এরকম শুধু আমার সাথেই হয়। কার দোষ দিবো সেটাই বুঝতেছি না।
বাংলা ভাষায় প্রকাশ করে তোমার অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
সবার শরীর,মন ও স্বাস্থের কি অবস্থা। আশা করছি সব কিছু ভাল আছে। পৃথিবীতে ভাগ্য বলে একটি শব্দ আছে। সেটা আমাদেরকে মানতে হবে। তাই জীবনে যা কিছু ঘটে সেটা মেনে নিয়েই চলতে হবে। গত বৃহস্পতিবারে আমার সাথে যা ঘটেছে হয়তো আর কারো সাথে এমন ঘটে কিনা জানি না। আজকে আমি আমার সাথে কি ঘটেছে সেটাই বলার চেষ্টা করছি। পড়লে হয়তো কোন একসময় আপনাদের জীবনেও কাজে লাগবে।
ক্যামেরা রেডমি নোট-৮
গত মাসে ঈদের ছুটি শেষে আমি একা ঢাকায় এসেছিলাম। বউ তার মা-বাবার মাধ্যমে সেখানে এক মাস থাকার জন্য আবদার করেছিলো। আমার খাওয়ার দাওয়ার একটু প্রবলেম হবে তারপরও শশুর শাশুড়ির আবদার না করতে পারলাম না। যার জন্য তাকে ছাড়াই ঢাকায় আসতে হয়েছিলো। অনেক কষ্ট করে পঁচিশদিন অতিক্রম করেছি। আর খাওয়া দাওয়ার কষ্ট সহ্য হচ্ছিলো না। তাই গত বৃহস্পতিবারে বউকে আনতে শশুর বাড়ি যাওয়ার উদ্যেশ্যে অফিস থেকে চারটার সময় বের হয়েছি। অন্য সময় কোথায় যাওয়ার প্লান করলে বিভিন্ন কাজ এসে উপস্থিত হতো। তবে গতদিন কোন সমস্যা পথ আটকিয়ে দাড়ায়নি। অফিসের সামনে থেকে অটোরিকশা নিয়ে শিবু মার্কেট গেলাম। সেখানে কিছুক্ষন দাড়িয়ে মৌমিতা বাসে উঠলাম সাইনবোর্ড যাওয়ার জন্য। মৌমিতা বাস সাইনবোর্ড হয়ে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার দিয়ে চাঁনখারপুল দিয়ে নেমে সাভার পর্যন্ত যায়। আমি সাইনবোর্ড গিয়ে যখন পৌছেছি তখন ৪.২০ মিনিট বাজে। সেখানে দাড়িয়ে চিন্তা করলাম যেহেতো সময় আছে ট্রেনে চলে যায়। বাসে গেলে প্রচুর জ্যাম পড়ে। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ট্রেনের সময় হলো ৫.৫০ মিনিট। সুতরাং হাতে দেড় ঘন্টা সময় আছে। সাইনবোর্ড থেকে কমলাপুর যেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগে।
সাইনবোর্ড থেকে লাব্বাইক বাসে উঠে বসলাম। লাইব্বাইক এবং লাভলী বাস সাইনবোর্ড থেকে যাত্রবাড়ী ফ্লাইওভারের দিয়ে বিমান বন্দর র্পযন্ত যায়। লাব্বাইক বাসে উঠার পরে দুই মিনিটের মধ্যেই বাস ছেড়ে দিলো। মনে মনে চিন্তা করলাম পাচঁটা বাজার আগেই কমলাপুর চলে যেতে পারবো। কিন্তুু রায়েরবাগ গিয়ে এমন জ্যামে পড়ছি যা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যাত্রাবাড়ীর নিচের রাস্তা কাজের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। সব গাড়ি ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যায়। যার ফলে জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। সনির আখরা পার হয়ে ফ্লাইওভারের উপরে উঠতে উঠতে পাচঁটা ত্রিশ মিনিট বেজে গেছে। টাইম দেখে মাথা নষ্ট হয়েগেছে। ফ্লাইওভারের উপরে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলাম। হাটঁতে হাটঁতে সায়দাবাদ পর্যন্ত গেলাম।
সায়দাবাদ থেকে একটি রিকশায় উঠলাম। রিকশা আবার গোলাপবাগ গিয়ে জ্যামে আটকে গেছে। রিকশা থেকে নেমে আবার হাটা শুরু করলাম। সময় দেখতেছি আর দৌড়াচ্ছি। টিটি পাড়া পর্যন্ত হেটে গিয়ে আবার রিকশায় উঠলাম। রিকশা দুইতিন মিনিট গিয়েই আবার জ্যামে পড়লো। কমলাপুরের সামনে মেট্রোরেলের পিলার করতেছে যার ফলে বিশাল বড় জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। যারহোক কি আর করবো আবার রিকশা থেকে নেমে পড়লাম। হেঁটে দৌড়ে ৫.৫৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করলাম। ভাগ্য খুবই খারাপ,পাচঁ মিনিট লেইট করার কারনে ট্রেন ছেড়ে চলে গেছে। আমি যদি ট্রেনটি পেতাম তাহলে কিন্তুু ট্রেন অবশ্যই লেইট করে ছেড়ে যেতো। আমার আসতে দেরী হয়েছে তাই ট্রেন জাষ্ট টাইমে ছেড়ে দিয়েছে। একেই বলে ভাগ্য। স্টেশনে বসে বসে ঘামতেছি আর চিন্তা করতেছি এখন কি করা যায়। কিভাবে বাড়িতে যাবো। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরবর্তি ট্রেন হলো সাড় নয়টায় মহানগর এক্সেপ্রেস। বাসে গেলেও জ্যামে না পড়লে রাত বারোটা বা সাড়ে বারোটা বাজবে। তবে বাসে জার্নি করলে আমার মাথা ঘুরায়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
অনেক চিন্তা ভাবনা করে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে যাওয়া এগারোসিন্দুর ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। এগারোসিন্দুর ট্রেনটি ভৈরব গিয়ে ইন্জিন পরিবর্তন করে কিশোরগঞ্জের দিকে যাবে। আমি ভৈরব থেকে বাসে চড়ে ব্রাহ্মনবাড়িয়া চলে যাবো। সেই চিন্তা করে এগারোসিন্দুর ট্রেনে উঠে বসলাম। এই ট্রেনটি সন্ধা ৬.৪০ মিনিটে কমলাপুর ছাড়ার কথা। কিন্তুু এটা ৩৫ মিনিট লেইট করে ৭.১৫ মিনিটে ছাড়লো। আমাদের তিতাস ট্রেন পাঁচ মিনিট লেইট করে নাই অথচ এগারোসিন্দুর ৩৫ মিনিট লেইট করলো। একেই বলে ভাগ্য। যায়হোক অনেকের কাছে শুনেছি এগারোসিন্দুর দেড় ঘন্টা দুই ঘন্টা লেইট করে ছাড়ে। সে অনুযায়ী ৩৫ মিনিট লেইট কিছু না। এগারোসিন্দুর ট্রেন ঢাকা শহরের উপর দিয়ে চলতে লাগলো।
ট্রেন চলতে চলতে টঙ্গির পরে পূবাইল স্টেশন পার হওয়ার কিছুক্ষন পরে ইন্জিন রুম থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে লাগলো। বাহিরে তাকিয়ে দেখি ধোঁয়ার সাথে আগুনের ফুলকিও বের হচ্ছে। দুইমিনিটের মধ্যে ট্রেন থেমে গেলে। ট্রেনের ইন্জিন পুড়ে গেছে। ট্রেন চলবে না। মেজাজটা কেমন লাগে,আপনারাই বলেন। দুই পাশে অন্ধকার কোন কিছু দেখা যায় না,ট্রেন থেকে নেমে রাস্তায় বসে বসে চিন্তা করতেছি এখন কি করবো। এমন জায়গায় ট্রেন নষ্ট হয়েছে যেখান থেকে বাসে যাওয়ার কোন উপায় নেই। রাত বাজে তখন নয়টা। এমতবস্থায় আমি কি করলাম সেটা পরের পর্বে শেয়ার করবো। পরের পর্ব পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
এটা শুধু আপনার সাথে না ভাই, আমাদের সবার সাথেই এরকম হয়। যদিও কলকাতার ট্রেনগুলো এক মিনিটও ছাড়তে লেট করে না। তবে মাঝেমধ্যে এরকম হয় যে ১০ বা ১৫ মিনিট লেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমি যখন দেরি করে প্লাটফর্মে পৌঁছাই তখন দেখি ঠিক টাইমে ট্রেন প্লাটফর্ম ছেড়ে চলে গেছে। আবার মাঝেমধ্যে তো বেশ কিছু সময় বসে থাকতে হয় টাইম চলে যায় তাও ট্রেন আসে না। তবে এদিক থেকে বলতে হয় আপনার ভাগ্য আসলেই খারাপ। কারণ প্রথম ট্রেনটা একটুও দেরি করিনি কিন্তু পরে ট্রেন আবার ৩৫ মিনিট দেরি করে ছেড়েছে। হা হা হা..
কি বলবো ভাই আরেকদিন দুই মিনিটের জন্য ট্রেনটা মিস করছি,আর গত দিন পাচঁ মিনিটের জন্য মিস করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।