দিনলিপি // বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আনতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১২-০৯-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আনতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত। প্রত্যেক দিনের ন্যায় আজকেও সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে পোস্ট লেখা শুরু করে দিয়েছে। আসলে প্রায় সময় দিনের বেলায় বেশ ব্যস্ত থাকতে হয় তাই চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত সকাল-সকাল যুক্ত হওয়ার জন্য। বিছানায় শুয়ে থেকেই পোস্ট লেখা শুরু করেছিলাম। এত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। ঘটনাটি হচ্ছে কিছুদিন আগের ঘটনা। আমি আর মোস্তাফিজুর মামা দুইজন মিলে বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আনতে গিয়েছিলাম মেহেরপুরে। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক.....
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনিক কার্যালয় এর পাশেই ছিল বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সেই জায়গাটি। সেখানে প্রবেশ করা মাত্রই আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি যেই ছবিটি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেখানে মূলত বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। আমি আর মোস্তাফিজুর মামা প্রথমে সেখানে গিয়েছিলাম। তারপরে মোস্তাফিজুর মামার সেই কাঙ্খিত ড্রাইভিং লাইসেন্স আমরা হাতে পেয়েছিলাম। এখনো আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বয়স হয়নি তাই খুব বিপাকের মধ্যে আছি বাইক চালাত খুবই ভয় করে যেখানে সেখানে পুলিশ মবেলকোট বাসায় এখন। যদি গাড়ি একবার ধরতে পারে তাহলে অনেক টাকা জরিমানা তাই খুব দেখে শুনে চালাতে হয়।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে অনেক সুন্দর ভাবে আমের কিছু দৃশ্য তৈরি করে রাখা হয়েছে। আসলে দেখার পরে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল তাই মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। সেই দিন আমরা দুই মামা ভাগ্নে মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে সেই দিন দেখতে পেয়েছিলাম হঠাৎ করে কিছু ইউকিল আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মামাকে বলেছিলাম চলেন আজকে আদালত দেখতে যাব। তারপরে একজন লোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম দেখতে দেবে কিনা তারপরে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। তারপরে দেখতে পায় অনেক মানুষ যাচ্ছে তাদের সাথে আমি আর মামা গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ দেখার পরে আবারো চলে এসেছিলাম।
এভাবে আমরা একতলা দুইতলা তিনতলা সব জায়গা ঘুরে বেড়িয়ে ছিলাম। সেই দিন দুই মামা ভাগ্নে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তারপরে হঠাৎ করে দেখতে পাই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভিতরে ব্যাডমিন্টন খেলার কোট। আসলে দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তাই আমি উপর থেকে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। আসলে আমার বেশ প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন। আমাদের গ্রাম থেকে পরপর চারবার ব্যাডমিন্টন খেলায় আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। আসলে সেই সময়ের অনুভূতি কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনের কিছু অংশের ছবি তুলে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই জায়গাগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তখন বেশ সুন্দর মনোরম পরিবেশ ছিল। ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পরে যখন আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম। তখন আমি মামাকে বলেছিলাম আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আমাকে একটা বাইনান্স একাউন্ট খুলে দিতে হবে। এভাবেই দুজন মিলে অনেক ইয়ার্কি আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম।
সেখান থেকে আসার কিছু সময় আগে আমি এবং মোস্তাফিজুর মামা দুজন মিলে অনেক সুন্দরভাবে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে সেলফি তুলে ছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে মামা ভাগ্নের মধ্যে যে এত মিল আর কারো আছে কি আমার মনে হয় না। বাড়িতে গেলে চেষ্টা করি প্রায় সময় মামার সাথে থাকার জন্য। বাড়ি আসার পথে দুজন মিলে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম তারপরে গাড়িতে উঠে আবারো বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে সেই দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনাদের ওখানে গিয়ে আনতে হয়? এখন তো পোস্ট অফিস ডেলিভারি সিস্টেম করেছে। আমিও ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। কিছু দিন পর ডেলিভারি পাবো৷
একটু ভুল আছে এখানে৷ ঠিক করে নিয়েন৷
ভাই আমাদের এখানে গিয়ে নিয়ে আসতে হয়। আপনিও ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই মতামত দেওয়ার জন্য।
আসলে বর্তমান সময়ে রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স খুবই জরুরী। যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে সার্জেন্ট আপনাকে জরিমানা করতে পারে। আর এক্ষেত্রে আপনার কিছুই করার থাকবে না। যাহোক ভাগ্নে তুমি, তোমার মামার সাথে করে ড্রাইভিং লাইসেন্স আনতে সুদূর মেহেরপুরে গিয়েছিলে। বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আনার অনুভূতির আমাদের মাঝে প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি বর্তমান সময়ে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যেকেরই বেশি জরুরী। ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য।
সকাল বেলার কাজগুলো বরাবরি অনেক বেশি ভালো হয় সকালবেলা যে কোন কাজ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং কাজ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন পোস্ট করার এটা সত্যি অনেক ভালো একটা দিক। ড্রাইভিং লাইসেন্স আনতে গিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মুস্তাফিজুর ভাইয়ের সাথে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো এর আগেও দেখেছি আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে পরে বাইক চালাতে অবশ্যই অনেক বেশি ভয় লাগে কখন পুলিশ ধরে কেস দিয়ে দেয় বলা যায় না। যাইহোক বয়স হবার সাথে সাথে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্সটা করবেন। সুন্দর এই মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে দুই মামা-ভাগ্নে মিলে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বেশ ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেই দিন।