জেনারেল রাইটিং- আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান | ||written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি প্রিয় বন্ধুরা সবাই বেশ ভালো আছেন। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। সৃষ্টির প্রথম থেকেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে বেঁচে আছে। তাই মানুষের আছে অনুভূতি এবং অনুশোচনা। মানুষ তার বিবেকের কারনে পাপ পূর্ণ কাজ করে থাকে। যার বিবেক যত প্রখর তার বোঝার শক্তিও তত বেশী। একজন বিবেকবান মানুষ কখনও কোন পাপ কাজে লিপ্ত হতে পারে না। কারন তার ভিতরে সব সময়েই সৃষ্টিকর্তার ভয় কাজ করে।
বন্ধুরা প্রতি সপ্তাহেই চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি হলেও জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। তাই তো আজও চলে আসলাম আপনাদের জন্য আরও একটি নতুন জেনারেল রাইটিং নিয়ে।তবে আমি চেষ্টা করি আমার জেনারেল রাইটিং গুলোতে আপনাদের জন্য উপকারি কিছু কথা শেয়ার করতে।তবে আমার লেখা গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে। ভালো বা মন্দ দুটো মন্তব্যই আমি গ্রহণ করতে পিছ পা হবো না। কারন পৃথিবীতে সবাই কিন্তু সব জ্ঞানে জ্ঞানী নয়। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র জ্ঞান হতে কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করে যাওয়া।
আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান
আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান
Banner credit --@maksudakawsar
Canva দিয়ে তৈরি
চলছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানের শিক্ষায় নিজেদের কে উদ্ভাসিত করার জন্য সমগ্র বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জাতি এ মাসে সিয়াম সাধনার সাথে সাথে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত বন্দীগি করে থাকে। রমজানের পবিত্রতায় রক্ষায় সমস্ত দিন পানহার মুক্ত থেকে এবং নিজেদের কে ইবাদত বন্দীগিতে মশগুল রাখতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে সকল মুসলমান ভাই বোনেরা। মহান আল্রাহ্ তায়ালা কর্তৃক মুসমান জাতির জন্য পাচঁটি স্তম্ভের বিধান রেখেছেন। যার মধ্যে রোজা হলো একটি স্তম্ভ। তবে রোজা হলো মুসলমাদের জন্য ফরজ। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নরনারীর জন্য রোজাকে ফরজ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র রমজান মাস কে তিনটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। যা হলো- রহমত, মাগফেরাত এবং নাজাত। অর্থাৎ রমজান মাসের প্রথম দশ দিন হলো রহমতের। এই সময়ে আল্রাহ্ তায়ালার রহমত প্রাপ্তির আশায় মুসলমান ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলো মহান আল্লাহ্ সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা করে।তারপর হলো দ্বিতীয় দশ দিন। যেই দিন গুলোতে প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই বোনেরা আল্লাহ্ এর নৈকট্যে থেকে মাগফেরাত কামনা করে। আর রমজান মাসের সব শেষের দশ দিন হলো নাজাতের দশ দিন। এই দিন গুলোতে মুসলমান ভাইবোনেরা মহান আল্লাহ্ কাছ হতে নাজাত কামনায় ব্যাস্ত থাকে।
এছাড়াও রমজান মাসে বেশী বেশী তসবিহ তাহলিল করা, রাত্রি জেগে তাহাজ্জুদ নামায সহ আল্রাহ্ সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করাই হলো প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইবোনদের কাজ। রমজান মাসের যে কোন আমলে দশ গুন সোয়াব পাওয়া যায়। তাই তো এই মাসে বেশী বেশী করে নফল এবাদত করা আমাদের প্রয়োজন। ইশরাক নামায, চাশত নামায এবং সালাতুল দোহা ও আমাদের বেশী বেশী করে আমল করা প্রয়োজন। যেহেতু এই মাসেই পবিত্র কোরআন শরীফ নাযিল করা হয়েছে, তাই এই মাসে বেশী বেশী করে কোরআন তেলওয়াত করাও প্রয়োজন। এমন কি কোরআন শরীফের অর্থ বুঝে যে কোন একটি সূরা কে লক্ষ্য করে তার তরজুমা করলে আরও বেশী ভালো হয়।
যেহেতু পবিত্র রমজান মাসে নফল এবাদতের সোয়াব বেশী তাই এই মাসেই আমাদের নিজেদের কে সুধরে নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। মিথ্যাকে পরিহার করে সত্য কে জীবনের জন্য আকঁড়ে ধরা উচিত। নিজের মনের কালিমা গুলোকে মুছে দিয়ে সত্য এবং সহজ সরল পথে চলার জন্য পিছপা হওয়া উচিত। মানুষের উপকারে নিজেকে উজার করে দেওয়ার শিক্ষা নেওয়া উচিত। মানুষের হক কে বা মানুষের প্রাপ্য কে সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া এবং আত্মসাৎ না করার শিক্ষাও আমাদের গ্রহণ করা উচিত।আমরা যদি পবিত্র রমজান মাসের নিজেকে একজন প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাই তাহলে সমগ্র বছরই আমরা নিজেদের কে ভালো মানুষ হিসাবে পরিচালিত করতে পারবো। তাই রমজানের শিক্ষা থেকে আমাদের কে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
এই পবিত্র রমজান মাসে মহান আল্লাহ্ কাছে বেশী বেশী করে গোনাহ মাফের জন্য পানাহ চাওয়া উচিত। নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী বেশী বেশী সদগায়ে জাড়িয়া করা উচিত। সমাজের অনাহারে থাকা মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমরা রমজান মাসে যে পরিমান অর্থ বা খাবার অপচয় করি তা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসা উচিত। মনে রাখতে হবে পরিমিত আহার যেমন দেহের জন্য ভালো, তেমনি করে আমাদের কে রাখবে রোগ মুক্ত।তাই আসুন আমরা নিজেদের কে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই রমজান মাসে শপথ নেই। সমাজ এবং নিজেদের কে করে তুলি দূর্ষণ মুক্ত। আর পবিত্র রমজান মাসে মহান আল্লাহ্ এর কাছে বেশী বেশী করে ক্ষমা ভিক্ষা চেয়ে নিজেদের কে গোনাহ্ মুক্ত করি।
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্যি বলতে রমজান মাস আমার কাছে এতটাই ভালো লাগে যে মাঝে মাঝে মনে হয় সারা বছর যদি রমজান মাস থাকতো তাহলে মনে হয় বেশ ভালো হতো। তাইতো বলি আসুন আল্লাহ্ সান্নিধ্য লাভের জন্য বেশ বেশী করে নিজেদের কে ইবাদত বন্দীগিতে মশগুল রাখার চেষ্টা করি এবং একজন ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
রমজান মাসটা আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন এই পবিত্র রমজান মাসকে নিয়ে। ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে। এই রমজান মাস আমাদের জন্য গুনাহ মাফের একটা সুযোগ। নিজেকে পাপ মুক্ত করার সময় হচ্ছে এই পবিত্র রমজান মাস।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি আজকে পবিত্র রমজান মাসকে নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। যেটা সম্পূর্ণ পড়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে। জেনারেল রাইটিং টা সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে মাহে রমজানকে নিয়ে লেখার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। সত্যি এই মাসটা সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই মাসকে যে তিন ভাগে ভাগ করেছে, এই সমস্ত দিনগুলোতে সবাই আল্লাহর নিকট অনেক কিছুই কামনা করে। এই মাসে সবাই নিজেদের কে গুনাহ্ থেকে মুক্তি করে। আপনি এই পোষ্টের মধ্যে বাস্তবিক কথাগুলোকে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু। আপনার এত মূল্যবান মন্তব্য পড়ে মনটাই ভরে গেল।
এরকম টপিক নিয়ে লেখা জেনারেল রাইটিংগুলো আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। মাহে রমজান নিয়ে সুন্দর করে লেখাটা লিখেছেন আপনি। রমজান মাস সবার জন্যই গুনাহ মাপের একটা সুযোগ। আর এই সময়টাতে প্রত্যেকেই আল্লাহর ইবাদত করে। এই মাসটা আমার কাছে এসব থেকে বেশি ভালো লাগে। যখন ছোট-বড় সবাইকে দেখি একই কাতারে নামাজ পড়ছে। এই মাসটা হচ্ছে রহমতের মাস। বছরজুড়ে এই মাসটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পুরোটা পড়ে সত্যিই অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আপনাদের ভালো লাগাতেই আমার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু যে মানুষের বিবেক যত প্রখর সেই মানুষ ততো বেশী বোঝার মতো শক্তি রাখে।সেই মানুষটির মধ্যে পাপ-পুন্য বোঝার শক্তি থাকে।আপনি রমজান মাসের পবিত্রতা নিয়ে চমৎকার কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। সত্যি এই মাসে আল্লাহর ভয়ে,আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে সবাই ভালো ভাবে চলার চেষ্টা করেন।তাই আমার ও মনে হয় সারা বছর রোজা থাকলেই ভালো হতো।ধন্যবাদ আপু চমৎকার ভাবে বিষয়টিকে নিয়ে সুন্দর অনুভূতি গুলো লিখে শেয়ার করার জন্য।
আমিও তাই বলি সারা বছর রোজা থাকলেই ভালো হতো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে এই রমজান মাস আমাদের সকলের জন্য একটি আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে আমাদের সারা বছরের যত পাপ রয়েছে তা ধুয়ে মুছে ফেলার একটি সুযোগ আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দিয়েছেন। এই পবিত্র মাসে আমরা সকলেই রোজা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এবাদত করে থাকি৷ এর ফলে আল্লাহ আমাদের উপর সন্তুষ্ট হোন এবং তিনি আমাদের ক্ষমা করার জন্য অপেক্ষা করেন৷ কখন আমরা ক্ষমা চাইবো তিনি সেই অপেক্ষায় বসে থাকেন এবং যখনই আমরা তার কাছে ক্ষমা চাইবো তখনই তিনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।