ইলিশ ঝোল রেসিপি। (১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য।) by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৯শে,কার্তিক||১৪২৯ বঙ্গাব্দ||শুক্রবার||হেমন্তকাল||
আমি কাজী রায়হান।আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
তাহলে চলুন শুরু করি
সব অঞ্চলেই কমবেশি ইলিশ মাছের জনপ্রিয়তা আছে। এমন কাউকে হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কিনা ইলিশ মাছ পছন্দ করে না। ইলিশ মাছে অন্যান্য মাছের চেয়ে ভিন্ন ধরনের একটা স্বাদ আছে তাই ইলিশ মাছ যে কোন ভাবে রান্না করলেই সেটা খাওয়ার মজাই আলাদা। যদি ইলিশ মাছ ঝটপট রান্না করতে চান তাহলে ইলিশের ঝোল রেসিপি টাই পারফেক্ট। আমার কাছেও এ রেসিপিটা বেশ ভালো লাগে। গত পোস্টে ইভিএম এ ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে বর্ণনা দিয়েছিলাম। মূলত ভোট দিতে যাওয়ার আগে অর্থাৎ দুপুরবেলায় বাসায় গিয়ে দেখলাম আম্মু ইলিশের ঝোল রেসিপি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পেঁয়াজ আর মরিচ কুচি সেই সাথে ইলিশ মাছ গুলো দেখেই বুঝতে পারলাম হয়তো ইলিশের ঝোল রেসিপি তৈরি করা হবে তাই রুম থেকে ফোন নিয়ে রান্না ঘরে চলে আসলাম আর রান্নার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে তোলা শুরু করলাম। এ রেসিপি তৈরি করার সময় পেঁয়াজ সহ প্রয়োজনীয় যে মসলাগুলো আছে সেগুলো একসাথে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হয়। আম্মু বলল যতো ভালোভাবে সবকিছু মাখিয়ে নেওয়া যায় ততটা ইলিশ ঝোল রেসিপির টেস্ট বৃদ্ধি পায়। এজন্যই আম্মু পর্যায়ক্রমে মসলা দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছিল আর আমি সেগুলোর ছবি তুলেছিলাম। এখন বিস্তারিত আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
ইলিশ ঝোল রেসিপি।
Device: Samsung galaxy A52
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ
- ইলিশ মাছ
- পেঁয়াজ
- মরিচ
- সয়াবিন তেল
- হলুদের গুঁড়া
- জিরা বাটা
- লবণ
রান্নার প্রয়োজনীয় ধাপ
ধাপঃ-১ঃ এটি পাত্রে পরিমাণ মতো মরিচ এবং পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম।
ধাপঃ-২ঃ মাছ গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ-৩ঃ কড়াইয়ের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-৪ঃ পরিমাণ মতো লবণ দিলাম।
ধাপঃ-৫ঃ পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়া দিলাম।
ধাপঃ-৬ঃ সয়াবিন তেল আর জিরা বাটা দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-৭ঃ সব কিছু ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-৮ঃ মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-৯ঃ আবার ও সবকিছু একসাথে কড়াইয়ের মধ্যে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-১০ঃ পরিমাণ মতো দিলাম।
ধাপঃ-১১ঃ কড়াই চুলার উপর বসিয়ে দিয়ে চুলার তাপ বাড়িয়ে দিলাম।
ধাপঃ-১২ঃ চুলার তাপ বাড়িয়ে দেওয়াতে পানি উতলাতে শুরু করলে একটু নেড়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-১৩ঃ কিছু সময় পর লবণ ও ঝাল টেষ্ট করতে হবে।সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুলার তাপ কমিয়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-১৪ঃ এইতো রান্না শেষ, এখন চুলার তাপ বন্ধ করে দিয়ে কড়াই নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-১৫ঃ আলাদা পাত্রে পরিবেশন করলাম।
ধাপঃ-১৬ঃ রেসিপির ফটোগ্ৰাফি করলাম।
আজকে এই পর্যন্তই ছিল। আবার অন্য কোন দিন হাজির হবো নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
আমার আজকের এই ইলিশ ঝোল রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সবাইকে
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
💞 আল্লাহ হাফেজ 💞
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
তাহলে চলুন শুরু করি
সব অঞ্চলেই কমবেশি ইলিশ মাছের জনপ্রিয়তা আছে। এমন কাউকে হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কিনা ইলিশ মাছ পছন্দ করে না। ইলিশ মাছে অন্যান্য মাছের চেয়ে ভিন্ন ধরনের একটা স্বাদ আছে তাই ইলিশ মাছ যে কোন ভাবে রান্না করলেই সেটা খাওয়ার মজাই আলাদা। যদি ইলিশ মাছ ঝটপট রান্না করতে চান তাহলে ইলিশের ঝোল রেসিপি টাই পারফেক্ট। আমার কাছেও এ রেসিপিটা বেশ ভালো লাগে। গত পোস্টে ইভিএম এ ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে বর্ণনা দিয়েছিলাম। মূলত ভোট দিতে যাওয়ার আগে অর্থাৎ দুপুরবেলায় বাসায় গিয়ে দেখলাম আম্মু ইলিশের ঝোল রেসিপি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পেঁয়াজ আর মরিচ কুচি সেই সাথে ইলিশ মাছ গুলো দেখেই বুঝতে পারলাম হয়তো ইলিশের ঝোল রেসিপি তৈরি করা হবে তাই রুম থেকে ফোন নিয়ে রান্না ঘরে চলে আসলাম আর রান্নার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে তোলা শুরু করলাম। এ রেসিপি তৈরি করার সময় পেঁয়াজ সহ প্রয়োজনীয় যে মসলাগুলো আছে সেগুলো একসাথে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হয়। আম্মু বলল যতো ভালোভাবে সবকিছু মাখিয়ে নেওয়া যায় ততটা ইলিশ ঝোল রেসিপির টেস্ট বৃদ্ধি পায়। এজন্যই আম্মু পর্যায়ক্রমে মসলা দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছিল আর আমি সেগুলোর ছবি তুলেছিলাম। এখন বিস্তারিত আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
Device: Samsung galaxy A52
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
- ইলিশ মাছ
- পেঁয়াজ
- মরিচ
- সয়াবিন তেল
- হলুদের গুঁড়া
- জিরা বাটা
- লবণ
রান্নার প্রয়োজনীয় ধাপ |
---|
ধাপঃ-১ঃ এটি পাত্রে পরিমাণ মতো মরিচ এবং পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম।
ধাপঃ-২ঃ মাছ গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ-৩ঃ কড়াইয়ের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-৪ঃ পরিমাণ মতো লবণ দিলাম।
ধাপঃ-৫ঃ পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়া দিলাম।
ধাপঃ-৬ঃ সয়াবিন তেল আর জিরা বাটা দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-৭ঃ সব কিছু ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-৮ঃ মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ-৯ঃ আবার ও সবকিছু একসাথে কড়াইয়ের মধ্যে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-১০ঃ পরিমাণ মতো দিলাম।
ধাপঃ-১১ঃ কড়াই চুলার উপর বসিয়ে দিয়ে চুলার তাপ বাড়িয়ে দিলাম।
ধাপঃ-১২ঃ চুলার তাপ বাড়িয়ে দেওয়াতে পানি উতলাতে শুরু করলে একটু নেড়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-১৩ঃ কিছু সময় পর লবণ ও ঝাল টেষ্ট করতে হবে।সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুলার তাপ কমিয়ে দিতে হবে।
ধাপঃ-১৪ঃ এইতো রান্না শেষ, এখন চুলার তাপ বন্ধ করে দিয়ে কড়াই নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-১৫ঃ আলাদা পাত্রে পরিবেশন করলাম।
ধাপঃ-১৬ঃ রেসিপির ফটোগ্ৰাফি করলাম।
আজকে এই পর্যন্তই ছিল। আবার অন্য কোন দিন হাজির হবো নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
আমার আজকের এই ইলিশ ঝোল রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
আপনার ইলিশের ঝোল রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ।পাতলা ঝোল করেছেন যা সাস্থের জন্য ভালো।রান্নার প্রক্রিয়া টি অসাধারণ ভাবে বর্ণনা করেছেন আপনি।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এলাকায় এই রেসিপিটা ইলিশ মাছের জ্বাল দেওয়া ঝোল নামেও বেশ পরিচিত।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মনি 🥰
ভাই আপনি ঠিক বলেছেন ইলিশ মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ইলিশ মাছ আমার খুব পছন্দ। কিন্তু এভাবে কখনো ইলিশ মাছের ঝোল খাওয়া হয়নি। আমি সব সময় আগে মাছ একটু ভেজে নেই। এরপর ভুনা করি। আপনাদের রেসিপিটা দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
ইলিশ ঝোল রেসিপির ক্ষেত্রে মাছ ভাজার দরকার পরে না।
❤️❤️❤️
আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইলিশ মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ নাই বললেই চলে। আপনার ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপিটা দারুণ হয়েছে।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে। আসলে ইলিশ মাছ ভেজে রান্না করার চেয়ে এভাবে রান্না করলে বেশি ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ইলিশ ঝোল রেসিপি গুলো এভাবে রান্না করলেই বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
🎈🎈🥰
https://twitter.com/KaziRai39057271/status/1588463532567572484?s=20&t=RADtsSW7elCaPzdETdlYVQ
ছোটবেলায় এরকম ইলিশ মাছের ঝোল অনেক খেয়েছি। আজকে আপনার রেসিপি দেখে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। এই ঝোল খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়।
ঠিক বলেছেন আপু এই ঝোল অনেক সুস্বাদু হয় তার প্রধান কারণ হচ্ছে এই ঝোলে ইলিশ মাছের কড়া ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
ঠিকই বলেছেন আপনি ইলিশ মাছ একটি অনন্য সাধের মাছ যে কোনভাবেই রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।।
আর সেটা যদি পদ্মার টাটকাইলিশ হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই কি যে মজা হবে সেটা বলে বোঝানো অসম্ভব।।
মজাদার ভাবে ইলিশ মাছের রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের মাথায় তুলে ধরেছেন খেতে দেখুন মজা হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমার তো দেখে জিভে জল চলে আসলো।।
ভাইয়া এটা পদ্মার টাটকা ইলিশ, এখন তো মোটামুটি পদ্মায় বড় সাইজের ইলিশ পড়ছে। সত্যি অনেক মজাদার ছবি।
ইলিশের ঝোলটা স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে পাতলা করে বানানো হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে।তবে একটা কথা দাদা, এটা এমন কিছু তে সার্ভ করতে পারতেন যাতে মাছটা দেখা যায়। এখানে শুধু ঝোল দেখা যাচ্ছে।আমাদের বাড়িতে কাঁচা ইলিশের ঝোল করলে মাছে নুন হলুদ মাখিয়ে নেয়।এতে মাছের ভেতর নুনটা ঢোকে।
রেসিপিতে ঝোল একটু বেশি রাখা হয়েছিল যার কারণে মাছগুলো ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছিল না।