“লাভ ইউ ম্যাডাম” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️

হ্যালো,

আমার প্রিয় স্টিমিট বাসি,কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি একটি বিনোদনমূলক পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আধুনিক একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। টিচার আর স্টুডেন্টের প্রেমের নাটক। আশা করছি আপনারা দারুন বিনোদন পাবেন।

নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-

নাটকের নাম	লাভ ইউ ম্যাডাম
পরিচালনা	মহিন খান
অভিনয়ে	নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে, ফখরুল মাসুম বাশের, সেলজুক তারেক আল হাশিমী
দৈর্ঘ্য	৪০ মিনিট
মুক্তির তারিখ	৪ই জুলাই ২০২৩
ভাষা	বাংলা
ধরন	ড্রামা
দেশ	বাংলাদেশ

মূল চরিত্র

• নিলয় আলমগীর
• জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে

নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -

মহিন খান পরিচালিত নতুন আলোচিত একটি নাটক হলো “লাভ ইউ ম্যাডাম”। নাটকটি পাবলিশ হওয়ার সাথে সাথে নিলয় আলমগীরের বক্তব্য বৃন্দের কাছে দারুন আলোচনা ও সমালোচনায় উঠে আসে। বর্তমানের আলোচিত একজন নাটক অভিনেতা হলো নিলয় আলমগীর এবং তার সাথে বেশ কয়েক বছর ধরে জুটি বেঁধে অভিনয় করছে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে। এ পর্যন্ত তারা দুইজন জুটি বেঁধে একশত প্লাস নাটক করেছে। তাদের নাটক রিলিজ হওয়ার সাথে সাথে দর্শকরা অফারের মতো লুফে নেই।

আমি আজকে যে নাটকটি রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটি জুলাই মাসের ৪ তারিখ রিলিজ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২ মিলিয়েনের উপরে ভিউ হয়েছে। তাছাড়া আরও রয়েছে এক লাখ ২২ হাজার লাইক এবং তিন হাজারের উপরের দর্শকের কমেন্ট। আমি নাটকটি রিভিউ করার পূর্বে কিছু কমেন্ট পড়েছিলাম। সে কমেন্টগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম দর্শকদের হৃদয়ে নীলয় এবং হিমের প্রতি তাদের অনেক ভালোবাসা রয়েছে। দারুন মজার মজার কমেন্ট করেছে।

নাটকটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশের খুবই আলোচিত ইউনিভার্সিটি বুয়েটের একটি দৃশ্য দিয়ে। সেখানে দেখা যায় নিলয় আলমগীর গত ১০ বছর ধরে একই ক্লাসে পড়ে আছে। ইউনিভার্সিটির সবাই জানে যে নীলয় আলমগীর পড়াশোনা না পারার কারণে প্রতি বছর ফেইল করে একই ক্লাশে পড়ে আছে। সে হলো বর্তমানের আদু ভাই। কিন্তু নীলয় আলমগীরের ভিতরে অন্য একটি চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে। ইউনিভার্সিটিতে আসার পূর্বে সে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে এই ইউনিভার্সিটির একটি মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করবে। কিন্তু গত ১০ বছর পর্যন্ত এখনোও তার পছন্দের কোন মানুষ এই ইউনিভার্সিটিতে সে পাইনি। যার ফলে সে এখনো ইচ্ছে করে ফেল করে একই ক্লাসে দশ বছর ধরে পড়ে আছে।

হঠাৎ একদিন উনিভার্সিটির গেইট দিয়ে একটি সুন্দরী মেয়েকে আসতে দেখে নিলয়। তাকে প্রথম দেখায় নিলয় ভালোবেসে ফেলে এবং সেই মেয়ের সামনে গিয়ে নীলয় তার ভালোবাসা প্রকাশ করে। কিন্তু সাথে সাথে সে তার প্রতিক্রিয়া পেয়ে যায়। মূলত যে মেয়েটিকে সে পছন্দ করেছে সে তাদেরই ডিপার্টমেন্টের ম্যাডাম। ভদ্র ছেলে হলে এখানেই থেমে যেত। কিন্তু সে তো থেমে থাকার পাত্র নয়। সে একটি প্রেমের জন্য গত দশ বছর একই ক্লাসে পড়ে আছে। সে তার পছন্দের মানুষকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবে না। সে রীতিমতো ম্যাডামের পিছে লেগেই রয়েছে।

নিলয় ঐদিনই ইউনিভার্সিটির পিওন থেকে ম্যাডামের বাসার ঠিকানা নিয়ে রাতের বেলা ম্যাডামের বাসায় চলে যায়। সেখানে রাতের বেলা দরজা খুলে ম্যাডামকে জিজ্ঞেস করে তার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। ম্যাডাম তো তার প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি নয়। তারপরও অনেক রিকুয়েষ্ট আর কাকুতি মিনতি করার ফলে ম্যাডাম জানালো যে তার কোন বয়ফ্রেন্ড নেই। এখান থেকেই খেলা শুরু হল- নিলয় অনেক রিকোয়েস্ট করে ম্যাডামের কাছে প্রাইভেট পড়তে চাইলে ম্যাডাম তো রাজি হবে না। কিন্তু বিভিন্ন কলা কৌশল করে সে ম্যাডামকে প্রাইভেট পড়াতে রাজি করায়। তারপর ম্যাডাম প্রতিদিন তার বাসায় প্রাইভেট পড়াতে যাই। কিন্তু সে তো পড়াশোনার স্টুডেন্ট না সে প্রেম করতে চাই। ম্যাডাম বিরুক্ত হলেও ছেড়ে আসে না।

এভাবে নিলয় প্রতিদিন বিভিন্ন কলা কৌশল করে ম্যাডামের সাথে প্রেম করতে চাই কিন্তু ম্যাডাম কিছুতেই নিলয়ের কথায় পাত্তা দেয় না। সে তার মত চেষ্টা করেই যাচ্ছে। অবশেষে সব চেষ্টা যখন ব্যর্থ হল তখন নিলয় তার বাবার মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু নিলয়ের বাবা জানে যে ম্যাডাম তাদের এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। তারপরও ছেলের রিকুয়েস্টের কারণে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে বাধ্য হলো। অবশেষে কোন লাভ হলো না। তাদেরকে বিমুখ করে ম্যাডাম ফিরিয়ে দিলো। তখন নিলয় নতুন কৌশল অবলম্বন করলো। সে ম্যাডামকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করলো। ম্যাডামের বাসায় গিয়ে বলল সে যদি তার সাথে প্রেম না করে তাহলে সে নেশাদ্রব্য বিভিন্ন জিনিস খেয়ে আত্মহত্যা করবে । সে পড়াশোনা ছেড়ে দিবে, তার বাবার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দেবে। তখন ম্যাডাম একটি বুদ্ধি খাটালো। ম্যাডাম নীলয়কে বলল সে যদি এ বছর ভালোভাবে পড়াশোনা করে পাস করে তাহলে সে নিলয়কে একটি সারপ্রাইজ দিবে। নিলয় খুশিতে আত্মহারা হয়ে ভালোভাবে পড়াশোনা করল এবং পাসও করলো। তারপর ম্যাডামের বাসায় গিয়ে সেই সারপ্রাইজের জন্য বসে রইল। ম্যাডাম এমন এক সারপ্রাইজ দিলো যা দেখে দর্শক আর নীলয় চকমে গেল। সেটা বিয়ের প্রস্তাব নয়। তাহলে কি সেটা জানতে হলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করতে পারেন।

নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-

আজকের এই নাটকটিতে বর্তমান প্রজন্মের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে গিয়ে স্টুডেন্ট এবং টিচার ম্যাডামের মধ্যে বিভিন্ন সম্পর্ক গড়ে উঠছে। যা কখনো কাম্য নয়। টিচার টিচারের জায়গায় থাকবে আর স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট এর জায়গায় থাকবে। প্রত্যেকের মধ্যেই একটা লিমিট থাকা দরকার। কেউ সেই লিমিট ক্রস করলেই সেটা মারাত্মক ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্টুডেন্ট যেরকম ভাবে টিচারকে সম্মান করবে ঠিক তেমনি টিচাররা স্টুডেন্টকে স্নেহ করবে। তাদের মধ্যে মা বাবা এবং সন্তানের মত সম্পর্ক থাকবে। কোন কিছু অতিরিক্ত করতে গিয়ে এরকম একটি মধুর সম্পর্ককে অপমান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনই একটি ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে নাটকে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।