লাইফ স্টাইল- ছুটির দিনে নিজের মত করে কাটানো কিছু সময় ||holiday celebration @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সকলকে। ভালো আছেন তো সবাই? চলে আসলাম আজ আবার আপনাদের মাঝে নুতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আর আজও আপনাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ আর সুস্থ্য জীবন ধারা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চাচ্ছি। সত্য বলতে কি মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতে মনে চায় সেই দূর অজানায়। আর যদি পাখির মত ডানা থাকতো তাহলে তো কথাই নেই। উড়ে উড়ে বেড়াতাম এ ডাল হতে ও ডালে। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না। তাই একটু সুযোগ পেলেই বের হয়ে যাই ধারে কাছে কিংবা দূরে🙌।
এই তো কয়েকদিন আগের কথা। এক ভদ্রলোকের ইনভাইটেশনে নারায়গঞ্জের চাষাড়ায় গিয়েছিলাম। খুব জোর করছিল ভদ্রলোক। তাই না যেয়ে পারলাম না। তো বিকেলের পরে চলে গেলাম আমরা চাষাড়ার উদ্দেশ্যে। তো আমাদের কে বলল সুলতান ডাইনের সামনে অপেক্ষা করতে। তো আমরা সেখানেই অপেক্ষা করতে লাগলাম। হঠাৎ চোখে পড়লো একজন মহিলা বাচ্চা কুলে নিয়ে হাতে ফুল নিয়ে বসে আছে। ভাবলাম এই সন্ধ্যা বেলায় পেটের দায়ে বসে আছে মহিলাটি। তাই দামদর করে তার থেকে কিনে নিলাম সেই ফুলগুলো।
মহূর্তের মধ্যে চলে আসলো সেই ভদ্রলোক। তো আমরা তো ভাবলাম যে যেহেতু তিনি আমাদের কে সুলতান ডাইনের সামনে দাঁড়াতে বলেছে তো নিশ্চয় সেখানেই খাওয়াবে। মনটা বেশ ভালোই লাগেলো। আমরা তার সাথে সাথে উঠে গেলাম লিফট দিয়ে। কিন্তু কি হলো বলেন তো উনি তো আমাদের কে নিয়ে গেল ক্রাউনে। ধাৎ মনটাই খারাপ হয়ে গেল। দাওয়াত করে নিয়ে এসে এ অবস্থা! তাদের সাথে প্রয়োজনীয় আলাপ চারিতায় সময় পার হয়ে গেল।
আর আলাপ চারিতার এক ফাঁকে আমি উঠে যেয়ে বেশ ভালো করে সেই রেস্টুরেন্টের কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। বেশ সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছে রেস্টুরেন্টটির। জায়গায় জায়গায় থোকা থোকা আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে আর লাইটিং করে সাজানো হয়েছে। পুরো রেস্টুরেন্ট। তো আমি ঘুরে ঘুরে সমস্ত ফ্লোরটি দেখে নিচ্ছিলাম। আর ফটোগ্রাফি করছিলাম। আমার কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে পুরো রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন।
এরই মধ্যে ভদ্রলোক অর্ডার দিয়ে দিয়েছিল। দেখলাম কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসলো অনথন আর মাশরুমের স্যুপ। আরে আমি তো মাশরুমের স্যুপ খাইনা। আর অনথন খেলে তো এসিডিটি হয়। তো এসব দেখে মনটা বিষণ খারাপ হয়ে গেল। ভাবলাম হয়তো এর পরে আরও কোন বড় অর্ডার আছে। তাই তার কিছু খেলাম। না। তো এক সময়ে ভদ্রলোকের সাথে আমাদের কথা শেষ হয়ে গেল। তারপর উনারা বিদায় নিয়ে নিলো। কিন্তু ততক্ষনে ক্ষুধায় আমার পেট চুরচুর করছে। মেজাজটা গেল গরম হয়ে । আরে বেটা আমি না হয় অর্ডারটা করতাম। আমায় তো আর অর্ডার করতে দিলি না। তো ভিতরে রাগ আর মুখে হাসি নিয়ে উনাদের কে বিদায় দিয়ে দিলাম। কিন্তু ক্ষুধা তো লেগেই আছে।
আবার তখন বাজে রাত ৮.৩০। চাষাড়া হতে ঢাকায় আসতে কত যে বাজে কে জানে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা সবাই এখানেই খেয়ে যাবো। তাই আবার ওয়েটার কে ডাকলাম। তারপর আমাদের চারজনের জন্য অর্ডার করলাম ফ্রাইড রাইস উইথ ক্রেসপি চিকেন। সাথে আরও কি কি যেন। অবশ্য ওয়েটার আসতে বেশ কিছু সময় নিয়েছিল। তবে খাবার কিন্তু বেশ টেষ্ট ছিল। আর আমরা সবাই পেটপুরেও খেয়েনিয়েছিলাম। তবে মনে কিন্তু কিছুটা কষ্টও জমাট বেধেঁছিল। সে যাই হোক খাওয়া দাওয়া করে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম রাত ৯.৩০ মিনিটে। হায় রে কপাল! ঢাকায় এসে পৌছলাম রাত ১২.৩০ মিনিটে। ততক্ষনে আমার অবস্থা যা হওয়ার তাই হলো। এবার আপনারাই বলেন এমন দাওয়াত খেলে কেমন হয়?
আজ এখানেই ইতি টানতে হচেছ। আগামীতে আবার আসবো আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweeter
আহারে আপু! যে লোকের দাওয়াতে দেখা করতে গেছেন, উনি তো দেখি বেশি সুবিধার না। যাই হোক, প্রায় ৩ ঘন্টা লেগেছে ওতো রাতেও চাষাড়া থেকে ঢাকায় আসতে। বেশ ভালো ভোগান্তি গেছে। ভাগ্যিস ওখানেই খেয়ে নিয়েছিলেন। না হলে আরো কি অবস্থা হতো ভেবে দেখুন...
জি আপু তাই ভাবছি, ওখানে খেয়ে না আসলে কি অবস্থা হতো? ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।