আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩ (পর্ব ৬) - জাপান ও রাশিয়া
নমস্কার বন্ধুরা,
প্যারীচরণ সরকার হল থেকে বেরিয়েই ছিল কলকাতা বইমেলার বিদেশী স্টল গুলো। কলকাতা বইমেলা এই খানে প্রাধান্য পায়, পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা ভাষা সাহিত্য এবং কবিতার ভান্ডার উঠে আসে। প্যারীচরণ সরকার হল থেকে বেরিয়েই ডান দিকের পথ থেকে একটু এগোতেই ছিলো জাপান রাশিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশের স্টল। যদিও বইমেলায় শেষ দিন হওয়ার জন্য দু একটা স্টল বাদ দিয়ে বাকি গুলো বেশিরভাগই বন্ধ ছিল। আমার সৌভাগ্য যে স্টল গুলো খোলা ছিল তার দুটোর সাহিত্য আমার এক চিলতে জানা। ওই দু একটা লেখকের নাম জানি আরকি।
পাশপাশি দুটো স্টল ছিল রাশিয়া এবং জাপানের। প্রথমটা স্টল ছিল জাপানের। বিগত কয়েক বছর ধরে জাপানি বই পত্র নিয়ে ভারতীয় সমাজের মধ্যে অদ্ভুত ধরনের কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আর কৌতূহল হবেই বা না কেন। আসলে বিগত কয়েক বছরে অ্যানিমে ও মাঙ্গা কমিকসের দৌরাত্ম্যে জাপানের বইপত্রের দরজা যেন পৃথিবীর মানুষের কাছে খুলে গেছে। যদিও ইচ্ছে থাকলেও জাপানের স্টলের কাছে গিয়ে ঘুরতে যেতে হলো। জাপানের স্টলের অন্তরে মারাত্বক ভীড়।
জাপান থেকে প্রত্যাঘাত পেয়ে পাশের রাশিয়ান স্টলে যাওয়া ঠিক করলাম যেটা তুলনামূলক ফাঁকা ছিল। আদবে, রাশিয়ান ভাষার সাথে আমরা সেরকমভাবে পরিচিত নই কিন্তু রাশিয়ান সাহিত্যের গভীরতা অনেকটাই। যেমনটা রাশিয়ান ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত ও নাচ। রাশিয়ার ভিতরে ঢুকে সমস্ত বইগুলো খুটে খুটে দেখতে থাকলাম।
যদিও আমি রাশিয়ান ভাষার কিছুই বুঝিনা কিন্তু কয়েকটা মুখ চেনাই লাগলো। যেমন বিখ্যাত রাশিয়ান সাহিত্যিক নিকোলাই গগই আর তার পাশে থাকার কবি আলেকজান্ডার পুশকিন। দুজনেরই কিছু অনুবাদ করা লেখা পড়েছি। গগই কে যেমন রাশিয়ান উপন্যাসের জনক বলা যায়। তার লেখার ঘরানা থেকেই রাশিয়ার উপন্যাসিকরা অনুপ্রেরণা নিয়ে লিখে চলেছেন।
রাশিয়ান স্টলে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতেই হল কারণ ভাষাটা যে বিশেষ বুঝিনা। ইন্টারনেট দেখে দেখে জিনিস গুলোকে খুঁজে বের করছিলাম। রাশিয়ান স্টলের পাশাপাশি আরো অনেকগুলো স্টল ছিল যদিও সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল বন্ধ।
আসলে শেষ দিনে এটাই হয়। বইমেলা শেষ লগ্নে হওয়ার জন্য সবাই এখন গ্রিল লাগিয়ে খোস মেজাজে আড্ডা দিতেই ব্যস্ত। এগিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই আর। যেগুলো স্টল এখন খোলা আছে সেগুলো সুযোগ মতো ঘুরে নিই, কখন আবার লাগিয়ে দেয়।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যিই দাদা মানুষের মধ্যে ঐ কিছু কিছু কমিকস আর অ্যানিমের ভালো লাগা আমাদের এদিকেও দেখা যায়। আর ইন্টারনেটের বদৌলতে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এগুলো। দাদা রাশিয়ান স্টলে ঘুরেছেন আর বেশ কিছু কবি সাহিত্যিক নিয়ে আলোচনা করেছেন বেশ ভালো লাগলো। আর শেষ দিকে দেখলাম স্টলের গেট লাগানো রয়েছে। গেট লাগিয়ে সব ভেতরে আড্ডা দিচ্ছে নাকি 😄
যাক বই মেলা নিয়ে আপনার পোস্টটি পড়ে ভালোই লাগলো আমার।
খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল দাদা।
বাইরেই আড্ডা দিতে দেখলাম। হাঃ হাঃ
আন্তর্জাতিক বইমেলা মানে যেখানে বিভিন্ন দেশের সাহিত্য লুকিয়ে রয়েছে। জাপানি স্টল গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। হয়তো বা সেখানে মানুষজন ভালো কিছু বই পড়ার আগ্রহ নিয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে রাশিয়ার ভাষা তো আমরা বুঝবোনা অনুবাদ করেই বুঝতে হবে। তাছাড়া আপনি বেশ সময় নিয়ে সেখানে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে পড়েছেন। আসলে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং জানার আগ্রহটাই তো মুখ্য বিষয়। এজন্য কোনো ভাষা হয়তোবা দমিয়ে রাখতে পারবেনা। তবে আমরা আমাদের ভাষায় যদি পড়তে পারি তৃপ্তি নিয়েই পড়তে পারি। ভালো লাগলো ভাই আজকের পর্ব পড়ে।
অনুবাদ করে বুঝতেই আরো বেশি সময় লাগলো।
দাদা, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে, জাপানি বইয়ের অনেক চাহিদা রয়েছে কলকাতা বাসীদের মধ্যে। আর রাশিয়ান ভাষা বুঝেন না কিন্তু ইন্টারনেট থেকে বোঝার চেষ্টা করেছেন এটা জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা। আন্তর্জাতিক কলকাতার বইমেলা সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশেষ করে কম বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে। জাপানিজ কমিকসের দারুন চাহিদা।