আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩ (পর্ব ৫) - প্যারীচরণ সরকার হল
নমস্কার বন্ধুরা,
বইমেলায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের বইপত্র দেখে বাইরে বেরোতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ফেব্রুয়ারিতে আবহাওয়া ঠান্ডা হলেও বইমেলার ভীড়ে হালকা গরমই লাগছিল। কিছুটা সময় যে দাঁড়িয়ে জুড়িয়ে নেবো সে সুযোগ নেই কারণ সময় ঝরঝর করে বেরিয়ে চলেছে। ইংরেজদের বই পত্র দেখার জন্য বেশ কিছু সময় চলে গেল। কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে তাই দু দণ্ড অপেক্ষা না করে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঠিক উল্টো পাশেই বইমেলার দুটো হলের মধ্যে দুই নাম্বার হলটিতে ঢুকে পড়লাম। যেটা উৎসর্গ করা হয়েছে উনিশ শতাব্দীর বাঙালি শিক্ষাবিদ শ্রী প্যারীচরণ সরকার মহাশয়কে।
উনিশ শতাব্দীর এই শিক্ষাবিদ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা করেন তৎকালীন হিন্দু কলেজ যা বর্তমানে প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত। তিনি ভারতীয় বাচ্চাদের জন্য প্রথম সহজে ইংরেজি রিডিং বই লেখেন। যা ভারতের নানা ভাষাতে অনুবাদ করা হয় এবং প্রায় কয়েক লক্ষ কপি বিক্রি হয়। প্যারীচরণ সরকার নারী শিক্ষার উপরে খুব জোর দিয়েছিলেন, তিনি বাংলার প্রথম মেয়েদের স্কুল স্থাপনে ভূমিকা নেন। মেয়েদের শিক্ষার অনন্য ভূমিকার জন্য তিনি আর্নল অফ দা ইস্ট নামেও পরিচিত।
হলের গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম তখন চারিদিকে ভিড়ময়। আসলে বলা চলে যে বাইরে যতটা না ভিড় ছিল তার থেকে কিন্তু হলের ভিতরেই ছিলো অনেক বেশি মানুষজন। কিছু মানুষ বইয়ের স্টল গুলোতে বই হাতে নিয়ে পড়ায় ব্যস্ত, কিছু মানুষ বইপত্র খুঁজে কেনায় ব্যস্ত আর কিছু মানুষকে দেখলাম বই ঘুরে ঘুরে দেখছে।
বইমেলার দুই নাম্বার হলের ভেতরে ছিলো নানান প্রকাশনীর স্টল। বিশাল বড় হলে মোট ৪৭ টি প্রকাশনীর ছিল। তার মধ্যে সাহিত্য ভারতী, কথা ও কাহিনী, পাফিন, পেঙ্গুইন, বোস ইনস্টিটিউটের মত সমস্ত প্রকাশন ছিলো। তবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে যেটা সেটা হল প্যারীচরণ সরকার মহাশয় যেমন সেই সময়ের ভারতীয় বাচ্চাদের কথা ভেবে সহজে ইংরেজি পড়ার বই লিখেছিলেন তেমনি এই হলে ছিলো প্যাফিন ও পেঙ্গুইনের ছোটদের বইপত্র।
অনেক ধস্তাধস্তির পরে পাফিন প্রকাশনীর স্টলে ঢোকার জায়গা পেলাম। কিছু সময় খুজতেই আমার অন্যতম পছন্দের বই, দা জাঙ্গল বুক পেলাম। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি ভেসে উঠলো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
উনার জন্যই হয়তো বা আজ মেয়েরাও শিক্ষিত হচ্ছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও জাতি গঠনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তাছাড়া বইমেলায় গিয়ে যদি সামান্য কিছু জ্ঞান আহরণ করা যায় তাতেই তো মনে হয় অনেক কিছুই জেনে ফেলা যায়। বই কেনা হোক বা না হোক বইয়ের সাথে পরিচিত হওয়াটাই তো জরুরী। দা জাঙ্গল বুক বইটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।বইমেলায় ভিড় দেখে কিন্তু ভালই লাগছে। কারণ সচরাচর বইমেলা গুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায় না।