পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন- দশম পর্ব ( রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু উপজাতি মার্কেট পরিদর্শন )।।
বাংলা ভাষায় মনের আনন্দে ব্লগিং করো-
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। গরমের জন্য রাঙামাটি ভ্রমন পর্ব শেয়ার করতে ভুলে গেছিলাম। সেই সাথে ঘুর্ণিঝড় রিমাল এসে সব কিছু লন্ডবন্ড করে দিয়ে গেছে। সেই সাথে আমার পোষ্টের সিডিউলও উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে। আমার রাঙামাটি ভ্রমন পর্ব প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আর হয়তো দুই একটি পোষ্ট করলেই রাঙামাটি ভ্রমন পর্ব শেষ হয়ে যাবে। ঈদের আগেই শেষ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।।
আজকে আমি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন- দশম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। ঐতিহ্যবাহী রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরে সেতুর দুই পাশে অনেক দোকানপাট,রেস্টুরেন্ট, মার্কেট বসেছে। আমরা সে গুলো ঘুরে ঘুরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। এখানে যারা দোকান বসিয়েছে সবাই উপজাতি। এর আগে আমি এক পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত আদিবাসি মার্কেট পরিদর্শন করেছিলাম। সেখানে জায়গা ছিল খুবই কম। আর দোকানপাট ছিল সীমিত। তবে এখানে দেখলাম অনেক জায়গা জুড়ে পার্কের মত করে দোকান বসেছে। সম্পূর্ণ জায়গাটা সরকারের আওতাধীন। অস্থায়ী ভাবে উপজাতিরা মার্কেট বসিয়েছে। মার্কেটে অনেক ধরনের জিনিষ দেখলাম। আর সেই আদিবাসি মার্কেট থেকে এখানে পন্যের দাম কিছুটা কম। আমি এখান থেকে বেশ কিছু জিনিষপত্র কিনেছিলাম।
ঝুলন্ত সেতু অতিক্রম করে সিড়ি বেয়ে উপরের দিকে যেতে হয়। পাহাড় কেটে সিড়ি বানানো হয়েছে। মার্কেট গুলো মূলত পাহাড়ের উপরে করা হয়েছে। ঐদিন শুক্রবার হওয়ার কারনে প্রচুর পর্যটক ছিল। আমি এই প্রথমবার সেখানে গিয়েছি। আমাদের সাথে যারা সেখানে গিয়েছিল তাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা দুইবার তিনবারও গিয়েছিল। এখানে একবার গিয়ে কারো শখ পুরন হবে না। তাছাড়া একবার গিয়ে ভালো ভাবে সব কিছু দেখা ও উপভোগ করা যায় না। আমি নিজেও সুযোগ পেলে কমপক্ষে আরো একবার যাবো। নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে গেলে বেশি মজা পাওয়া যাবে।
এই মার্কেটে অনেক ধরনের জিনিষ দেখলাম। যে গুলো আগের আদিবাসি মার্কেটে দেখি নাই। এখানে বেশি অংশ আচাঁর, চকলেট ও শুকনো জাতীয় খাবার বেশি দেখলাম। এছাড়াও বাচ্ছাদের খেলনা,উপজাতীয় ড্রেস, শাড়ি, ব্যাগ, ঘর সাজানোর মত শোপিচ সহ আরো অনেক কিছু সেখানে দেখলাম। আমি সেখান থেকে একটি কাঠের ছোট হ্যান্ড আয়না, কলম রাখার বক্স, একটি টাইমার কিনেছিলাম। যেটা দেখি সেটাই তো কিনতে মন চাই। তবে টাকার ও তো দরকার। এগুলো দেখে বউ যেতে চেয়েছে। সাথে বউ নিয়ে গেলে কমপক্ষে দশ হাজার টাকা সাথে নিয়ে যেতে হবে। কারন সেখানে গিয়ে এই জিনিষ পত্র গুলো দেখলে না কিনে ফেরত আসা যাবে না। এখানে দোকানের মধ্যে বেশি কিছু সুন্দরী আপুদের দেখলাম। খুব সুন্দর করে বাংলা ভাষায় কথা বলে। নিচের ফটোগ্রাফিতে যে সুন্দরী আপুকে দেখতে পাচ্ছেন,সে তো বলে ফেললো যে, আমাদের দোকান থেকে কিছু একটা নিয়ে যান। তাহলে আমাদের কথা মনে পড়বে,ভুলবেন না আমাদের,আবার আসবেন, হা হা হা।
সেখানে পাহাড়ে দাড়িয়ে বেশি কিছু ভিউ নিলাম। সেখানে পাহাড়ে দাড়িয়ে দুরে তাকালে মনটা জুড়িয়ে যায়। সেখানে দারুন একটি লেক দেখলাম। সেটার নাম হলো লাভ লেক। সেই লাভ লেকের পানিটা খুবই নীল। লেকের পাশে কপতকপোতিরা বসে প্রেম করছে। একান্ত সময় কাটাচ্ছে। আমরা সিঙ্গেল মানুষ গিয়েছি,দেখেই চলে এসেছি। ডিস্টার্ব করি নাই। জায়গাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে সেই লাভ লেক নিয়ে তাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। যত দিন যাবে জায়গাটা তত উন্নত হবে। শহরের ধুলাবালি ও দুর্গন্ধ নিতে নিতে নাক বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। সেখানে গিয়ে পরিবেশটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। ঈদের পরে দুরে কোথাও যাওয়ার প্লান রয়েছে। কারন যত ভ্রমন করা যায়,ততই নতুন নতুন জিনিষ শেখা যায়।
বন্ধুরা সেখানে গিয়ে কতটা মজা পেয়েছি,কতটা আনন্দ করেছি সেটা লিখে বুঝানো যাবে না। এগুলো ফিল করতে হয়,অনুভব করতে হয়। এই ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার অনেক শখ ছিল। অবশেষে দেখে এলাম। যারা সেখানে ঘুরতে যাবেন,অবশ্যই সময় নিয়ে যাবেন। আমরা অল্প একটু সময় নিয়ে গিয়েছি। যার ফলে তৃপ্তি সহকারে ঘুরতে পারি নাই। যায়হোক আজকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন- দশম পর্ব ( রাঙামাটির উপজাতি মার্কেট পরিদর্শন )।। |
স্থান | ঝুলন্ত সেতু উপজাতি মার্কেট, রাঙামাটি, চট্রগ্রাম, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৩ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আদিবাসী মার্কেটের চেয়ে উপজাতি মার্কেটে জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই কম। আদিবাসী মার্কেটের তুলনা উপজাতির অস্থায়ী মার্কেটে দেশি-বিদেশি জিনিসপত্র অনেক বেশি রয়েছে। আপনার এই পোস্টটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এক কথা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। লেখাগুলো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
জী ভাইয়া আগের মার্কেট থেকে এখানে পন্য যেমন বেশি তেমন দাম কিছুটা কম। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রাঙ্গামাটি ভ্রমণের দর্শন পর্ব। আসলে পার্বত্য জেলাগুলো বেশিরভাগ জায়গায় পাহাড়ি অঞ্চল। পাহাড় কেটে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছিল আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম পাহাড়ের উপরে অনেক সুন্দর মার্কেট রয়েছে। আসলে শুক্রবার থাকার কারণে সেই এলাকায় পর্যটক বেশি ছিল আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া তারা পাহাড়ের উপরে বা পাহাড়ের নিচে মার্কেট গুলো বসিয়ে থাকে। ধন্যবাদ।
কেন ভাইয়া, শুধু কি বউ নিয়ে গেলেই সে জিনিসপত্র কিনতে চায়। তাছাড়া বউকে না কিনে দিলে আর কাকে কিনে দিবেন বলেন? তবে আপনিও তো দেখছি কিছু জিনিসপত্র কিনলেন। জায়গাটা কিন্তু সত্যিই সুন্দর। তাছাড়া পাহাড়ি এলাকার জিনিসপত্র গুলো দেখলে এমনিতেই কিনতে ইচ্ছা করে। কারণ আমরা তো আর এগুলো সহজে দেখতে পাই না। ভাবিকে নিয়ে গেলে মনে হয় লাভ লেকে বসতে পারতেন। পরবর্তীতে কিন্তু অবশ্যই ভাবিকে নিয়ে আবারো রাঙ্গামাটি ট্যুরস দিয়েন। আপনার ঘোরাঘুরি মুহূর্ত ভীষণ ভালো লেগেছে।
জী আপু পরের বার বউ নিয়ে যাবো,ইনশাআল্লাহ।।
আপনাদের এই পোস্টগুলো দেখলেই মনে বলে যে সে জায়গায় যাই। আমাদের দেশে কতই না সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে কিন্তু শুধু মায়ের বাসা থেকে শ্বশুরের বাসা ছাড়া কিছুই চিনলাম না জীবনে। জানিনা কবে এই জায়গা গুলোতে যাওয়ারও দেখার সুযোগ মিলবে।
আপু ভাইয়াকে নিয়ে একবার চলে যাবেন। অনেক সুন্দর জায়গা। ধন্যবাদ।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আমি বেশ কিছু জিনিস ক্রয় করি। এই ধরনের হাতের তৈরি জিনিসগুলো বিশেষ করে চাকমাদের তৈরি জিনিস গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমণের মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো।
জী আপু উপজাতীদের জিনিষ গুলো দেখলে শুধু কিনতেই মন চাই। ধন্যবাদ।