আস্ত ছোলা দিয়ে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
চাউল | ৫০০ গ্রাম |
আস্ত ছোলা | ৩০০ গ্রাম |
আলু | ৪টি |
পেঁয়াজ | বড় সাইজের ১টি |
রসুন | ২ টি |
হলুদ | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচা মরিচ | ১০টি |
গুঁড়া মরিচ | ২ টেবিল চামচ |
এলাচ,দারুচিনি ও তেজপাতা | এলাচ ৭টি, দারুচিনি ৩ টুকরো ও তেজপাতা ২টি |
জিরা গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
রাতে ছোলা গুলোকে আপু ভিজিয়ে রাখছিল। এরপর প্রথমে ছোলার গুলোকে আপু সিদ্ধ করে নিলো।
এরপর আপু আলুগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিল।
এরপর আপু করাইটিতে তেল দিয়ে কাঁচা ঝাল বাদে সব মসলাগুলোই দিয়ে দিল।
এরপর মসলাগুলোকে একটু ভেজে নেওয়ার ছোলাগুলো দিয়ে দিল। ছোলা গুলো দেওয়ার পর সেগুলোকেও মসলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিল।
এরপর একটু পানি দিয়ে উপকরণগুলোকে কষিয়ে নিল।
এরপর উপকরণ গুলোর ভিতর আলু ও চাউল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিল।
এরপর সবগুলো ভালোভাবে মিশানো হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিল।
এরপর চাউল গুলো যখন ফুলে গেল তখন কাঁচা লঙ্কা গুলো দিয়ে দিল। তারপর কিছুক্ষণ জাল দেওয়ার পর খিচুড়িটা হয়ে গেল।
খিচুড়ি টা হয়ে এলে এবার নামিয়ে রাখলো। আমি এই ছবিগুলো তুলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কারণ আমি অনেক টায়ার্ডস ছিলাম। শেষের এই ফটোটা আমার আপু তুলে রেখেছিল।
ধন্যবাদান্তে | @johir65 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | Mobile |
মোবাইল নেমঃ | vivo y11 |
ক্যামেরাঃ | 13mp |
লোকেশনঃ | বাঁগিচা গাঁও-কুমিল্লা |
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন ও বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আস্ত ছোলা দিয়ে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি পোস্ট। আশা করি ভালো লেগেছে। আজকের মত এটুকুই খুব শীঘ্রই আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবে আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
সবজি কিংবা মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়া হয়েছে। কিন্তু ছোলা দিয়ে কখনো খিচুড়ি রান্না করে খাওয়া হয়নি। খিচুড়ি এবং ছোলা দুটোই আমার খুব পছন্দ। এ দুটি একসাথে খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হবে। ছবি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। কালার টা বেশ দারুন হয়েছে। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কমেন্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য
খিচুড়ি একসময় খুব ফেভারিট ছিল ভাই।কিন্তু এই মেসলাইফে এসে দুই একদিন পরপরই খিচুড়ি খেতে খেতে বিরক্তি এসে গেছে।
আমার দৈনিকের যে খিচুড়ি থাকে তা থেকে অবশ্য আপনার প্রস্তুত করা খিচুড়িতে অনেক ভেরিয়েশন আছে।ছোলার ব্যবহার বেশি ভালো লেগেছে।
সবমিলিয়ে দারুণ একটা পোস্ট ছিল ভাইয়া।শুভ কামনা রইলো 🥰
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ি আমার অনেক প্রিয় এবং আমি ওমান থাকাকালীন বেশ কয়েকবার খিচুড়ি বানিয়েছি। তবে দেশে আসার পর একবারও ট্রাই করা হয়নি। কিন্তু আমার দেখা মতে এই প্রথমবার ছোলা দিয়ে খিচুড়ি রান্না দেখতে পাচ্ছি। খুবই ইউনিক মনে হলো। একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ট্রাই করে দেখেন কেমন লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জি অবশ্যই, একদিন ট্রাই করে দেখব ধন্যবাদ।
আমিও কালকে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম। খিচুড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই রান্না করি। কিন্তু এভাবে আস্ত ছোলা দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। আপনি রেসিপিটা অনেকে ইউনিক ছিল। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু। ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোলা আমাদের শরীর এর জন্য অনেক উপকারী। খুবই কাজে আসে। আর খিচুড়ি অনেক প্রিয় আমার। তবে ছোলা খিচুড়ি খুব একটা ভালো লাগেনা আমার। শেষবার খেয়েছি গত রোজার মাসে। এখনতো আপনার এই রেসিপি দেখে আবার স্বাদ নিতে মন চাচ্ছে। খুবই সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু আমার বাচ্চারা খেতে চায় না বলে রান্না করা হয়না তেমন। ভাইয়া আপনার খিচুড়ির রেসিপি টি আসলেই ইউনিক হয়েছে। এর আগেও আপুর রান্না দেখেছি উনি খুবই ভালো রান্না করে তা বোঝা যায়। ছোলা খেতে তো খুবই ভালো লাগে, সবজিতে ছোলা দিয়ে খেয়েছি অনেক কিছু কখনো খিচুড়িতে দিয়ে খাওয়া হয়নি। খিচুড়ি খাওয়ার সময় ছোলা গুলো খুঁটে খুঁটে খেতে অনেক মজা লাগবে। অনেক লোভনীয় একটি খিচুড়ির রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপু ও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার ছোট ছোট ভাগ্নেরা খিচুড়ি মধ্যে ছোলা খুঁটে খুঁটে খাচ্ছিল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি কখনো আস্ত ছোলার খিচুড়ি রান্না করে খাইনি। খিচুড়ির মাঝে একটি লেবুর পিস ছিল। আসলে লেবু দিয়ে খিচুড়ি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খিচুড়ি খেতে খুব সুস্বাদু হবে মনে হয়।এত সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটিতে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ,ভিন্ন ধরনের একটি খিচুড়ি দেখলাম।খুবই সুন্দর দেখতে লাগছে।খিচুড়ি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে, তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয় নি।আমার মনে হয় এখানে ডালের বদলে ছোলা যুক্ত করা হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।
ছোলা দিয়ে যে খিচুড়ি খাওয়া যায় এই প্রথম দেখলাম। আমি বাদাম ছিটিয়ে বহুবার খেয়েছি। খুব সুস্বাদু লাগে।ছোলা দিয়েও ট্রাই করব একবার আপনার পদ্ধতি অনুসরণ করে।এখানে এসে কত নতুন রেসিপি শিখলাম।
ছোলা দিয়ে খিচুড়ি আমিও এবারই প্রথম খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার আপুর জন্য একটি নতুন রেসিপি শিখতে পারলাম ভাইয়া। এভাবে আস্ত ছোলা দিয়ে কখনো খিচুড়ি রান্না করিনি। আসলে বিষয়টা কখনো মাথায় আসেনি। রেসিপিটি টেস্ট সম্পর্কে আমি অবগত নেই তবে একদিন তৈরি করে দেখব।