নাটক রিভিউ // ভালোবাসার মায়া
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-০৮-২০২৩)
নাটকের নাম | ভালোবাসার মায়া |
---|---|
পরিচালক | সুমন আনোয়ার |
অভিনয় | অপূর্ব, তানজিন তিশা |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৯ জুন ২০২৩ ইং |
নাটকের শুরুতে আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়ক একটি হুইল চেয়ারে বসে আছে। আসলে নায়কের অসুস্থতা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই হুইলচেয়ারে বসে থাকতে হয়। তার আগেই নায়ক এবং নায়কার বিয়ে হয়েছিল। তাই নায়কা অফিস করে তাদের সংসার সামলাতে। একদিন হঠাৎ করে নায়কা বলছে আজকে অফিস থেকে বাসায় ফিরতে রাত হবে। নায়ক তখন শুধুমাত্র জিজ্ঞেস করেছিল কি কাজে তোমার এত রাত হবে তাই নায়কা বেশি রেগে গিয়েছিল। তখন নায়কা বলেছিল সংসার আমি চালাই বাড়ি ভাড়া আমি দিই তোমার ওষুধ কেনা খরচ আমি। এসব কথা বলে নায়কা অফিসে চলে যায়। অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখে নায়ক এখনো কিছু খাইনি এবং ওষুধও খাইনি। তখন নায়কা বলে তোমার এত অভিমান প্রত্যেকদিন আমার ভালো লাগেনা । আমি তো একটা মানুষ প্রত্যেকদিন অফিস করে এসে আমি বেশ ক্লান্ত থাকি আমার একটু শান্তি চাই। আসলে নাটকটা যদি আপনারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন অনেক শিক্ষা নিয়ে বিষয় আছে এই নাটকের মধ্যে।
নায়িকা অফিসে গিয়ে এক জায়গায় বসে ছিল বেশ কিছুক্ষণ। পরবর্তীতে তার একজন ছেলে কলিক এসে তার সামনে বসলো এবং দুজন গল্প করছিল। তার সেই ছেলে কলিক বন্ধু নায়কের কথা জানতে চাইলো বলছে বাড়িতে তো প্রত্যেকদিন ঝগড়া লেগে থাকে আমাদের। প্রথমে এই সমস্ত কথা বলতে চেয়েছিল না কিন্তু তাও বলছিল আমি তো তোমার শুধু কলিক না ভালো একজন বন্ধু। তারপরে নায়কা তার ফ্যামিলির সব কথা তার সেই বন্ধুকে জানাই। তখন সেই ছেলেবন্ধু বলে উঠলো তুমি কি রিলেশনটা কন্টিনিউ রাখতে চাচ্ছ। তারপরে নায়কা হঠাৎ করে সেখান থেকে উঠে বলল স্যারকে আমার একটা ফাইল দেওয়ার আছে তাই বলে চলে গেল। নায়কের দুই পা অচল হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় দিনে পা মালিশ করতে হয় এবং হুইল চেয়ারে বসে থাকে। এভাবেই তার দিনগুলো কাটতে থাকে প্রায়। নায়কের বোন তাকে জিজ্ঞেস করছিল ভাইয়া ভাবি কেমন আছে । আসলে এই সমস্ত নানা কথা জিজ্ঞেস করছিল। আসলে নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছিল। সময় পেলে অবশ্যই আপনারা চেষ্টা করবেন নাটকটি দেখার।
এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পরে নায়কা একদিন তার অফিসের কলিক কে বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপরে নায়কের সাথে এসে সবাই একসাথে কথা বলে। তারপরে নায়কা বলে তোমরা এখানে বসে গল্প করো আমি তোমাদের জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসছি। নায়কা যখন চা বানিয়ে নিয়ে আসলো নায়ক সেখান থেকে চা না খেয়ে চলে আসলো বললো তোমরা খাও তাই বলে হুইল চেয়ারে করে ঘর থেকে বের হয়ে আসলো। তারপরে নায়কা এবং নায়কার কলিক চা খেয়ে নায়কার কলিক চলে গেল। তারপরে নায়কা গিয়ে নায়কের সাথে অনেক রাগারাগি করে। বলে ভদ্রতা বলে তো একটা জিনিস আছে সেটাও কি তোমার মধ্য থেকে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। নায়ক তখন অনেক রেগে যায় দুজনের মধ্যে রাগারাগি সৃষ্টি হয়। আসলে আমি মনে করি যে ভালোবাসার মধ্যে কোন রাগারাগি নেই তাহলে সেটা ভালোবাসা হতে পারে না। আসলে আমার কাছে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছিল।
তারপরে নায়কা আবারো একদিন হঠাৎ করে অফিসের কলিক কে বাসায় নিয়ে আসে। তারপরে দুজন একটি রুমের মধ্যে বসে অনেক গল্প এবং হাসাহাসি করছিল। সেই সময় নায়ক রুমের দরজার পাশে হুইল চেয়ারে বসে সবকিছু শুনতে পায় তারপরে সেখান থেকে চলে গিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসে থাকে। তারপরে তারা দুজন অনেক গল্প করে সেখানে। নায়কা বলে আমাদের দুজনের প্রথম পরিচয়টা না কত অদ্ভুত। তখন নায়কার বন্ধু বলে আমার যদি সাহস না থাকতো প্রথম পরিচয় কি আমি তোমার বন্ধু হতে পারতাম। এসব আলোচনার পরে চলে যায় নায়কার বন্ধু। রাতে ঘুমানোর আগে নায়কা নায়ক কে গিয়ে বলে চলো ঘুমাতে হবে আমি তোমাকে বিছানায় উঠিয়ে দুজন ঘুমাবো। কিন্তু নায়ক তখন রাগ করে বলে আমি ঘুমাবো না তুমি যাও গিয়ে ঘুমাও গা। এসব বলার কারণ বাড়িতে তার অফিসের কলিক এবং বন্ধুকে নিয়ে আসে বলে। আসলে নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলে কিন্তু বেশ মজা হবে। কোনো হাসবেন্ড সহ্য করবে না তার ওয়াইফ যদি এভাবে একটি ছেলের সাথে হাসাহাসি করে বা গল্প গুজব করে।
আসলে ঘরের কলিংবেল বাজছিল এই সময় ঘরের ভেতরে নায়ক ছিল তাই নায়ক দরজা খোলার জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু হুইল চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে পারছে না। অবশেষে নায়ক হুইল চেয়ার থেকে পড়ে যায়। আপনারা এবার দেখতে পাচ্ছেন নায়কা এবং নায়কার বন্ধু একটি ঘরের মধ্যে অনেক কথা আলাপ আলোচনা করছে। নায়কা বলছে আমি তো বিরাট সমস্যার মধ্যে পড়েছি। নায়কার বন্ধু বলছে কোন সমস্যা নেই তুমি গিয়ে বলে দাও আমি তোমাকে ডিভোর্স দিতে চাই। নায়কা তখনো আবার চিন্তা করছে যদি এই কথা বলার সাথে সাথে ওর কোন সমস্যা হয়। তারপরে হঠাৎ করে নায়ক হুইল চেয়ার নিয়ে ঘরের মধ্যে চলে আসে। তারপরে বলে অনেক রাত হয়েছে আপনি এখন বাড়িতে চলে যান তার পরে নায়ক তাকে বাড়িতে দিয়ে পাঠায়। তারপরে নায়কা এবং নায়ক দুজন বসে কথা বলতে থাকে এবং আলাপ-আলোচনা করতে থাকে। আসলে নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদি সময় পান অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবেন আপনারা।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন নায়ক এবং নায়কা দুজন বসে গল্প করছিল। নায়ক বলছিল আমার অসুস্থতা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তুমি অনেক কষ্ট করে সংসার সামলে এসো আমাকে দেখাশোনা করেছ তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা কখনোই ভুলতে পারবো না। নায়কা সবকিছুই তখন মাথা নিচু করে শুনতে ছিল। নায়ক বলে আমি জীবিত থেকেও মৃত্যুর মতো হয়ে গিয়েছিলাম। আমি আমার এই জীবনটাকেই আস্তে আস্তে মেনে নিতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার রহমতে আবারো আমি দুই পায়ে দাঁড়াতে পারছি তখন হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং নায়কা দেখে অবাক হয়ে যায়। তখন নায়কার দুচোখ বয়ে জল পড়তে থাকে খুশিতে। নায়ক বলে আমি এখন মায়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি তোমার হাতে চাবি দিয়ে গেলাম ফ্ল্যাটের তুমি এখনো ভাবো। এই বলে নাটক শেষ হয়ে গেল। আসলে নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটকটি অবশ্যই আপনারা দেখার চেষ্টা করবেন এবং কমেন্ট বক্সে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানানোর চেষ্টা করবেন। আপনাদের সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৮.৫
Link
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1693183877001675232?s=20
অপূর্ব এবং তানজিন তিশা অভিনীত ভালবাসার মায়া নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ দেখে নাটকটি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে। কারন আমি এই টাইপের নাটক গুলো বেশি পছন্দ করি। যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আসলে ভাই আমিও মনে করি সবাই ভালোবাসার নাটকগুলো বেশি পছন্দ করে। তবে অবশ্যই সময় পেলে দেখার চেষ্টা করবেন ভাই।
অপূর্বের নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে আপু বর্তমান সময়ে অপূর্ব বেশ সুন্দর সুন্দর নাটক করে । তাই অপূর্ব নাটক গুলো দেখতে সবার কাছে বেশ ভালো লাগে আমি মনে করি। অবশ্যই আপু সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবেন।
ভালোবাসার মায়া নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে এ নাটকটির রিভিউ পোস্ট করেছেন। নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী এই রিভিউর মাধ্যমে পড়ে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। আসলে ভালোবাসাটা যদি এরকম হয় তখন সত্যি খুব ভালো লাগে। নায়িকা কিন্তু নায়ক কে প্রচুর যত্ন করেছিল নায়কের এরকম অবস্থায়। শেষ পর্যন্ত দেখছি নায়ক নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে এবং কি সে ভালো হয়ে গিয়েছিল এটা দেখে ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি ভালোবাসার সম্পর্কে যদি এরকম মধুর হয় তাহলে সবার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ভালোবাসার মায়াটা যখন একবার মনের ভেতর আটকে যায়, তখন ভালোবাসার মানুষটা যেরকম অবস্থায় থাকুক না কেন তাকে অবহেলা করা যায় না। অপূর্ব পঙ্গু হয়ে যাওয়ার পরেও তানজিন তিশা তার পাশে ছিল এবং তার যত্ন নিয়েছিল অনেক ভালোভাবে। আর শেষ পর্যন্ত অপূর্ব সুস্থ হয়ে গিয়েছিল এটা দেখে ভালো লেগেছে। সময় পেলে নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। অনেক সুন্দর ছিল আপনার এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট।
আমি তো এটাই মনে করি ভাই ভালোবাসার মানুষ যে অবস্থায় থাকুক না কেন সব সময় তার পাশে থাকতে হবে এটাই হচ্ছে সত্যিকারের ভালোবাসা। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
তানজিন তিশা অভিনীত নাটকগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই এই নাটক গুলো দেখি। যদিও আপনার রিভিউ করা নাটকটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি কিন্তু আপনার শেয়ার করার রিভিউ পড়ার মাধ্যমে নাটকটি দেখার ইচ্ছা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি তানজিন তিশার অভিনয় গুলো দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
তানজিন তিশা আর অপূর্ব অভিনীত নাটকগুলো বেশ ভালোই লাগে আমার।মাঝে মাঝে দেখি।আপনার রিভিউ পোস্ট পড়ে অনেকটা আগ্রহী হলাম নাটকটি পড়ার জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।