মজাদার তালের বড়া রেসিপি। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২০শে, আশ্বিন ||১৪৩০ বঙ্গাব্দ||শুক্রবার||শরৎকাল||
আমি কাজী রায়হান।আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
আজকে অনেক দিন পর আপনাদের মাঝে রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। শরৎকালের ছোঁয়া লাগতেই তাল গাছের তাল পাকতে শুরু করে। রাত হোক বা দিন গাছের উপর থেকে মাটির উপর ধুপুর ধুপুর করে তাল পড়ার শব্দ শোনা যায়। আখের গুড় আর তালের সমন্বয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায় যার মধ্যে তালের বড়া রেসিপিটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তালের বড়া রেসিপি সম্পূর্ণ তেলে ভেজে তৈরি করা হয় যার কারণে এই রেসিপির টেস্ট অনেক বেশি লোভনীয় হয়। গরম গরম মচমচে তালের বড়া রেসিপির টেস্ট ভাবতেই জিহ্বায় জল চলে আসে। আমাদের বাড়িতে একটি তালের গাছ কাছে আছে আর শরৎ কালের ছোঁয়া লাগতেই তাল পেকে যায় আর পাকা তালের সমন্বয়ে প্রতি বছরই কম বেশি তালের উপর রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়। তাল পাকলেই তালের বড়া রেসিপি খাওয়ার জন্য আম্মুর কাছে আবদার করা হয় তাছাড়া বাড়িতে মেহমান আসছিল বলে বাধ্য হয়ে তালের বড়া রেসিপি তৈরি করা হয়েছিল। কিভাবে আখের গুড় আর তালের সমন্বয়ে মজাদার তালের বড়া রেসিপি তৈরি করতে হয় সেটা এখন আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করে দেখাবো।
Canva দিয়ে তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ
- তাল
- আতপ চালের গুঁড়া
- আখের গুড়
- সয়াবিন তেল
- লবণ
রান্নার প্রয়োজনীয় ধাপ
ধাপঃ-১ঃ এটি পাত্রে পরিমাণ মতো তাল নিলাম এবং তালের ওপর হালকা লবণ ছিটিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-২ঃ পরিমাণ মতো ফ্রেশ আখের গুড় দিলাম।
ধাপঃ-৩ঃ পরিমাণ মতো আতপ চালের গুঁড়া দিলাম।
ধাপঃ-৪ঃ তাল,আতপ চালের গুঁড়া,আখের গুড় সব কিছু ভালোভাবে মিক্স করে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-৫ঃ চুলায় কড়াই বসিয়ে দিলাম এবং তাপ দেওয়া শুরু করলাম।
ধাপঃ-৬ঃ কড়াই গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিলাম তবে তেল একটু বেশি দিলে তালের বড়া গুলো ভালোভাবে ভাজি করা যায় তাই তেল একটু বেশি পরিমাণে দিয়েছি।
ধাপঃ-৭ঃ তেল গরম হলে মিক্স করা তাল,আতপ চালের গুঁড়া, আখের গুড় ছোট ছোট করে গরম তেলে ছেড়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-৮ঃ তালের বড়ার নিচের অংশ ভাজি করা হয়ে গেলে উল্টে দিতে হবে।
ধাপঃ-৯ঃ তালের বড়া গুলো ভাজি করা হয়ে গেলে বাদামী রঙের হয়ে যাবে তখন আলাদা পাত্রে তুলে ফেলতে হবে।
ধাপঃ-১০ঃ আলাদা পাত্রে পরিবেশন করলাম।
আজকে এই পর্যন্তই ছিল। আবার অন্য কোন দিন হাজির হবো নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
আমার আজকের এই মজাদার তালের বড়া রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
সমাপ্তি
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
তাহলে চলুন শুরু করি
আজকে অনেক দিন পর আপনাদের মাঝে রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। শরৎকালের ছোঁয়া লাগতেই তাল গাছের তাল পাকতে শুরু করে। রাত হোক বা দিন গাছের উপর থেকে মাটির উপর ধুপুর ধুপুর করে তাল পড়ার শব্দ শোনা যায়। আখের গুড় আর তালের সমন্বয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায় যার মধ্যে তালের বড়া রেসিপিটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তালের বড়া রেসিপি সম্পূর্ণ তেলে ভেজে তৈরি করা হয় যার কারণে এই রেসিপির টেস্ট অনেক বেশি লোভনীয় হয়। গরম গরম মচমচে তালের বড়া রেসিপির টেস্ট ভাবতেই জিহ্বায় জল চলে আসে। আমাদের বাড়িতে একটি তালের গাছ কাছে আছে আর শরৎ কালের ছোঁয়া লাগতেই তাল পেকে যায় আর পাকা তালের সমন্বয়ে প্রতি বছরই কম বেশি তালের উপর রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়। তাল পাকলেই তালের বড়া রেসিপি খাওয়ার জন্য আম্মুর কাছে আবদার করা হয় তাছাড়া বাড়িতে মেহমান আসছিল বলে বাধ্য হয়ে তালের বড়া রেসিপি তৈরি করা হয়েছিল। কিভাবে আখের গুড় আর তালের সমন্বয়ে মজাদার তালের বড়া রেসিপি তৈরি করতে হয় সেটা এখন আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করে দেখাবো।
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
- তাল
- আতপ চালের গুঁড়া
- আখের গুড়
- সয়াবিন তেল
- লবণ
রান্নার প্রয়োজনীয় ধাপ |
---|
ধাপঃ-১ঃ এটি পাত্রে পরিমাণ মতো তাল নিলাম এবং তালের ওপর হালকা লবণ ছিটিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-২ঃ পরিমাণ মতো ফ্রেশ আখের গুড় দিলাম।
ধাপঃ-৩ঃ পরিমাণ মতো আতপ চালের গুঁড়া দিলাম।
ধাপঃ-৪ঃ তাল,আতপ চালের গুঁড়া,আখের গুড় সব কিছু ভালোভাবে মিক্স করে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-৫ঃ চুলায় কড়াই বসিয়ে দিলাম এবং তাপ দেওয়া শুরু করলাম।
ধাপঃ-৬ঃ কড়াই গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিলাম তবে তেল একটু বেশি দিলে তালের বড়া গুলো ভালোভাবে ভাজি করা যায় তাই তেল একটু বেশি পরিমাণে দিয়েছি।
ধাপঃ-৭ঃ তেল গরম হলে মিক্স করা তাল,আতপ চালের গুঁড়া, আখের গুড় ছোট ছোট করে গরম তেলে ছেড়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-৮ঃ তালের বড়ার নিচের অংশ ভাজি করা হয়ে গেলে উল্টে দিতে হবে।
ধাপঃ-৯ঃ তালের বড়া গুলো ভাজি করা হয়ে গেলে বাদামী রঙের হয়ে যাবে তখন আলাদা পাত্রে তুলে ফেলতে হবে।
ধাপঃ-১০ঃ আলাদা পাত্রে পরিবেশন করলাম।
আজকে এই পর্যন্তই ছিল। আবার অন্য কোন দিন হাজির হবো নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
আমার আজকের এই মজাদার তালের বড়া রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness OR Posted using SteemPro Mobile
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
মজাদার তালের বড়ার ভিতর যদি তুলতুলে এবং উপরে মুচমুচে হয়, তখন সেগুলো খেতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আর তালের বড়া গুলোর থেকে তেল ভালোভাবে সরিয়ে নিলে, সেগুলো খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম মজা রয়েছে। আমাদের বাড়িতে যখন তালের বড়া তৈরি করে, তখন আমি টিস্যু দিয়ে ভালোভাবে তেল গুলো সরিয়ে নেই। মেহমান আসার কারণে এই তালের বড়া তৈরি করা হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।
মজাদার তালের বড়া রেসিপি টা দেখে আমি তো লোভ সামলাতে পারছিনা। আপনি বেশ মজাদার তালের বড়ার রেসিপি তৈরি করেছেন। বাড়িতে মেহমান আসার কারণে বাধ্য হয়ে যেহেতু এই বড়া গুলো তৈরি করা হয়েছিল, তাই আপনিও অনেক মজা করে খেতে পেরেছিলেন। আমার তো এই বড়া গুলো দেখে ইচ্ছে করছে কয়েকটা তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলতে। আপনি কিন্তু ভিন্নভাবে এটা তৈরি করেছেন। যার কারণে ভিন্ন রকমের স্বাদ হয়েছিল এটাতে যা দেখে বোঝা যাচ্ছে।
আমার অনেক পছন্দের একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই খাবারটি খেতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি। আর এমন সময় এরকম একটা রেসিপি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি আপনার রান্না করার প্রতিভাকে খুবই ভালোভাবে তুলে ধরেছেন। একই সাথে এর ডেকোরেশন দেখে এটিকে আমার এখনি খেতে ইচ্ছে করছে।
ভাইয়া আপনি চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। তালের বড়া আমার ভীষণ পছন্দের খাবার। আমাদের বাসায় কিছু দিন আগে তালের বড়া তৈরি করছিল। গরম গরম তালের বড়া খেতে সত্যি অনেক মজা লাগে।আপনি তালের বড়ার রেসিপির ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গরম মচমচে তালের বড়া রেসিপির টেস্ট ভাবতেই আসলেই জিভে পানি চলে আসে।
তালের পিঠার সাথে নারিকেল কুচি ব্যবহার করলে খেতে খুবই টেস্ট। আর কখনোই পিঠে তৈরি করতে আখের গুড় ব্যবহার করিনি টেস্ট করে দেখব একদিন।
আহ হা ভাই কী মনে করিয়ে দিলেন। ঢাকায় না আছে সেই লম্বা তালগাছ আর না আছে সেই তাল। তালের বড়া আমার অনেক পছন্দের। বেশ লোভনীয় একটা খাবার। তালের বড়া টা দারুণ তৈরি করেছেন ভাই। দেখেই আমার লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে তালের বড়া রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই।
তালের পিঠা বা তালের বড়া খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এ সময় তাল গাছ থেকে তাল পড়ে তাই মানুষের নজর থাকে তাল গাছের দিকে। যদিও পাকা তাল দিয়ে যেকোনো কিছু বানাই খেতে এমনিতে অনেক স্বাদ লাগে। সত্যি বলতে আপনার তালের বড়া গুলো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করছে। মনে হয় তালের বড়া গুলো খুব মজা করে খেয়েছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে তালের বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাই আখের গুড় দিয়ে তালের এই বড়া খেতে ভীষণ ভালো লাগে। রেসিপিটা দেখে আমার এক্ষুনি খেতে ইচ্ছে করছে। কেননা এটা আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি। এত সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মজাদার তালের বড়া রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই রেসিপি আমি খেয়েছি তবে তৈরি করিনি।তাই ধাপ গুলো দেখে শিখতে পারলাম পরবর্তী তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।