রেসিপি 🍲 আলু দিয়ে লাউ ভাজি।
০৬কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২২অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
০৫রবিউস সানী ১৪৪৫ হিজরী
রবিবার।
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
এসে গেছে শীতকাল বাজার ভর্তি শীতকালীন সবজির আনাগোনা। তাইতো আজকে প্রথমবারের মতো শীতকালীন সবজি লাউ এবং আলু দিয়ে ভাজির রেসিপি করে ফেললাম। এই ধরনের খাবার যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টিগুনে ভরপুর। গতকাল রাতে হোটেল থেকে রুটি কিনে এনেছিলাম এবং বাসায় আলু দিয়ে লাউ ভাজি করেছিলাম। মাঝে মাঝে চেষ্টা করি কিছু ভিন্ন ধরনের রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়ার জন্য। বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন একটি রেসিপি খেতে ইচ্ছে করেছিল। যেহেতু আপাতত বাসায় একা একা রুটি তৈরি করতে পারব না এজন্য হোটেল থেকেই কিনেছি ।এবং ভাজির রেসিপিটা ভাষাতেই সেড়েছি। ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার সাথে এখন ভাজির রেসিপিটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব আশা করছি ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ।
১.লাউ
২.আলু।
৩.ধনিয়াপাতা।
৪.পিয়াজ।
৫.মরিচ।
৬.হলুদের গুড়া।
৭.লবণ।
৮.তেল।
🍲
এই ধরনের রেসিপি অল্প সময়ে স্বল্প উপাদান দিয়ে প্রস্তুত করা যায়। উপরের ফটোগ্রাফিতে আপনাদেরকে রেসিপি প্রস্তুতের উপকরণ গুলোর ফটোগ্রাফি দেখিয়েছি।
📸
প্রথমে কড়াইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিয়েছি। তেলটি গরম হলে পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা পিঁয়াজ মরিচ এবং রসুনের টুকরো গুলো তার উপর দিয়েছি। এটি এবার ভালো করে ভেজে নিতে হবে। পরবর্তীতে এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ ধনিয়া গুড়া মরিচ গুঁড়া এবং হলুদের গুঁড়া দিয়েছি। এবার এটি সুন্দর করে কষাতে হবে তেলের মধ্যে দিয়ে।
🍲
মসলা প্রস্তুত হয়ে গেলে এবার পূর্বে কুচি করে রাখা লাউ এবং আলুর টুকরো গুলো মসলার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
🍲
এবার লাও এবং মসলাগুলো কিছু সময় একসাথে ভালোভাবে নেড়ে মিক্সার করে নিব। হালকা আওড়ানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
🍲
এবার সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রায় দশ মিনিট মত রাখতে হবে।
🍲
১০ মিনিট পরে এবার ঢাকনা সরিয়েছি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সবজি সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে ।এবং নিচে হালকা পরিমাণে পানি ও জমেছে। যেহেতু ঢাকা ছিল ভাবটা বের হতে পারেনি এজন্য পানি জমবে এটাই স্বাভাবিক।
🍲🍲
এবার ভালোভাবে নেড়ে নেড়ে ভাজিটি পানি মুক্ত করতে হবে। এজন্য তাপমাত্রায় একটু বেশি রেখেছিলাম। এরকম ভাবে 8 থেকে 10 মিনিট ভালোভাবে নাড়ার পরে যখন বুঝতে পারলাম বাড়িটা হয়ে গিয়েছে তখন প্রস্তুত করে রাখা ধনিয়া পাতাগুলো ভাজির মধ্যে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। যেকোনো রেসিপির মধ্যে ধনিয়া পাতা দিলে যেমন রেসিপি ঘ্রাণটা ভালো করে তেমনি খেতেও মজাদার হয়। আর শীতকাল মানেই তো যেকোনো ধরনের সবজির সাথে ধনিয়া পাতার মিশ্রণ। ফাইনালি এবার কিন্তু রেসিপি প্রস্তুত করা শেষ হয়েছে ।লবণের স্বাদটা চেক করে নিয়েছি। এখন থেকে অল্প অল্প করে উঠিয়ে খেতে শুরু করেছিলাম।
🍲
এবার রেসিপিটি চুলা থেকে নামিয়ে অন্য একটি পাত্রে ঢেলে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে পরিবেশন করেছি। আসলে রাতের খাবারে এরকম ভাজির সাথে রুটি অথবা পরোটা খুব ভালো লাগে আমার কাছে। এজন্যই বাজি প্রস্তুত করে রুটি দিয়ে খেয়ে ফেললাম। রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে মজা হয়েছিল তেমনি। শেষ করছি আজকের পোস্ট। আশা করছি আমার প্রস্তুত করা রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
খুবই চমৎকার একটা রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আলু দিয়ে লাউ ভাজি করলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম ভাত অথবা রুটির সাথে এগুলো খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
আলু দিয়ে লাউ ভাজি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
লাউ ভাজি আমার অনেক পছন্দের ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।আলু দিয়ে এভাবে রান্না করলে রান্নার স্বাদ টি অনেক সুন্দর হয়।রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপনি এভাবে লাউ ভাজি আলু দিয়ে খেতে খুবই মজা হয় খুব মজা করে খেয়েছিলাম ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আলু দিয়ে লাউ ভাজি আমি কখনও খাইনি। তবে আজকে আপনার রান্নাটি দেখে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। রেসিপিটির কালার অনেক কালার ফুল হয়েছে। আমার তো মনে হচ্ছে খেতে বেশ স্বাদেরও হয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আলু দিয়ে লাউ ভেজে একবার খেয়ে দেখেন রুটি অথবা পরোটা দিয়ে আশা করছি খেতে অনেক মজাদার হবে।
সকাল সকাল আম্মু আলু দিয়ে লাউ ভাঁজি করে দেয়। এতটা দারুন লাগে খেতে ভাইয়া।শীতকালীন সময় তো অনেক জনপ্রিয় এই রেসিপিটা। আর অনেক পুষ্টি এই রেসিপি টার মধ্যে । আপনার খেতে ইচ্ছা করছিল এবং মনের আশা পূরণ করেছেন। বেশ ভালো লাগলো। আপনি রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি অনেক দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। আপনার কাজগুলো সব সময় বেশ ভালোই লাগে
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করে অনেক সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
লাউ সবজিটা আমার খুবই প্রিয়। আর আলু দিয়ে লাউ ভাজি করলে তো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজকে আলু দিয়ে লাউ ভাজির রেসিপিটির প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ রেসিপি দেখে মন্তব্য করার জন্য।
আলু দিয়ে লাউ ভাজি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পরিবেশন করা আছে খেয়ে নিয়েন তবে ঝাল একটু বেশি হয়েছে সাথে অবশ্যই যেন পানি থাকে।
দুটো আলাদা আলাদা ভাজি খাওয়া হয়েছে, একসাথে খাওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না, তাই আজকের রেসিপি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে, বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন খুব ভালো লেগেছে।
লাউ এবং আলু দুটি একসাথে ভাজি করে খেয়ে দেখিয়েন আশা করি খেতে অনেক মজা হবে।
ভাইয়া, এখনো শীতকাল আসেনি সবে হেমন্তকাল শুরু হলো।যাইহোক রুটি দিয়ে যেকোনো ভাজি খেতে দারুণ মজার।আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে।যদিও আমি এগুলো একত্রে ভাজি খেয়েছি বলে মনে হচ্ছে না, তবে আলাদা আলাদা ভাজি খেয়েছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতকাল আসেনি তবে শীতের আবহাওয়াটা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে তাছাড়া বাজারে শীতকালীন সব সবজি উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
আলু দিয়ে লাউ ভাজির চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে ভাইয়া। মাঝে মাঝে এই ধরনের ভাজি খাওয়া হয়। তবে লাউ গোল গোল করে ভাজি করলে খেতে আরও বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
লাউ দিয়ে আলু ভাজির রেসিপি আপনারা অনেক ফেভারেট জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।