পায়ে পায়ে কলকাতা: পর্ব ৭
নমস্কার বন্ধুরা,
১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হওয়া কলকাতা ভারতীয় জাদুঘর সারা ভারতের সবচাইতে পুরনো ও বৃহত্তম সংগ্রহালয়। যেখানে ভারতীয় সংস্কৃতি বিজ্ঞান এবং ভারতীয় উপমহাদেশের জীব বৈচিত্রের একাংশ ধরে রাখা হয়েছে। তাছাড়াও ভারতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে কিছু বৈদেশিক জিনিসপত্র রয়েছে যেটা আমরা ধীরে ধীরে দেখতে পাবো। তবে জাদুঘরে ঢোকার আগ পর্যন্ত আমরা যে পরিমাণে গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলাম। জাদুঘরে ঢুকে সে পরিস্থিতি অনেকটাই পরিবর্তন হলো। যদিও তার পিছনে শুধু জাদুঘরের পরিবেশই নয় তার সাথে সাথে তিনখানা জলের বোতলের অবদান কম ছিলো না।
জাদুঘরে ঢুকেই যেটা নজর এলো সেটা ভারতীয়রা মোটামুটি একনজরেই চিনতে পারে। সম্রাট অশোকের স্তম্ভ। যদি অশোকের স্তম্ভে তিন দিকে তিনটি সিংহ থাকে। আর এখানে একটি মাত্রই সিংহ অবশিষ্ট ছিল বাকিগুলো হয়তো ভেঙে গেছে। সেদিকে আর খেয়াল না করেই এগিয়ে গেলাম। সামনে এত জিনিসপত্র দেখার বাকি রয়েছে তার পাশাপাশি হাতে সময় এতটাই কম যে ঝটফট কিছুটা হলেও দেখে নিতে হবে।
প্রথমেই আমরা যে মূর্তির ছবি দেখব সেটা নবম কিংবা দশম শতাব্দীর ব্যাসল্ট পাথরের তৈরি গৌতম বুদ্ধের। যেটা ভারতের বর্তমান রাজ্য বিহার থেকে পাওয়া গিয়েছে। মূর্তিটির অনেকাংশ এখনো ভালো রয়েছে। যদিও হাত এবং মুখের কিছু অংশ সময়ের সাথে সাথে ভেঙে গিয়েছে তবে মূর্তিটি দেখলেই একটা মৌলিক ধারণা পাওয়া যায় যে মূর্তিটি অন্য কারো নয় গৌতম বুদ্ধের।
তারপরেই যে মূর্তিটি দেখতে পেলাম সেটি হলো দন্ডায়মান অবলোকিতেশ্বরের। নবম শতাব্দীর বিহারের নালন্দা শহরে পাওয়া এই মূর্তিটি গৌতম বুদ্ধের আরেক রূপকে দেখানো হয়েছে। যেখানে গৌতম বুদ্ধ করুণা রূপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন। মূলত বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মানুষদের মধ্যে এই মূর্তির পূজার সর্বাধিক পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
কলকাতা ভারতীয় জাদুঘর নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। জাদুঘরে অবস্থিত দন্ডায়মান অবলোকিতেশ্বরের মূর্তি সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে। পায়ে পায়ে কলকাতা অষ্টম পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।