জেনারেল রাইটিং // গাছ কাটতে গিয়ে সাপের ভয়ে দৌড়ে পালানো (দ্বিতীয় পর্ব)

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গাছ কাটতে গিয়ে সাপের ভয়ে দৌড়ে পালানো । আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকাল আমাদের বাড়ির পাশে মাহফিল ছিল তাই সব থেকে বেশি ব্যস্ত ছিলাম। গতকাল আমাদের বাড়িতে আমার বন্ধুরা এসেছিল এই কারণেও একটু ব্যস্ত ছিলাম। বন্ধুদের সাথে গতকাল অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছিলাম তারপরে বাড়িতে এসে সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে সবাই মিলে আবারো খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমার রুমে বসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে বন্ধুরা সবাই বলল বাড়িতে চলে যাবে। তারপরে বাড়ির পাশে রাস্তায় গিয়ে বন্ধুদের গাড়িতে তুলে দিয়ে আমিও বাড়িতে চলে এসেছিলাম। গোসল শেষ করে জুম্মার দিন নামাজ আদায় এর জন্য গিয়েছিলাম। তারপর বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারো বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি গাছ কাটতে গিয়ে সাপের ভয়ে দৌড়ে পালানো। আসলে এই পোষ্টের কিছু অংশ আপনাদের মাঝে প্রথম দিন আমি শেয়ার করেছিলাম। আসলে আমাদের মাঠে ছয়টা মেহগনি গাছ ছিল সেগুলো কাটতে গিয়ে অনেক সাপ দেখতে। প্রথম দিন আমরা চারজন লোক নিয়ে গিয়েছিলাম গাছ কাটার জন্য। কিন্তু সেই দিন সব গাছ কাটা কমপ্লিট করতে পেরেছিলাম না। দ্বিতীয় দিন আমরা মোট পাঁচ জন লোক গিয়েছিলাম গাছ কাটার জন্য। দ্বিতীয় দিন সকাল বেলায় গিয়ে প্রথমে আমরা একটি গাছ কেটেছিলাম কিন্তু সেই গাছটির গোড়ায় কোন সাপ ছিল না তাই প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন ভয় পেয়েছিলাম না। দ্বিতীয় দিন আমরা প্রথমে যেই গাছটি কেটেছিলাম সেই গাছটি হচ্ছে ছয়টি গাছের মধ্যে সবথেকে ছোট গাছ তাই হয়তো কোন সাপ পেয়েছিলাম না।

দ্বিতীয় দিন যখন আমরা দ্বিতীয় গাছ কাটা শুরু করেছিলাম তখন কোদাল দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি খুঁড়তে প্রথমে একটি সাপ গাছের গোড়া থেকে বেরিয়ে আসে। যেই লোকটি কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে ছিল সে অনেক ভয় পেয়েছিল তারপরে সাপটি মেরে ফেলে। এভাবেই আবারো সেই গাছটি কাটা শুরু করে। একটি গাছ কাটার জন্য অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়েছিল আসলে অনেক দিন আগের মেহগনি গাছ আনুমানিক ২০ বছরের উপরে হবে। আসলে এই গাছগুলো আমার দাদা লাগিয়েছিল। দুঃখের বিষয় আমার দাদা কিছুদিন আগে মারা গিয়েছে। এভাবে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা পরে আমরা দ্বিতীয় গাছ কাটা সম্পন্ন করেছিলাম কিন্তু দ্বিতীয় কাজটি কাটার সময় আরো তিনটি সাপ বের হয়েছিল গাছের গোড়া থেকে সবগুলো মেরে ফেলে হয়েছিল। আসলে এক একটি কুলিম সাপ অনেক লম্বা লম্বা দেখলেই অনেক ভয় পেয়েছিলাম সেদিন।

তার কিছু সময় পর আমি বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম এবং বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম সেই লোক গুলোর জন্য যারা আমাদের গাছ কাটছিল। যেখানে আমাদের গাছ কাটছিল পাশে একটি স্যালো মেশিন চলছিল। সেই স্যালো মেশিন থেকে পানি উঠছিল সেখানে গিয়ে সবাই অনেক সুন্দরভাবে হাত মুখ ধুয়ে এসে খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছিল। সেখানে সবাই খাওয়া-দাওয়া করে কিছুক্ষণ গাছের নিচে বসে রেস্ট নিচ্ছিল। তখনই সেখানকোর একজন লোকের পায়ে হঠাৎ করে একটি সাপে কামড় দেয় সত্যিই তখন আমি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর সেই সাপটিকে মারার জন্য সবাই ঘিরে দাঁড়িয়ে পড়ে।

সবাই সেই সাপটিকে মারার জন্য তখন প্রস্তুতি নেই। আমি তখন নিষেধ করেছিলাম সাপটিকে মারার দরকার নেই সাপটিকে আপনারা চলে দিতে দিন। যেই লোকটিকে সাপে কামড়িয়ে ছিল সেই লোকটির পা কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি গামছা দিয়ে আমি বেঁধে দিয়েছিলাম। তার কিছুক্ষণ পরে আমি বাড়িতে এসে আমাদের বাড়ির পাশ থেকে একজন উজাকে ডেকে নিয়ে গেলাম। আসলে আমাদের বাড়ির পাশে একজন আছে যিনি সাপের বিষ নামাতে পারে। তারপর আমি আমার সেই দাদিকে ডেকে নিয়ে মাঠে চলে গেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার দাদি হাতছালান দিয়ে দেখল তাকে কুলিম সাপে কামড়িয়েছে পায়ে। দাদি তখন সেখানেই সাপের বিষ নামিয়ে দিল।

দাদি তখন আমাকে বলল মহিলা মানুষের মাথার চুল লাগবে দুই থেকে তিনটা কিন্তু চুলগুলো আবার কালো চুল হতে হবে। তারপর আমি বাড়িতে এসে মহিলা মানুষের মাথার চুল নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে। যে লোকটির পায়ে কামড়ে ছিল তার পায়ে সেই চুল বেঁধে দেওয়া হল। এক গ্লাস পানি আমার দাদি ফু দিয়ে খেতে বলল। আমার দাদি তখন সেই লোকটিকে কিছু নির্দেশনা দেয় এগুলো মেনে চলার জন্য। বলেছিল আজকে রাতে যদি না ঘুমান তাহলে সব থেকে বেশি ভালো হয়। এক সপ্তাহ গরুর দুধ সহ কোন আস্টি খাবার খাবেন না। তারপরে আমরা সেই লোকটিকে গাছ তলায় বসিয়ে রেখে আবার গাছ কাটার কাজ শুরু করেছিলাম। পরবর্তী পর্বে আপনাদের মাঝে আরও বিস্তারিত শেয়ার করব। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।