রুই মাছের ঝোল 🦊(১০%পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)🦊
★ ৪ মাঘ।
★ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
★ বুধবার ।
★ রুই মাছ রান্নার রেসিপি ও ফটোগ্রাফি।
আসসালামু-আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই-বোন ও বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই।আশা করি আপনারা সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি। আমি মোঃতৌফিকুল ইসলাম আমার ইউজার আইডি নাম(@kosto) আমি বাংলাদেশ থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন ইউজার।আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রুই মাছের ঝোল ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।
আমি জীবিকার তাগিদে শহরে একটি জব করছি।এখানে আমার কোন ফ্যামিলি মেম্বার নেই। আমার থাকা-খাওয়া সবকিছুই মেচে চলছে।আমাদের মেচে প্রায় ৫০ জন থাকি।আমাদের এখানে আটটি থাকার কক্ষ বা রুম রয়েছে।প্রতিটি রুমে সাতটি করে সিঙ্গেল বেড দিয়েছেন কোম্পানি।এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষ রয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ধরনের ভাষা কথা বলা সুনতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমিও তাদের সঙ্গে মিশে বেশ ভালোই আছি। আামাদের রান্নার যে আছেন তিনি অনেক মজার একটি মানুষ। তার গ্রামের বাড়িতে বিশেষ কাজ এর কারণে তিনি কিছুদিনের ছুটি নিয়ে গ্রামে যান।তাই আমাদের ইঞ্জিনিয়ার স্যার আমাকে এবং আমার পাশের রুমের একজন তরিকুল ভাইকে মেচের দায়িত্ব দেন।আমিও তরিকুল ভাই দুজনে বাজার করি এবং রান্না করি মিলেমিশে।তবে আর দেরি না করে চলুন রেসিপি দেখে আশি।
সবজির তালিকা।
উপকরণ | পরিমাপ |
---|---|
আলু | ২ কেজি। |
বেগুন | ১ কেজি। |
মুলা | ১ কেজি। |
পিয়াজ | ৫০০ গ্রাম। |
মিষ্টি কুমড়া | ২ কেজি। |
শুকনা মরিচ | ১০০ গ্রাম। |
রসুন | পরিমাণ মতো। |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো। |
লবণ | পরিমাণ মতো। |
আঁদা | পরিমাণ মতো। |
ফুলকপি | ১ কেজি। |
রেডি মসলা | ১ প্যাকেট। |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো। |
প্রথমে আমি সবজি কেটে নিয়েছি। সবজির মধ্যে রয়েছে সিম, মুলা, আলু, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি ইত্যাদি। সবজি গুলো কেটে এক জায়গা রেখেছি ধোয়ার জন্য।
এখন পিয়াজ,রসুন, আঁদা ও কাঁচা মরিচ পরিমাণমতো কেটে নিয়েছি।এগুলো এখন ব্যালেন্ডার মেশিন এর সাহায্যে বেলেন্ডার করে নিব।বেলেন্ডার করার পরের একটি পাত্রে রেখে ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
মাছ গুলো কেটে ধোয়ার পর হলুদ মাখিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল।তাই করায়ের ভেতর পরিমাণ মতো তেল ঢেলে গরম করে নিয়েছি।সে মাছ গুলো এখন সুন্দর করে ভেজে নিবো।মাছ গুলো ভাজার সময় এবং ভাজার পরের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম।
এখন বেলেন্ডার করা মসলাগুলো গরম করা এর ওপরে ঢেলে দিয়েছি।মসলা গুলো একটু ভেজে নেয়ার পরে সবজিগুলো ঢেলে দিয়েছি।এরপর ভাল করে মিক্স করে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে দিয়েছি।
পানি ঢেলে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঢেকে রেখে ছিলাম সবজিগুলো সিদ্ধ করার জন্য।তারপর ঢাকনাটি সরিয়ে ভাজা মাছ গুলো সুন্দর করে সবজির উপর বসিয়ে দিলাম।
মাছ গুলো সবজির উপর বসিয়ে দেয়ার পর ১০ মিনিট ঢেকে রাখলাম।এরপরে রাধুনী রেডি মাছের মসলা ছিটিয়ে দিলাম।কাজের ফাঁকে নিজের সাথে একটি সেলফি তুলে নিলাম।এটা আমাদের মেসের খাবার তাই বাটিতে বাটিতে আলাদা করে ভাগ করে দিয়েছি।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই ছিল আমারব্লগ।আমার বাংলা ব্লগ সকল মেম্বারের জন্য রইল শুভ কামনা।
🥀সকলকে ধন্যবাদ🥀
সমস্ত ছবির | তথ্য |
---|---|
লোকেশন | বাংলাদেশ 🇧🇩 |
ক্যামেরা | স্যামস্যাং এম ২১ |
ক্যামেরাম্যান | মোঃ তৌফিক ইসলাম(@kosto) |
w3words | https://w3w.co/images.cornering.lions |
দীর্ঘদিন ম্যাচ লাইফ পার করেছি এখন অবশ্য ফ্যামিলির সাথেই থাকা হয়।
ম্যাচ লাইফে মোটামুটি ভালো এনজয় করতাম বন্ধুরা মিলে সবাই একসাথে।
বিশেষ করে ম্যাচের ফিক্স মিল এর দিনে সবাই মিলে একসাথে খাবার খেতে খুব মজা হত।
আপনি দারুণভাবে রুই মাছের রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজাদার হয়েছিল।।
ম্যাচ লাইফে মোটামুটি সবাই মিলে ভালো ইনজয় করা যায়। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দীর্ঘদিন ম্যাচ লাইফ পার করেছি এখন অবশ্য ফ্যামিলির সাথেই থাকা হয়।
ম্যাচ লাইফে মোটামুটি ভালো এনজয় করতাম বন্ধুরা মিলে সবাই একসাথে।
বিশেষ করে ম্যাচের ফিক্স মিল এর দিনে সবাই মিলে একসাথে খাবার খেতে খুব মজা হত।
আপনি দারুণভাবে রুই মাছের রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজাদার হয়েছিল।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি তো দেখছি অনেক গুলো সবজি দিয়ে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি রুই মাছ খেতে অনেক পছন্দ করি। সেই মাছ যদি এতগুলো সবজি দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে আমার কাছে আরও বেশি ভালো লাগে। আপনার এত গুলো বাটিতে তরকারি সাজিয়ে রাখাতে ফুলের মতো ফুটে আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
ভাই আপনি তো অনেক সুন্দর করে সবজি দিয়ে মাছ রান্না রেসিপি তৈরি করেছেন দেখি অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনি যতগুলো রান্না করেছেন প্রথম আমি ভাবছিলাম এত রান্না কি করবে। পরে বুঝতে পারলাম আপনি মেচে রান্না করছেন। আসলে সবাই মিলে কত থাকলে একটু বেশি রান্না করার প্রয়োজন পড়ে। আপনার রান্না গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন।তবে সবাই একত্রিত থেকে একসাথে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনি রান্না করে বেশ সুন্দর করে অনেকগুলো বাড়িতে সাজিয়ে রেখেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে ঠিক বলেছেন ভাইয়া ম্যাচ লাইফে পরিবার-পরিজনকে ওই সাথে থাকে না। তবে আপনারা ৫০ জন এক সাথে থাকেন শুনে ভালো লাগলো। কারণ সবাই মিলেমিশে থাকলে এটাই নিজের পরিবার। আপনাদের জন্য যিনি রান্না করেন তিনি না থাকাতে আপনাদের দুজনের উপরে দায়িত্ব দিয়েছে, আর সেটা খুব ভালোভাবেই পালন করছেন দেখে ভালো লাগলো। বেশ অনেকটা পরিমাণে সবজি এবং মাছ রান্না করেছেন। এতটুকু পরিমাণে রান্না করাটা কিন্তু বেশ কঠিন। তারপরেও দেখছি আপনারা বেশ ভালোভাবেই করেছেন। রান্নার কালার টা দেখে ভালো লাগলো।
ঠিকই বলেছেন আপু ম্যাচ লাইফে এ পরিবার থাকে না কিন্তু আমরা এখানে যারা থাকি সবাই মিলে একটা পরিবার। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাহ এতো দেখি অনেক পরিমানে রান্না করেছেন। যদিও মেস লাইফ এর স্বাদ পাইনি কখনো। ফ্যামিলি ঢাকাতে থাকাতে সুবিধা হয়েছে। তবে মেস এর খাবার অনেক খেয়েছি। আমার বন্ধু থাকতো। ওদের মেস এ গেলেই খাওয়া হতো। খুবই সুস্বাদু করে রেধেছেন। যারা খাবে অবশ্যই মজা পাবে।
আসলে ভাইয়া বাড়ির রান্না সঙ্গে ম্যাচের রান্নার কোন তুলনা হয় না। তারপরও ম্যাচে রান্না করতে হয় অনেক পরিমাণে তাই প্রতিনিয়ত সুস্বাদ হয়ে ওঠে না। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রুই মাছ রান্না করেছেন আলু পেঁয়াজ ও সিম দিয়ে। যদি ওল তরকারি দিয়ে রানতেন তাহলে আরো দারুন লাগতো। তবে বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে এত সুন্দর রেসিপি দেখে। আপনি টেবিল আকারে অনেক মসলার নাম লিস্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সমস্ত উপাদান দিয়ে রেসিপি তৈরি করলেন এর জন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে পোস্টের।
সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। পরবর্তীতে রান্না করলে অবশ্যই আপনার বলা ওলকপি দিয়ে ট্রাই করবো।