দুর্ভোগ || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১লা ভাদ্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বর্ষাকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আজকে আসলে যে টপিকটা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা কতটুকু সঠিক ভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারবো জানিনা তবে আমার যতটুকু মনে হয় তার আঙ্গিকে বলবো। আসলে আজকে এই টপিক নিয়ে শেয়ার করার এমন কোন ইচ্ছা ছিল না তবে সকালবেলা আমাদের প্রিয় এডমিন হাফিজ ভাইয়ের পোস্ট পড়ার পরে মনে হল আসলে এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবাইকে একটু অবগত হওয়া দরকার। দেশের জন্য জাতির জন্য হলেও আমাদেরকে একটু সোচ্চার হওয়া দরকার। এখন মূল বিষয়টা বলি দেখুন বর্তমান পরিস্থিতিতে ১০ জন লোক যদি একজনকে মাঝ রাস্তায় ফেলে মারধর করে তাহলে কেউ গিয়ে সেটার প্রতিবাদ করে না বা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় না বরং চারপাশ দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখে। আমার প্রশ্ন এটা কি কোন মানবিকতা হলো?? উচিত ছিল কি চারপাশ দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য না দেখে প্রতিবাদ করা দশজন মিলে যে একজনকে মারধর করেছে সেটা থামিয়ে দেওয়া। আমাদের মধ্যে যে একটা প্রতিবাদী ভাব সেটা যেন মুছে গিয়েছে প্রায়। সবকিছু দেখছি বুঝতে পারছি তারপরেও কোন প্রতিবাদ করছে না যার কারণেই আমাদের মাঝে দুর্ভোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তাঘাট সহ নানা সমস্যার কারণে মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কারণ রাস্তাটা যখন নির্মাণ করা হয় তখন দুর্নীতি করা হয় যার কারণে অল্প দিনেই সেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তা যখন তৈরি হয় তখন যদি কেউ এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাহলে তারা রাস্তা নির্মাণের সময় আরও দুর্নীতি করতে পারবে না। দুর্নীতি করতে না পারলেই রাস্তাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে আর সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি শহরগুলোতে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই ভিতরে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আসলে এই জলবদ্ধতার কারণ কি?? সেখানেও আমরা খুব সহজেই কারণগুলো খুঁজে পাবো কারণ শহরের মেয়র যদি কাজগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে শহরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখে অর্থাৎ সহজ কথায় বলতে গেলে যদি কঠিন পদক্ষেপ নেয় তাহলে শহরগুলোতে সামান্য বৃষ্টির ফলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কোন অপশন থাকে না। আমি এখানেও সাধারণ জনগণের দিকেই দোষ চাপিয়ে দিতে চাই কেননা তারা সবাই যদি এক হয়ে প্রতিবাদ করে প্রতিবাদী কন্ঠে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে মেয়র এই বিষয়গুলো সম্পর্কে মাথা ঘামাতে বাধ্য। কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণ সেই জলাবদ্ধতার মধ্য দিয়েই কষ্টে পারাপার হচ্ছি আর এই বিষয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। শুধু আমার শহরে এই অবস্থা এমনটা কিন্তু নয় আপনি যদি বৃষ্টির সময় একটু টিভি খুলে বসেন তাহলে দেখতে পাবেন প্রায় প্রতিটি শহরেই এমন দুরবস্থার শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ তবে দুঃখের বিষয় তারা কোন প্রতিবাদী পদক্ষেপ নিচ্ছে না যার কারণে ধারাবাহিক এই কষ্টের শিকার হতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামে পানিতে থৈ থৈ, তবে যারা মধ্যম পরিবার বা ধনী পরিবার তাদের তেমন কোন সমস্যা হয়নি সমস্যা হয়েছে যারা দিনমজুর নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের। সিএনজি ড্রাইভার মিডিয়ার সামনে এসে বলছেন রাস্তায় পানি হয়ে গিয়েছে আমি সিএনজি চালাতে পারছি না আমার পরিবার আজকে না খেয়ে থাকবে এর জন্য আমি এই দেশের আইন ব্যবস্থা রাজনৈতিক ব্যবস্থা সহ আমার চট্টগ্রামের মেয়রকে দায়ী করছি। আসলে নিউজটা শোনার পরে অনেক কষ্ট লেগেছিল, আসলে অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছা থাকে কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হোক করার মতো সামর্থ্য থাকে না। আমাদের এলাকাতেও অনেক গরিব লোক আছে তাদের সাহায্য করতে ইচ্ছা করে কিন্তু আর্থিক দিক দিয়ে আমি অনেক দুর্বল যার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেই ইচ্ছা গুলো পূরণ করতে পারে না। তবে তাদের সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে কথা বলে তাদের মনোবল বৃদ্ধি করার চেষ্টা করি।
আসলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আমি মোটেই কথা বলতে চাই না কারণ আমি সাদামাটা জীবন যাপন করতে চাই যেখানে আমার রাজ্যে আমি নিজেই রাজা থাকবো আর নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আমার আশেপাশের লোকজন গুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। স্বাধীনতার সময়ে যখন ধনী গরিব সবাই একসাথে মিলে যুদ্ধ করেছিল তখন দেশটা স্বাধীন হয়েছিল। তবে সেই স্বাধীন দেশে কি এমন কোন কথা ছিল যে কেউ দশতলা বিল্ডিংয়ে পায়ের উপর পা তুলে ভালো ভালো খাবার খাবে আর কেউ খোলা আকাশের নিচে বসে কারে দেওয়া এক টুকরো পাউরুটির অপেক্ষা করবে। আসলে এই পরিস্থিতিটা এসেছে দুর্নীতির কারণে। যদি দুর্নীতি না থাকতো তাহলে কোন দেশেই কেউ না খেয়ে থাকত না। দুর্নীতি যে শুধু আমাদের দেশে রয়েছে এমনটা নয় দুর্নীতি রয়েছে তবে যদি মানুষ মানবিক হত তাহলে দুর্নীতি করত না একজন একজনকে ঠকানোর চেষ্টা করত না।
আমি এমন একটা পরিবেশ চাই যেখানে কেউ না খেয়ে থাকবে না কারো উপর কারো কোন হিংসা থাকবে না সবাই মানবিকভাবে জীবন যাপন করবে। জীবনটা হবে অনেকটাই স্বপ্নের মত তবে সেটা হয়তোবা আদেও কোনদিন সম্ভব না কারণ মানুষের মধ্যে যতদিন লোভ লালসা আছে অর্থের প্রতি টান থাকবে ততদিনে এই স্বপ্ন বাস্তব হওয়া অসম্ভব। কেননা এই অর্থের জন্যই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ একজন অপরজনকে চিরতরে পৃথিবীতে থেকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে হলেও সে টাকার মালিক হতে চায়। যাইহোক সবশেষে আমি যে কথাটি বলতে চাইছিলাম যে আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া সব দুর্নীতিতে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে তাহলেই আমাদের দুর্ভোগের অধ্যায় শেষ হবে। আপনি চোখের সামনে একটি অন্যায় কাজ হতে দেখছেন তখনই আপনার আশপাশের লোকগুলোকে নিয়ে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এভাবে সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস যোগান তাহলেই আমাদের সমাজটা স্বাভাবিক হবে আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
ভাইয়া আপনি যে স্বপ্ন দেখেন তা পৃথিবীতে কোনদিনই সম্ভব নয়। বেহেস্তে গেলে সম্ভব হবে। কারণ পৃথিবী চলেই নিজ স্বার্থকে কেন্দ্র করে। নিজের স্বার্থের জন্য একজন আরেকজনকে টেনে নিচে নামাতেও দ্বিধাবোধ করে না। তাছাড়া টাকার জন্য যে মানুষ কত নিচে নামতে পারে তা না দেখলে বোঝা যায় না। যাই হোক বেশ ভালই লিখেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।