সুখে থাকলে ভূতে কিলায়- ৩য় পর্ব-10% Beneficiary To @shy-fox & 5% @ abb-school
আস্সালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলে অনেক অনেক ভাল আছেন। আমি আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুল্লিহ্ বেশ ভাল আছি। আর ভাল আছি বলেই আজ আবারও আপনাদের জন্য আমার প্রথম গল্পের আরও একটি ব্লগের অংশ নিয়ে আপনাদের সামনে আসলাম। আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক গ্লপ বা কোন কাহিনী শুনতে খুব ভালবাসতাম আর তাই মা বড় আপু বা যে, কারো সাথে কথা বললে আমি তাদের থেকে শুধু গল্প শুনতে চাইতাম কত শুনেছি ছোট বেলা এখনও মনে পড়ে। তারপর সেই গল্পটাকে আবার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের শুনাতাম। এখনও সেই অভ্যাসটা রয়ে গেছে। এখনও আমি গল্প শুনতে বেশ ভালবাসি। আর মাঝে মাঝে গল্প লেখার চেষ্টাও করি। আর চেষ্টা করি বলেই আজ আবার আমার সুখে থাকলে ভূতে কিলায় গল্পের তয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আসলাম।আশা করি গল্পের আগের প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশ যেভাবে গ্রহন করেছেন এর তৃতীয় পর্বও আপনারা সেইভাবে গ্রহন করবেন।
রায়হান হালিমাকে চাকুরী দেবার পর এভাবেই চলছিল তাতের জীবন। একসময় দেখা যায় হালিমার আচার আচরন পালটে যেতে থাকে। সে শুধুই অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তার কোন সংসারের দিকে মন নেই। রায়হানের দিকে তার মন না থাকতে পারে, কিন্তু তার সন্তান তার দিকেও হালিমার কোন খেয়াল বা যত্ন নেই। এই মুহুত্বে ঠিক হালিমাকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন হালিমা অবিবাহিতা। আর ঠিক এভাবেই হালিমা অফিস করতে থাকে। চাকুরীর জীবনে হঠাৎ করে হালিমা এক ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। আর তাই হালিমা প্রতিনিয়ত রাত করে বাড়ি ফেরে । রায়হান হালিমাকে কিছু বলতে গেলে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। রায়হান বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে হালিমাকে কিছু বলে না। এদিকে হালিমার সন্তানের প্রতি কোন কেয়ার ছিল না। দেখতে দেখতে হালিমার ছেলেটি ক্লাস প্লে-তে ভর্তি হয়। এভাবেই চলতে থাকে হালিমা আর রায়হানের সংসার। হালিমা যেন আজ চোখে রঙিন চশমা পড়েছে। তাই সে জীবনটাকে রঙ্গিনভাবে দেখার চেষ্টা করছে। তার কাছে তার সংসারটা ছিল সাদাকালো। একসময় রায়হান হালিমার কিছু আচরন দেখে উপলদ্ধি করতে পারে যে,হালিমার অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে এবং রায়হান একসময় হালিমার সাথে অন্য একটি ছেলেকে দেখতেও পায়। রায়হান বেশ কিছুদিন তাদের কে এক সাথে দেখেছে। বেশ কিছুদিন এমন দেখতে পেয়ে বুঝতে পারে যে অন্য কারো সাথে হালিমার ঘনিষ্ঠ সম্পক চলছে।
একসময় রায়হান পরিবারে অশান্তি না করে হালিমার মা-বাবাকে ডেকে বিস্তারিত বলে। তারা হালিমাকে শাসন করে যায় যে, এই রকম ফেরেস্তার মতো স্বামী আর কোথায় পাবি? তখন হালিমা তাদের কাছে ক্ষমা চাইল এবং বলল যে সে আর এইরকম করবে না। হালিমা এখন থেকে সংসার ঠিক মত করবে। কে বলতে পারে যে এইটা হালিমার মনের কথা ছিল না? পরদিন হালিমার মা বাবা বাড়িতে চলে যায়। হালিমার আচার-আচরনের অনেক পরিবর্তন হয়। সংসারের প্রতি হালিমার অনেক দায়িত্ব বেড়ে যায়। আর হালিমার এমন আচরণ দেখে রায়হান অনেকটা অবাকও হয়।
কিন্তু এরই মধ্যে হালিমা তার প্রেমিক বাধঁন কে নিয়ে মনে মনে প্ল্যান করতে থাকে। এভাবে দু তিন দিন চলে যায়। একদিন রায়হান বাসায় ফিরে হালিমা কে আর খুজেঁ পায়নি। রায়হান বেশ চিন্তায় পড়ে যায়। নানান জায়গায় খোঁজাখুজিঁ করে। কিন্তু হালিমা কে কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায় না। (চলবে)।
আজ তাহলে এই পর্যন্ত এখানেই শেষ করছি। জানিনা কেমন লেগেছে আমার এই গল্পটি আপনাদের কাছে? নতুন হিসাবে কতটুকু্ই বা মন ছুতে পেরেছে আপনাদের।যদি আমার এই গল্প আপনাদের কাছে এতটুকুও ভাল লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে একটি করে কমেন্ট করে যাবেন। আবারও এর পরের অংশ নিয়ে আপনাদের সামনে যেকোন দিন আসবো সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গল্পটি বেশ ভালোই লাগছে। মনে হচ্ছে রায়হানের জীবনে আগামীতে অনেক দুঃখ নেমে আসছে। আসলে এমনই হয়। আজকাল মানুষ গুলো বুকে খেয়ে চোখে ঠুকমারে। দারুন লেখছেন আপু। এগিয়ে যান আগামীর পথে।
এগুলো লেখার কোনো প্রয়োজন নেই : 10% Beneficiary To @shy-fox & 5% @ abb-school
ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর একটি উপদেশ দেওয়ার জন্য।