পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : কচিকলা একাডেমী
নমস্কার বন্ধুরা,
সৃজনী সংঘ থেকে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম কংগ্রেস পাড়া কচিকলা একাডেমীর পুজোতে। শহরের ঠিক মধ্যিখানের ছোট্ট জায়গায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই পুজোর প্রতি বছরই মূল আকর্ষণ থাকে তাদের আলোকসজ্জা। যেটার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসে তাদের আলোক সজ্জা ও পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখার জন্য। জায়গার স্বল্পতার জন্য কচিকলা একাডেমী পুজো কমিটি সুবিশাল মন্ডপ তৈরি করতে পারেনা। আর তাই তারা তাদের পুজোকে একটু অন্যরকম ভাবে সাজানোর চেষ্টা করে থাকে। যার মূল ভাবনার মধ্যে থাকে মন্ডপের অন্দরের সজ্জা। মন্ডপের অন্দরের সুন্দর কারু কার্য।
শহরের ঐতিহ্যবাহী পুজো কমিটি কংগ্রেসপাড়া কচিকলা একাডেমী ৫৬ তম বর্ষে পদার্পন করে এবারে তাদের পুজোয় মূলত দুটি দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। প্রথমত তারা বাংলার হস্তশিল্পীদের হাতের কাজ মন্ডপ সজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরেছে এবং চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের হাত ধরে তাদের পুজো মন্ডপের আলোক সজ্জা করেছে। আর দুইয়ের মিশেলে তারা তাদের মন্ডপটিকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করতে সক্ষম হয়। জড়ো জায়গা না থাকার জন্য স্বল্প পরিসরেই এত সুন্দরভাবে পুরো বিষয়টাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে পুজো কমিটিকে সত্যি বাহবা দিতে হয়।
কচিকলা একাডেমীর এবছরের মন্ডপের মূল ভাবনা ছিল কাল্পনিক মন্দির প্রতিকৃতি। আর কাল্পনিক মন্দিরের আকারে মন্ডপটি তৈরি করা হয়েছে বাঁশ ও বেতের কাজের উপরে। মূলত হস্ত শিল্পীদের কাজকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্যই পুজো কমিটি পুরো পুজো মণ্ডপটিকেই এমন ভাবে সাজিয়েছে। যেখানে প্রতি অংশেই শিল্পীদের অত্যন্ত সূক্ষ্ম কাজ রয়েছে। আরেকটি বিষয়ে নজর কাড়ে সেটা হল তাদের আলোকসজ্জা। যেটা মন্ডপের জায়গা কম থাকার জন্য মণ্ডপে আসার পথে জুড়ে সাজানো হয়েছে। আর পুরো আলোক সজ্জা চন্দননগরের কারিগর দের দিয়ে বানানো। এমনকি তাদের হাতের আলোতেই মণ্ডপের ভেতর আলোকিত হয়ে উঠেছে। যা মন্ডপের অন্দরের সূক্ষ্ম কারুকার্য আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
মন্ডপের মধ্যিখানে বিরাজ করছেন স্বয়ং জগৎ জননী মা। প্রতিবারের মতোই এবারেও কচিকলা ক্লাবের দেবী প্রতিমা বনেদিয়ানা ধাঁচের উপরেই তৈরি করা হয়েছে।
দাদা একটা বলতেই হবে আপনাদের দেশে পুজো মানে জমজমাট আয়োজন ৷ বিশেষ করে পুজোর আলোক সজ্জা ডেগারেশন সত্যিই মনোমুগ্ধকর ৷ কচিকলা একাডেমীর পুজোর থিম গুলো বেশ ভালোই ছিল ৷ সেই সাথে ঠাকুরের মূতি সবই দেখার মতো ছিল ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুুন্দর একটি পুজোর পরিক্রমা উপস্থাপন করার জন্য ৷
কচিকলা একাডেমির উদ্যোগগুলো আমার ভালো লেগেছে। প্রথমত তারা মন্ডপ তৈরিতে পুরোপুরি ব্যবহার করেছে বাঁশ এবং বেত। এবং হস্তশিল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে বাংলার চিরচেনা একটা শিল্প। আর মন্দিরের প্রতিকৃতিতে তৈরি থিম। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। এবং আলোকসজ্জার ব্যাপার টা তো আছেই।
দাদা কচিকলা একাডেমী তো এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে। তাদের আয়োজন দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। এমন আলোকসজ্জা এবং কারুকাজ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। এমন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হস্তশিল্পকেও যে এভাবে তুলে ধরা যায় সত্যিই দেখে অবাক হয়ে গেলাম দাদা।কংগ্রেস পাড়া কচিকলা একাডেমীর লোকজন দেখছি পূজো মন্ডপ সাজাতে বেশ পারদর্শী যদিও বা তারা কাজটি নিজেরাই করেনি কিন্তু আয়োজন হিসেবে তারাই কিন্তু একমাত্র বাহক ছিল। তারা এবারের পূজা দিয়ে ৫৬ তম বর্ষ পূর্ণ করে ফেলেছে। যদিও বা তাদের জায়গা কম ছিল কিন্তু আলোকসজ্জা গুলো খুবই দৃষ্টিনন্দিত ছিল যা আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে ।