সিক্রেট এবং ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম

হ্যালো আমার প্রিয় কমিউনিটির ভাই বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালোই আছেন। সবাই সবসময় যেন ভালো থাকি আমরা সবাই সবার জন্য এই দোয়াই কর। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালোই আছি। আর তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে সব সময় শুকরিয়া জানাই আমার নিজের ও পৃথিবীর সবার জন্য। আমরা সবাই যেন সবসয়ম ভালো ও সুস্থ থাকি। চলে এলাম আবারও আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সবার পছন্দ এবং আমার পছন্দের প্রিয় একটি পোস্ট নিয়ে। আর সেটা হলো ফটোগ্রাফি। আপনারা আমার টাইটেলে দেখতে পাচ্ছেন যে সিক্রেট ফটোগ্রাফি নিয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। সিক্রেট বললাম কারন আমি আজ আপনাদের জন্য কিছু ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। জানিনা এই ফটোগ্রাফি এর আগে কেউ পোস্ট করেছে কিনা। ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো হলো এখানে সব ধরনের জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। যা আমাদের অচেনা ও অদেখা থাকে। তাই ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে।পোস্টগুলো দেখতে আমার যেমন ভালো লাগে। আবার ফটোগ্রাফি করতেও আমার আরও বেশী ভালো লাগে। তাই যেখানেই যাই, যা দেখি না কেন ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে।

হ্যাঁ আমার প্রিয় সকল ভাই বোনেরা আজ কিছু সিক্রেট ফটোগ্রাফি নিয়ে এলাম। ও আচ্ছ কখন থেকে বলছি সিক্রেট ফটোগ্রাফি। কিন্তু কি সেইতো বলিনি।আজ আমি আপনাদের মাঝে প্রিয় কিছু তাজা মাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে এলাম। কিছুদিন আগে খিলগাঁও রেলগেটে একটা কাজে গিয়েছিলাম। তো আসার সময় দেখতে পেলাম যে সেখানে একটা মাছের ছোট বাজার আছে। যেখানে সব তাজা তাজা মাছ পাওয়া যায়। নদী থেকে ধরার সাথে সাথে নাকি এখানে এনে বিক্রি করে। আর এ নিয়ে কয়েকটা ব্লগও দেখেছি আমি। এই তাজা মাছগুলো দেখতে ও কিনতেও খুব ইচ্ছে করে। তাই আমিও একটু কাছে গিয়ে দেখছিলাম যে কি কি মাছ পাওয়া যায়। ওমা গিয়েতো আমি সুন্দর তাজা মাছগুলো দেখে লোভে পড়ে গেলাম। প্রতিটা মাছ কি সুন্দর নাড়া চাড়া করছিল । তখন দেখলাম অনেকে ব্লগিংও করছিল। তাই আমিও কিছু মাছের ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।এখানের অনেক মাছ আমি চিনি না বা নামও জানি না। তাই আমার মনে হলো ফটোগ্রাফিতে আমার মতো যারা আছেন তারা মাছও চিনে যাবেন। আর নামও যেনে যাবেন। আমার মাছের সংগ্রহ করা ফটোগ্রাফি থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের দেখিয়ে নিয়ে আসি।

সিক্রেট এবং ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি

image.png

প্রথমে যেই মাছটি দেখছেন এই মাছটি কিন্তু আমি ভালো করে চিনি এটি আমরা মলা মাছ নামে জানি। যা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম যোগাতে ও চোখের দৃষ্টি শক্তির জন্য অনেক উপকার। এই মাছটি আমার অনেক পছন্দের। তবে ছোটবেলা এই মাছগুলো প্রচুর খেলেও এখন এগুলো খাওয়া ধরাছোয়ার বাহিরে। কারন এই মাছগুলো অনেক দাম হয়ে গেছে। বিশেষ করে যাদের ফ্যামিলি বড় তাদের জন্য ২৫০ বা হাফ কেজী কিনেও পোষাবে না। তবে এই মাছ কিন্তু খেতে অনেক স্বাদ লাগে। এই মাছ বেগুন,টামাটো, বা পেঁয়জ দিয়ে চচ্চরি করলে গরম গরম ভাতের সাথে অনেক মজা লাগে। আপনারা কে কে এই মাছটি কি নামে চেনেন বা খেতে পছন্দ করেন জানাবেন।

image.png

এইবার যেই মাছের ফটোগ্রাফি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তা হলো চেউয়া মাছ। আমি এই মাছটিকে এই নামেই জানি। তবে ছোটবেলা থেকে কখনও খাইনি। শুনেছি মজা করে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার আশে পাশে সবাই আমাকে লোভ দেখায়। কিন্তু ছোট থেকে যেটা খাওয়া হয় না। সেটা কিন্তু হাজারও মজা হলেও খেতে ভক্তি আসে না। আমাদের বাসায় এই মাছটিও পেঁয়াজ দিয়ে বেশী করে তেল দিয়ে পোড়া করে চচ্চরি করে। রান্নার পর দেখতে অবশ্য অনেক সুন্দর লাগে। আর মাছগুলো যখন ফটোগ্রাফি করেছি তখন সব তাজা ছিল। ফটোগ্রাফিতে সেই দৃশটা আপনাদের দেখাতে পারিনি। তবে একসময় আবার গেলে ভিডিওগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। এবার বলেন এই মাছটিও আপনারা কি নামে জানেন বা খেতে কে কে পছন্দ করেন।

image.png

এটি হলো বাইং মাছ। সবার নাকি এই মাছটি অনেক পছন্দের মাছ। এই মাছটি নাকি মজা করে রান্না করলে খেতে গোশতের মত মজা লাগে। এই মাছটিও আমি খাই না? এত মজার মাছ খাইনা। যাইহোক এই মাছটি আমি নামে চিনতাম কিন্তু যখন ফটোগ্রাফি করেছি তখন চিনে নিয়েছি। মাছওয়ালা দোকানদার ভাই আমাকে চিনিয়ে দিয়েছে। আমার এই মাছগুলো প্রত্যেক দোকান থেকে কালেক্ট করা। আমাদের বাসার সাবাই এই মাছ গুলো খায় কিন্তু আমি খাই না। আপনারা এই মাছ কে কে খান, আর কে কিনামে চেনেন? কারন কথায় আছে এক দেশের বুলি আর আরেক দেশের গালি। তাই এক এক দেশে হয়তো মাছগুলো এক এক নামে জানে।

image.png

এটি হলো ফলি মাছ। এই মাছটি কিন্তু খাই। এই মাছ ছোট বেলা অনেক খাওয়া হতো। তবে ছোট বেলা দেখতাম আমাদের হাম বা পক্স হলে মা এই মাছ দিয়ে ঝোল রান্না করে খাওয়াতো। এই মাছের কোপতা খেতে অনেক মজা। আগে মার হাতে কত কোপতা খেয়েছি এই মাছের। এই মাছ বেগুন,বা সিম অথবা আলু দিয়ে রান্না করলে অনেক অনেক টেষ্ট লাগে। আর প্রতিটা তরকারিতে যদি দেয়া যায় টমাটো তাহলেতো তরকারিটির স্বাদ আরও দিগুন রেড়ে যায়। এখন মুখে লেগে আছে মায়ের হাতের এই মাছ দিয়ে রান্না করা প্রতিটি রেসিপি।ফলি মাছের কালারটিও কিন্তু অনেক সুন্দর গ্লেজ দেয়। প্রতিটা মাছ এত তাজা তাজা । তবে দাম বেশী। দাম এখন সব বাজারেই বেশী। কিন্তু এখানের মাছগুলো দেখেই লোভ লেগে যায়। এবার বলুন এই মাছটি কি নামে চেনেন আপনারা।

image.png

এই মাছটি হলো কারফু মাছ।যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম নড়ছিল এই কারফু মাছটিও। কিন্তু খেতে ভীষণ মজা। প্রায় আমাদের এই মাছগুলো আনা হতো। এই মাছের ডিম খেতেও কিন্তু অনেক মজা।আর এই মাছটিও কিন্তু ফুলকপি, সিম, বেগুন, দিয়ে রান্না করলে ভালো লাগে। আমি এই মাছটির নাম জানি কিন্তু মাছ দেখলে চিনি না। আসলে মাছ কিভাবে চিনবো ছোট বেলা দেখতাম এই মাছ বাবা আস্ত নিয়ে আসতো। কিন্ত এখন সময়ের তুলনায় সব চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। এখন এই মাছগুলো কেটে নিয়ে আসা হয়। এই মাছটিও কিন্তু খেতে অনেক স্বাদ। তবে আমি বেশী ডিম পছন্দ করি। প্রায় এই মাছের ডিম বাজার থেকে কিনে আনি। মাংস আর সবজির পাশাপাশি আমাদের শরীরের জন্য মাছও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ন। মাছ আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম আর ক্যালোরি যোগাতে সাহায্য করে। এবার বলুন কার কার কাছে এই মাছ পছন্দ।

image.png

এই হলো রুইমাছ।একটু ছোট সাইজের। অবশ্য পরে আরও বড় রুই মাছের ফটোগ্রাফি করেছি। এই মাছগুলোও বেশীই আমাদের খাওয়া হয়। আমি খাই তবে আমার সবচেয়ে পছন্দের মাছ চিংড়ি আর ইলিশ। মাছের বাজারে এত এত তাজা মাছ দেখে ভালোই লাগছিল। চেয়েছিলাম যে ভিডিও করবো কিন্তু সময়ের জন্য করা হয়নি। মাছের দোকানদার ভাইয়ারা বলছিল যে আপু আপনার চ্যানেলের নাম কি। এখানে প্রতিদিন কত ছেলে মেয়ে এসে ব্লগিং করে যায়। যাইহোক এই রুই মাছও কিন্তু অনেক কিছু দিয়ে রান্না করে খেতে ভালো লাগে।

image.png

আর এই হলো পাচঁমিলাশী মাছ। এক খাচিতে একসাথে অনেক মাছ । এতে সুবিধা আছে অনেক মাছ পাওয়া যায় এক সাথে এখানে বিভিন্ন মাছ ছিল কই,টাটকিনি,টেংরা ,তেলাপিয়া আরও বিভিন্ন প্রকার মাছ। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছি যে এখানে কি কি মাছ আছে। তারা আমাকে সব মাছের নাম বলে দিল। আমাদের বাসার গেটে এই পাচঁমিলাশী মাছগুলো আসে আমরা কিনিও। কিন্তু এখানের মাছগুলো সব তাজা।আপনারা যদি আসতে চান তাহলে এখানে এসে তাজা তাজা মাছ কিনে নিয়ে যেতে পারেন।

কেমন লেগেছে আমার আজকের সিক্রেট ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফিগুলো? আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলোও অবশ্যই ভালো লেগেছে। আজ তাহলে এখানেই আপনাদের সাথে আমার আজকের ব্লগটি শেষ করছি। আবারও আগামীকাল নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো। আপনাদের সবার সু-স্বাস্থ কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ।

ফটোগ্রাফির বিবরন
বিষয়ফটোগ্রাফি
ডিভাইসOPP-A16
ফটোগ্রাফার@mahfuzanila
ভৌগলিক অবস্থানঢাকা, বাংলাদেশ

পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুননি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

ধন্যবাদ সকলকে

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 months ago 

বাহ আপু আপনি দেখছি আজকে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার তোলা পাচঁমিলাশী মাছের ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর করে প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী ধারণ করেছেন।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া পাচঁ মিশালী মাছ আমার ও ভালো লেগেছে ধন্যবাদ সুন্দর মন্ত্যবের জন্য।

 2 months ago 

সত্যিই বিভিন্ন ধরনের মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আপু এই মাছগুলোর এত দাম যে সবার কেনার সামর্থ্য নাই। বিশেষ করে ছোট মাছগুলোর।দুদিন আগে আমি মলা মাছ কিনেছিলাম ৬০০ টাকা কেজিতে। খুবই ভালো লাগলো আপনার মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপু কয়েকপ্রকার মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আমাদের এখানে মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজী। ধন্যবাদ আপু এভাবে সবসময় সাটোট করার জন্য।

 2 months ago 
 2 months ago 

বাহ আপু আপনি তো দেখতেছি ভিন্ন ভিন্ন রকমের মাছের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে এই মাছগুলো আমাদের সবার প্রিয় মাছ। আর ছোট মাছগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুব ভালো হয়। তবে বর্তমান সময়ে বাইং মাছ আমাদের এদিকে খুব কম দেখা যায়। খুব সুন্দর করে ভিন্ন ভিন্ন রকম মাছের ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আমার মাছের ফটোগ্রাফিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

আপু আপনি তো দেখছি বিভিন্ন রকমের মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ধারণা করা প্রতিটা মাছের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি প্রতিটা ফটোগ্রাফির অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু আমার কাছেও মাছের ফটোগ্রাফিগুলো অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।

 2 months ago 

আমার করা মন্তব্য আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65792.18
ETH 2695.80
USDT 1.00
SBD 2.90