ধনতেরাসে রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিদর্শনে
নমস্কার বন্ধুরা,
অনেকদিন পর রাধা গোবিন্দ মন্দিরে যাওয়ার সুযোগ পেলাম। ধনতেরাসের শুভদিনে মন্দিরে যাওয়ার কথা আগে থেকেই ভেবে ছিলাম। আর সে জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম তবে বলতেই হয় মানসিক ভাবে যতটা প্রস্তুত ছিলাম শারীরিকভাবে ঠিক ততটাও নয়। আদপে দূর্গা পুজোর সময়ের শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠার পর থেকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে খুব সমস্যা হয়। অ্যালার্ম দিয়ে ঘুম থেকে তো উঠে যাই কিন্তু ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে আবার ঘুম পেয়ে যায়। সকাল নটার দিকে ঘুম থেকে উঠে সকালের জলখাবার আর ওষুধ তারপর আবার সাড়ে নটার মধ্যে বিছানায় নেতিয়ে পড়া।
আজকের দিনটা যেহেতু ভিন্ন ছিলো তাই সকাল বেলা উঠে মুখ চোখ ধুয়ে ওষুধটা খেলাম না। মনে মনে ঠিক করলাম দুপুরের দিকে খাবো। রাধা গোবিন্দ মন্দির বিশেষ দূর না হলেও সকাল সকাল বেরিয়ে যাওয়া হলো। আসল সকালেই বেরিয়ে যাওয়ার কারণ হলো দুপুরে মন্দিরে কীর্তন দেখা পাশাপাশি কীর্তন শেষে প্রসাদ গ্রহণ। দুই ইচ্ছে মনে নিয়ে মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া হলো।
মিনিট ৪৫ এর মধ্যে মন্দিরে পৌঁছে যাওয়া গেলো তবে যখন পৌঁছালাম তখন মাথায় উপর চড়া রোদ তাই মন্দির চত্বর টা ছিলো অন্যদিনের তুলনায় অনেকটা ফাঁকা। সেজন্য আমি বেশ খুশিই হলাম। যদিও আমার মাথায় তখন সেসব কাজ করছিলো না, রোদ থেকে বাঁচতে জোরে জোরে হেঁটে মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করে সোজা প্রণাম সেরে নিলাম।
প্রণাম সেরে মন্দিরের বাইরে এক ফাঁকা কোনায় ঠিক পুকুরে ধার দেখে বসে পড়লাম। আদপে মন্দিরের ঠিক পাশে এক বিশাল আকারের পুকুর আছে। আর সেই পাড়ে বসলে পুকুরের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে এসে লাগতে থাকে। গরমের থেকে তাৎক্ষণিক বাঁচার যেটা একমাত্র প্রাকৃতিক উপায়।
পুকুরের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগতেই চোখটা লেগে গেলো। হরি কীর্তনের আওয়াজ শুনে তবেই ঘুমটা ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলাম যে পুকুর পাড়ে বসেই আমি দু ঘন্টা ঘুমিয়ে নিয়েছি। কীর্তন শুনে গা ঝাড়া দিয়ে মন্দিরে ঢুকে পড়লাম।পৌনে এক ঘণ্টা কীর্তন চলার পর ঠাকুর দর্শন পেলাম।
ঠাকুর দর্শন করে তারপর পালা এলো প্রসাদ গ্রহণের। অন্ন ভোগের সাথে পেলাম, ডাল, বেগুন ভাজা আর তিন ধরনের সবজি।
মিষ্টি মুখ ছাড়া প্রসাদ গ্রহণ সম্পূর্ন হয় নাকি? অন্ন ভোগের পর চাটনি, পায়েস আর দু প্রকার মিষ্টি দিয়ে তবেই প্রসাদ প্রাপ্তির অন্ত হলো। আহা যেন অমৃত। ধনতেরাসের দিনে খুব সুন্দর কাটলো সময়টা।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দোয়া করি আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠেন। ধনতেরাসের দিন আপনার কাটানো সুন্দর মহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছি তবে বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারি না।
ধনতেরাসের শুভ দিনে রাধা গোবিন্দের দর্শন করা খুবই শুভ একটা দিন মন্দিরে কাটানো এর চেয়ে ভালো কাজ আর হতে পারে না দাদা। আগে থেকে পরিকল্পনা করে এরকম একটি মুহুর্ত কাটানো খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই দাদা।পুকুর পাড়ে বসে দু'ঘন্টা ঘুমানো এটা বেশ মজার ছিল।কিছু কিছু ঔষধ খেলে শরীর এত বেশি ক্লান্ত হয়ে যায় তখন এরকম যত্রতত্র ঘুম চলে আসে। কীর্তন শুনে প্রসাদ গ্রহণ করা সত্যিই অসাধারণ একটা ব্যাপার ছিল। প্রসাদের কথা আর কি'বা বলবো সেতো তো সবসময়ই অমৃত সমান হয়ে থাকে। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনার শুভ দিনটি।আপনার প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহূর্ত শুভ হোক এই প্রার্থনা করি দাদা।🙏🙏
পুকুরের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগতেই চোখ জুড়িয়ে গেলো। হাঃ হাঃ।
আসলে দাদা আমিও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারি না ৷ অ্যালার্ম দিয়ে সকাল বেল ঘুম থেকে উঠতে হয় ৷ আপনি আজকে রাধা গোবিন্দের মন্দির দর্শন করতে গেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ মন্দিরের প্রসাদ গুলো সত্যিই অমৃত মতো হয় ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
ওষুধ খেতে হচ্ছে তাই যন্ত্রণা আরো বেশি। বেশিক্ষণ জেগে থাকা যায় না।
দাদা খুব ভালো করছেন আপনি অসুস্থ থাকার পরেও রাধা গোবিন্দ মন্দিরে গিয়েছেন ৷ আর দাদা এখন তো দামোদর মাস৷ এই মাসে আমরা সবাই নিরামিষ খাই এবং কি কীর্তন করি ৷ আপনি সকাল সকাল মন্দিরে গিয়ে কীর্তন করে প্রসাদ খেয়েছেন ৷ খাওয়ার পর আবার মিষ্টান্ন বেশ ভালো লাগলো ৷
সর্বোপরি আপনার সুস্থতা কামনা করি ৷
একটা নতুন রীতি জানা গেলো তো। বেশ ভাল নিয়ম।
সবার প্রথমে বলতেই হবে মন্দিরের আউটলুক টা অসাধারণ এক কথায় 👌। আপনার মাধ্যমে রাধাগোবিন্দের দর্শন পেয়ে গেলাম দাদা 🙏। আশা করি ভগবান খুব দ্রুত আপনাকে সুস্থ করে দেবেন। আমি শুধু একটা কথা ভেবে অবাক হচ্ছি, আপনি ওভাবে খোলা জায়গায় বসে দু'ঘণ্টা ঘুমালেন টা কি করে! 😳,, 😅। আর দাদা আপনি মন্দিরে গেলে যে প্রসাদ মিস করেন না এ ব্যাপারটা দারুন লাগে আমার 😊।
জয় রাধা গোবিন্দের জয় 🙏
সত্যিই খুব সুন্দর। খোলা জায়গা ছিলো কোথায়? মন্দিরের চাতালে বসে ঘুমোলাম।
দাদা, আপনার লেখাটা পড়ে আমি বুঝতে পারলাম আপনি অসুস্থতার জন্য খুবই খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। না হলে এক জায়গায় বসে এক টানা ঘুমিয়ে থাকাটা একটা সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।দাদা, আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন এই দোয়া করি। দাদা, মন্দিরে পরিবেশটা বেশ সুন্দর বিশেষ করে যে পুকুরের পাড়ে বসে আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন সেই পুকুরের দৃশ্যটা বেশ সুন্দর লেগেছে। দাদা আপনি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে মন্দিরে গিয়েছেন আপনার এই ভক্তির যেন আপনার সুস্থতা দান করেন এই দোয়া করি।ধন্যবাদ দাদা
ধন্যবাদ দিদি 😇। আমিও খুব চেষ্টা করছি সুস্থ হয়ে ওঠার। ঠাকুর যদি চান তাহলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবো।
অসাধারণ লাগলো দাদা রাধাগোবিন্দ মন্দির। আপনার মাধ্যমে রাধাগোবিন্দ মন্দির দর্শন করতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সেই সাথে আপনার শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি। ঈশ্বর আপনার দ্রুত আর গোলাপ করুক।
ঠাকুরের জায়গা উনিই সুযোগ করে দেন। আমরা মাধ্যম মাত্র। 🙏🏽
তাই বলে ওষুধ না খেয়ে বেরোবে। যদিও তাতে লাভ টা কি হলো, সেই তো পুকুর পাড়ে দুই ঘণ্টা ঘুমালে। তবে সত্যি কথা বলতে রাধা গোবিন্দ মন্দির দেখে আমার মন ভরে গেছে। অতি দ্রুত তোমার সুস্থতা কামনা করছি নির্মাল্য দা।
ওষুধ খেয়ে গেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘুরে আসতে হতো। বাপরে বাপ। বাজে রকমের ঘুম হচ্ছে।