লালবাগ কেল্লায় ঘোরাঘুরি( পর্ব ২)- 10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আর সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা যেন সব সময় ভালো থাকেন। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার লালবাগ কেল্লায় ঘোরাঘুরি দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব। আসলে আমরা যে লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল। আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আরো বেশী ভালো লাগবে সেই জন্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করা। আশা করি আমার লালবাগ কেল্লায় তোলা ছবি এবং আমার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লাগবে।
আসলে লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে গেলে একটু আগেই যাওয়া উচিত। যেমন যদি দুপুর একটা থেকে দুইটার ভিতরে যাওয়া যায় তাহলে কিন্তু ঘুরার জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা যেহেতু বাসা থেকে তিনটার সময় বের হয়ে ছিলাম তাই আমাদের যেতে যেতে প্রায় ৩:৪৫হয়েছিল এবং সেখানে বেশি ঘোরার সময় পাইনি কিন্তু যেটুকু পেয়েছি সেইটুকুতেই আমি অনেক সন্তুষ্ট। কারণ জায়গাটা এত সুন্দর যে আমি দেখে সত্যিই মুগ্ধ ছিলাম। এখানে লালবাগ কেল্লার সামনে থেকে আমি কয়েক টি রাস্তার একটা ছবি তুলেছি। রাস্তাটা দেখতে কিন্তু খুবই ভালো লাগছে দুই পাশে ফুলগাছ মাঝখানে আবার একটা ফুলের বাগান এবং আমার ডান পাশে রয়েছে একটি বটগাছ সব মিলিয়ে দেখতে কিন্তু অসাধারণ লাগছে।
এখানে অনেক মানুষ রয়েছে সবাই আমাদের মত এ জায়গাটায় একটু ঘুরতে এসেছি। এখানে ঘুরার মজাটাই আলাদা সত্যি বলতে জায়গা সুন্দর হলে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে এবং অনেক মজা পাওয়া যায়। তাই এই খানে এতক্ষণ একটু ঘোরাফেরা করলাম। একটি কথা না বললেই নয় যে এত মানুষ থাকার কারণেও কিন্তু কোনো বিশৃঙ্খলা ছিল না খুবই ভালো লাগছিল। আমার সাথে আমার ভাইয়া গিয়েছিল আমি তার সাথে একটি সেলফি নিয়েছিলাম। আসলে আপনজনদের সাথে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। আর যেহেতু জায়গাটা খুবই সুন্দর ছিল তাই সবার সাথে ঘুরতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল।
এখানে আমাকে সবচেয়ে যে জিনিসটা মুগ্ধ করেছে তা হলো বিভিন্ন প্রকারের ফুলগাছ। কালকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবার কিছু শেয়ার করলাম আসলে সব ফুল গাছগুলো ই আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছিল। আজকে এই একটি গাছে সাদা ফুল ফুটেছে এটা দেখতে অনেক বেশী ভালো লাগছে। এর পরে রয়েছে আরও গোলাপ গাছ ,গোলাপ গাছে অসম্ভব সুন্দর সুন্দর গোলাপ ফুল ফুটে আছে। দেখতে কিন্তু খুবই ভালো লাগছে আসলে এভাবে কাছ থেকে ফুল গাছগুলো দেখে এবং ফুলগাছ এরকম ফুল ফুটতে দেখে অনেক ভাল লাগে। আর যদি কারো মন খারাপ থাকে যদি এখানে আসেন আমি আমি এক কথায় বলতে পারে যে তার মনটা ভাল হয়ে যাবে।
লালবাগ কেল্লায় একটি খুবই আকর্ষণীয় জিনিস রয়েছে আর তা হল আমরা যখন এই জায়গায় প্রথমে ঢুকেছিলাম তখন কিন্তু এই জায়গাটা অনেক নীচে ছিল। কিন্তু একটি পাহাড়ের মত জায়গা আছে যে জায়গায় উঠতে খুবই কষ্ট হয় সে জায়গাটায় আমরা সবাই ছিলাম। ওঠার পরে সেই উঁচু জায়গা টা কিন্তু আরও বেশি ভালো লাগছিল। কিন্তু আপনাদের সাথে আমি সেই জায়গার একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আপনাদের দেখলে বুঝতে পারবেন যে আসলেই এই জায়গাটায় উঠতে গেলে কত কষ্টের। কেননা এমন এটা একটা জায়গায় যদি কেউ নিচ থেকে উপরে উঠে যায় তাহলে উঠতে কষ্ট হয়। কিন্তু যদি উপর থেকে নিচে আসতে চায় তাহলে সে অনায়াসে চলে আসতে পারবে। যদি সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে।
এখানে বসার জন্য অনেকগুলো মাঠ রয়েছে। যে মাঠগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ রয়েছে এবং এর চারপাশে রয়েছে সুন্দর গাছ দিয়ে বেড়া দেওয়া। আমরা এর ভিতরে একটি মাঠ পছন্দ করে ,সেই মাঠে গিয়ে বসলাম। সত্যি বলতে হলে আকাশের নিচে এরকম মাঠে আসতে খুবি ভালো লাগছিল। আমরা যে মাঠে বসে ছিলাম সেই মাঠের একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি আগেই বলেছিলাম যে আমাদের সাথে দুটো বাচ্চা ছিল একটি আমার আরেকটি আমার ভাইয়ের। তো আমার ভাইয়ের একটি মেয়ে ছিল সে আসলে বাসা থেকে বের হবার সময় বলেছিল সে অনেক ছবি তুলবে। তাই সে অনেকগুলো ছবি তুলেছে এটা তার বাবার সাথে তুলেছে।
এরপরে সে তার মা বাবার দুই হাতের মাঝখানে সুন্দর ছবিটা তুলেছে আসলে সে খুবই চঞ্চল প্রকৃতির। এরপরে ছবি তোলার পরে আমরা আবারও বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখলাম সব জায়গাগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। এখানে এই লালবাগ কেল্লার পাশে রয়েছে একটি সুন্দর মসজিদ। মসজিদ যেটা লালবাগ কেল্লা যে বিল্ডিং সেইরকমই কালারের সেই মসজিদটা দেখতেও কিন্তু অনেক ভাল লাগছিল এবং অনেক ছেলেমেয়েরাই মসজিদের পাশে খেলা করছিল আর অনেক মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়েছিল সবকিছু মিলিয়ে দেখতে জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল এর পরে আমরা যেহেতু সেইখান থেকে পাঁচটার সময় বের হতে হবে সেজন্য সবাই মতো আমরা বের হয়ে আসছিল।
সেখান থেকে বের হওয়ার পরে আমরা রিকশা খুঁজতে ছিলাম বাসায় আসার জন্য। কিন্তু রিক্সা পাওয়া খুবই কষ্টের ব্যাপার শেষে আমরা একটা রিকশা পেলাম তাতে আমার ভাইয়া ভাবী এবং তার বাচ্চাটি আসে। কিন্তু আমরা অনেক দূরে যেতেও রিকশা পাচ্ছিলাম না এরপরে হঠাৎ করে একটি রিক্সার পেয়েছিলাম এবং তাতে করে আমরা সেকশন এসে পড়েছিলাম। সেখানে আসার পরে আমরা একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেখানে আমরা সবাই মিলে মজা করে খাই এর পরে আমরা আস্তে আস্তে বাসায় এসে পড়েছিল। আমার লালবাগ কেল্লার পুরো ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার এই মুহূর্তগুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্তই সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
Photographer | @kawsar |
---|---|
Location | https://w3w.co/bring.finders.summit |
Camera | Samsung A10 |
Date | December 15, 2021 |
ভাইয়া লালবাগকেল্লা আমি দুইবার গিয়েছি এবং অসাধারণ একটা জায়গা। সবচেয়ে ভালো লাগে ওখানে ফুল গাছগুলো। আবারো ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদেরকে শেয়ার করার জন্য আপনার আনন্দ মুহূর্ত গুলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য
লালবাগ কেল্লা সম্পর্কে লেখা আপনার প্রথম পর্বটা আমি পড়েছি। এই পর্বেও দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কেল্লাটাকে। এবং খুব ভালো কিছু উপদেশ ছিল তাদের জন্য যারা এখন পযর্ন্ত কেল্লায় যায়নি। আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া একদিন আসবেন আশা করি ভালো লাগবে
আপনার বিষয়বস্তু খুব আকর্ষণীয়, এটা আমার অন্তর্দৃষ্টি যোগ করে, ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য
খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন লালবাগ কেল্লায়, আমি কখোনো যাই নাই ইনশাআল্লাহ এবার ঢাকায় গেলে যাবো।
জি ভাই অবশ্যই ঢাকায় আসলে একদিন লালবাগকেল্লা ঘুরতে আসবেন আশা করি ভালো লাগবে