই। তখন থেকেই একটি মায়ের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। পেটের সন্তান কে ভালো রাখতে কত যে ত্যাগ স্বীকার করে চলে একজন মা সে কথা হিসেব করে বলা মুশকিল।
দশ মাস দশ দিন পেটে রাখা সন্তান কে মা পেটে ধরে তিল তিল করে বড় করে। একসময়ে সেই সন্তান বড় হয়ে যায়। আর মা অনেক প্রসব বেদনা সহ্য, অনেক রক্ত ঝড়িয়ে পেটের সন্তান কে দুনিয়ার আলো দেখায়। আবার কখনও কখনও সন্তান কে দুনিয়ার আলো দেখাতে গিয়ে নিজের জীবন কে অকাতরে বিলিয়ে দেয় অভাগীনি মা। সন্তানের মুখ খানি দেখার সৌভাগ্য হয় না সেই মায়ের । আর যারা সন্তানের মুখ দেখতে পায় তারা যেন এক প্রশান্তির ছায়া খুঁজে পায় তাদের জীবনে। সন্তানের মুখ দেখেই ভুলে যায় হাজারো কষ্ট আর ব্যথা বেদনা।
আবার সেই সন্তান কে বুকে নিয়ে রাতের পর রাত কাটিয়ে দেয় সন্তান কে বড় করতে। কখনও সেই সন্তান ভিজিয়ে দেয় কাপড়। আর সেই ভেজা কাপড়ে মা কাটিয়ে দেয় সাড়া রাত্রি। সন্তান কে ভালো রাখতে, ভালো করে বড় করতে মায়ের পরিশ্রমের অন্ত থাকে না। হাটি হাটি পা পা করে সেই সন্তান একদিন বড় হয়ে উঠে। একদিন সে শিশু বয়সের গন্ডি পেরিয়ে শৈশব, কৈশর আর যৌবন পার করে। একদিন সে বড় বড় ডিগ্রী লাভ করে। সমাজে একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসাবে স্থান পায়। আর এ সব কিছুই হয়তো সম্ভব হয় মায়ের ত্যাগ স্বীকার করার কারনে। মা যদি সন্তান কে এত কষ্ট করে দুনিয়াতে না আনতো তাহলে কি সন্তান আজ এত বড় হতে পারতো।
তাহলে কে হবে পৃথিবীতে মায়ের মত এত দরদী। কে করবে তিলে তিলে সন্তান কে মানুষ? অথচ আমরা কি করি? আমরা বড় হয়ে মায়ের সে অবদানের কথা ভুলে যাই। ভুলে যাই মায়ের ভালোবাসা। মায়ের অবদান। জীবনের কোন এক সময়ে মা হয়ে যায় আমাদের বোঝা। আমরা খুব অনায়াসেই মাকে দিয়ে আসি বৃদ্ধাশ্রম নামক কারাগারে। তখন আমাদের প্রয়োজন হয় ভালো থাকার। কিন্তু আমরা একবারও ভাবি না যে আমাদের কে ভালো রাখতে যেয়ে এই মা জীবনে কত কি ত্যাগ করেছে। আমরা ভাবিনা যে কত রাত মা না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। আর একবারও ভাবি না যে মা আমাদের জন্য কত রাত না খেয়ে কাটিয়েছে।
জীবনে আমাদের সকল বিপদের আপদে যে মায়ের হাত আমাদের মাথায় থাকে ভালোবাসার দোয়া নিয়ে। যে মায়ের চোখের পানি আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে।যে মায়ের ত্যাগ আজ আমাদের কে দুনিয়াতে হাসতে, চলতে আর বাঁচতে শিখিয়েছে। কি করে শোধ হয় সেই মায়ের ঋণ? আমরা কি চাইলেও পারবো মায়ের এত এত ঋণ পরিশোধ করতে? না পারবো না। কারন মা শুধু মাই। মায়ের ঋণ কখনও শোধ হয় না। শোধ হয় না মায়ের ভালোবাসার ঋণ।
আর তাই আমিও মনে করি এমন দরদী ভবে কেউ হবে না আমার মাগো। শোধ হবে না মায়ের দুধের ঋণ। আর তাই আমাদের যাদের মা বেচেঁ আছে তারা মায়ের ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করতে না পারি। মনপ্রাণ উজার করে মাকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধে রাঙিয়ে রাখি সারাটিক্ষন। আর যাদের মা নেই তারা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আল্লাহ যেন আমাদের মায়েদের জান্নাতের সু উচ্চ মাকাম দান করেন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
Tweet
মা তো মা,,ই হয় মায়ের সঙ্গে কারো তুলনা হয়না। বিয়ের আগে মায়ের সাথে অনেক রাগারাগি করেছি কিন্তু এখন যখন মা হয়েছি মায়ের কষ্ট গুলো অনুভব করতে পারি। একটা মেয়ে যখন মা হয় তার পাশে তার মাকে কতটা প্রয়োজন সেটা শুধু সেই মেয়েটাই বুঝতে পারে।আমি আমার মাকে প্রেগনেন্সির সময় থেকে বাবু বড় হওয়া পর্যন্ত কাছে পেয়েছি। এখনো সে এতোটুকু বিপদের কথা শুনলে ছুটে আসে। তাইতো মায়ের কোনো তুলনা হয়না।আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
একেবারে সত্য কথা আপু মায়ের কোন তুলনা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পৃথিবীর সব থেকে সুমধুর ডাক হল মা। আরে মা হলো প্রতিটা সন্তানের অমূল্য সম্পদ। যে সন্তান তার মাকে ভালোবাসে না, সে সন্তান সন্তানই নয়। দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরে যে মা সন্তানকে জন্ম দেয়। সে মা জানে জন্ম সন্তান কতটা তার আপনজন। আর কতটা কষ্ট করে এই পৃথিবীর আলো দেখায়। সব মিলিয়ে দারুন লিখেছেন আপু ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমার ও মনে হয় তাই যে সন্তান মাকে ভালোবাসে না সে সন্তান সন্তানই নয়। ধন্যবাদ বেশ সুন্দর একটি মন্তব? করার জন্য।
আসলে আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা পোস্টটি আমার কাছে পড়তে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি মনে করি পৃথিবীতে সবথেকে মধুর ডাক হলো মা মায়ের সাথে কোন মানুষের তুলনা হয় না। আর প্রত্যেকটি মায়ের কাছে তার সন্তানের ভালোবাসা অপরূপ কখনো ভুলা যায় না। আসলে একজন মা তার সন্তানকে অনেক কষ্টের মাধ্যমে এই পৃথিবীর আলো দেখায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি কিন্তু তাই বলি ভাইয়া কত কষ্ট করেই একজন মা তার সন্তান কে পৃথিবীর আলো দেখায়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মা এমন একটি শব্দ যার তুলনা কেউ নেই। আর তার ঋন শোধ তো দূরের কথা চিন্তা করাই যায় না।আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন -মা-বাবার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।তাই মায়ের যে কত গুরুত্ব এই হাদিস যারা সহজেই বোঝা যায়।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, দরদী মাকে নিয়ে এত সুন্দর করে পোস্ট করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্ দারুন তো। অনেক সুন্দর উপমা দিয়ে আপনি তো দেখি আমাকে মুগ্ধ করে দিলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে পৃথিবীতে মায়ের সাথে কারোরই তুলনা করা সম্ভব না। মা হচ্ছে সবার থেকে আলাদা। আর মায়ের আদর ভালোবাসা ও সবার থেকে অন্যরকম হয়। সন্তানের বিপদ-আপদ মা কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না। কেউ যদি সন্তানকে একটা আঁচড় দেয় তাহলে মা অনেক বেশি কষ্ট পায়। যারা মাকে সম্মান করতে জানে না তারা সন্তান না। সন্তান যে রকমই হোক না কেন মা কখনো তাদেরকে দূরে ঠেলে দেয় না। অনেক ভালো লেগেছে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়তে।
এটা কিন্তু সত্য যে সন্তানের কোন বিপদ হলে সবার আগে জানে মা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন যার উপর মায়ের দোয়া থাকে সেই সন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। মা যে প্রতিটি সন্তানের কাছে কতটা অমূল্য সম্পদ তা যাদের মা নেই তারা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে। মা ছাড়া আমার কাছে পুরো দুনিয়াটাই অন্ধকার। আপনি আজকে খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার কাছে এখন পুরো দুনিয়া অন্ধকার। কারন আমার তো মা নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মায়ের সাথে কারো তুলনা হয় না। কারণ মা সন্তানকে অনেক কষ্ট করে বড় করে। আপনি অফিসে যাওয়ার সময় দেখতেছেন দুটি বিড়াল ঝগড়া করতেছে। অথচ বিড়াল ছানার মা এসে বিড়ালকে আদর করতে লাগল এবং অন্যটিকে তাড়াচ্ছে। তবে ঠিক বলেছেন মায়ের কাছে সন্তানের আদর সব সময় বেশি থাকে। ছোটকালে যখন শিশু করে দেয় তখন মা বিজা কাপড়ের উপর থাকে আর বাচ্চাকে সুকনো কাপড়ের মধ্যে রাখে। আসলে মায়ের সাথে কারো তুলনা করা ও ঠিক না। মায়ের মত আর কেউ হবেও না। সত্যি আপনার পোস্টটি পড়ে আমার নিজেরও ছোটকালের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আরে মা তো মাই। মায়ের মত কি আর কাউকে পাওয়া যায়, নাকি যাবে ? ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।