এসাইনমেন্ট লেখা নিয়ে অনেক প্যারায় আছি
আজ - ১৬ আশ্বিন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শরৎকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- এসাইনমেন্ট লেখার প্যারা
- আজ ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- রবিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে......!!
ছোটবেলা থেকেই একটা প্রবাদ শুনে আসছি যে, লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোরায় চড়ে সে। এই প্রবাদটা বুকে ধারণ করে নিয়ে এখন পর্যন্ত লেখাপড়াটা চালিয়ে যাচ্ছি হাহাহা। অনেকেই আছে লেখাপড়া করতে খুব একটা বেশি আগ্রহী প্রকাশ করেনা আবার অনেকেই আছে লেখাপড়া নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকে। বলতে পারেন আমি লেখাপড়া নিয়ে খুব একটা বেশি সিরিয়াস না,আবার খুব একটা বেশি যে অসতর্ক তা কিন্তু নয়। মোটামুটি আমি মাঝে মাঝে লেভেলে এখন পর্যন্ত আছি। খুব ছোটবেলা থেকেই আমি এমনই আমি ক্লাসে খুব বেশি ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না আবার খুব যে বেশি খারাপ এক্সিডেন্ট ছিলাম তা কিন্তু নয়। মোটামুটি লেভেলের মাঝামাঝি টাইপের স্টুডেন্ট ছিলাম এখন পর্যন্ত সেটাই আছি। তবে স্টুডেন্ট লাইফ টাকে বরাবরই ইনজয় করি এই লাইফটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। যার কারনেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে ভেবেছিলাম যে আর লেখাপড়া করব না কিন্তু পারিবারিক চাপে পড়ে আবার আমাকে বিএসসি তে ভর্তি হতে হলো। যেহেতু বিএসসি তে ভর্তি হয়েছি অবশ্যই লেখাপড়া টা চালিয়ে যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেলাম।
ভালোই যাচ্ছিল দিন ভার্সিটিতে যাচ্ছি ক্লাস করছি নতুন পরিবেশ নতুন জায়গায় সবকিছুই নতুন সময়ের সাথে সাথে সবকিছু নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছি। আর ভার্সিটি থেকে প্যারা দেবে এটাই স্বাভাবিক প্যারা বলতে এখানে শুধুমাত্র এসাইনমেন্ট লেখা ল্যাব রিপোর্ট লেখা এগুলোই আর কি..!! এগুলো আমার কাছে ভীষণ প্যাদায়ক মনে হয়। পলিটেকনিকে থাকাকালীন এসাইনমেন্ট এবং ল্যাব রিপোর্ট এই দুটো আমাকে অনেক বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে যদিও পলিটেকনিকে পড়া অবস্থায় বন্ধু-বান্ধবীদের দিয়েই মাঝে মাঝে লিখে নিতাম। কিন্তু এখানে যেহেতু নতুন পরিবেশ নতুন জায়গা সেরকমভাবে এখনো কারো সাথে মনের মিল হয়ে ওঠেনি। মনের মিল না হয়ে ওঠার কারণে কারো দিয়ে যে আমি লিখে নেব সেই অবস্থাতেও এখন আর নেই। আর আমার সহপাঠীরা প্রায় সকলেই জব করে যার কারণে কেউ যে লিখে দিবে সে রকম অবস্থায় কেউ নেই।
বাধ্য হয়ে অ্যাসাইনমেন্ট ল্যাব রিপোর্ট সবকিছু আমার নিজে নিজেই লিখতে হয় বাসায় বসে প্রায় সারাটা দিন এটাই করি। পলিটেকনিকে পড়া অবস্থায় স্যারেরা জব এবং এসাইনমেন্ট লিখতে দিত সর্বোচ্চ তিন থেকে চার পৃষ্ঠা অথবা পাঁচ পৃষ্ঠা এটা আমি মেনে নিতাম। আর এই পাঁচ পৃষ্টার লেখা আমি বান্ধবী অথবা বন্ধুদের দিয়ে মাঝে মাঝে লিখে নিতাম। আর এখানে এসে আমাকে লিখতে হচ্ছে ১৭ পৃষ্ঠা,২১ পৃষ্ঠা,মাঝেমাঝে এমন আছে ২৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লিখেছি। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষার আগে একটা সাবজেক্টে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছিল সেটা ২৫ পৃষ্ঠার এর, ভাবা যায় এটা...!!আপনারাই বলুন...??
আমি প্রায় দুই দিন এক রাত হরদম লিখে গিয়েছিলাম। লিখতে লিখতে আমার দুই আঙ্গুলে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল। এতটা বেশি খারাপ লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। এই প্রথমবার এতগুলো পৃষ্ঠা লিখলাম তাও আবার এসাইনমেন্ট। যেহেতু ভার্সিটিতে অ্যাসাইনমেন্ট এবং ল্যাব রিপোর্ট লিখতে হয় আর এই এসাইনমেন্ট এবং ল্যাব রিপোর্টে অনেক মার্ক থাকে যার কারণে বাধ্য হয়ে অনেকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক পৃষ্ঠা লেখালেখি করে আমিও অনেকটা ইচ্ছের বিরুদ্ধেই লিখেছিলাম। সেদিন প্রথম বার মনে হয়েছিল ভর্তি বাতিল করে বাসায় চলে যাই। এত এত লেখা এটা কি কখনো সম্ভব...? যদিও ২৫ পৃষ্ঠা লেখা কোন ব্যাপার নয় কিন্তু এখানে একটা কথা হচ্ছে যে স্যার যদি এই ২৫ পৃষ্ঠা লেখার আগে সাত দিন সময় দিত তাহলে হয়তোবা তেমন একটা বেশি সমস্যায় পড়তে হতো না। কিন্তু স্যার পরীক্ষার চার থেকে পাঁচ দিন আগে আমাদের এই ২৫ পৃষ্ঠা লেখা দিয়েছিল যেটা সত্যিই অমানবিক।
যাইহোক প্রথম সেমিস্টার শেষ করে এখন দ্বিতীয় সেমিস্টারে উঠলাম দ্বিতীয় সেমিস্টারে ওঠার সাথে সাথেই এসাইনমেন্ট এবং ল্যাব রিপোর্ট দেয়া শুরু করেছে স্যার এবং ম্যাম। কয়েকদিন আগেই লিখলাম ১৭ পৃষ্ঠা আবার অন্য এক স্যার এখন দিয়েছে ৯ পৃষ্ঠা। বসে বসে এটাই লিখছি আর ভাবছি কেনই বা এই ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম কেনই বা এখানে আসলাম। জীবনটা একদম বেদনা বানিয়ে দিচ্ছে রীতিমত। ঘুম থেকে উঠে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এসাইনমেন্ট লেখা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা সারাটা দিন আমার অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে লিখতেই দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে কত দিন চলবে জানিনা তবে এভাবেই চালাতে হবে নিজেকে।
আজকে যেই এসাইনমেন্ট লিখছি এটা হচ্ছে ইনভাইরনমেন্টাল প্রোডাকশন। মূলত এখানে পরিবেশ নিয়ে বলা হয়েছে পরিবেশটা কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়। পরিবেশটাকে কিভাবে আরো বেশি সুন্দর করা যায় কিভাবে আমাদেরকে চলাচল করতে হবে এবং পরিবেশের সঙ্গে কিভাবে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায় এই ব্যাপারটা নিয়েই স্যার আমাদেরকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছে। যদিও স্যার বলেছিল যে পিডিএফ থেকে খুঁজে খুঁজে এটা লিখতে কিন্তু কে এত খোঁজাখুঁজি করে আপনারাই বলুন..?? আমি সরাসরি google এ গিয়ে সার্চ করে লেখালেখি শুরু করে দিয়েছি। সবেমাত্র ৩ পৃষ্ঠা লিখেছি এখনো আমাকে ৬ পৃষ্ঠা লিখতে হবে। অনেক বেশি প্যারায় আছি এবং এভাবেই আমার দিন কাটছে।
জানিনা আমার এই প্যারা কবে শেষ হবে তবে আমার মনে হয় বিএসসি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই প্যারা আমার কখনো শেষ হবে না। যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | এসাইনমেন্ট লেখা নিয়ে অনেক প্যারায় আছি |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বিএসসি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত আমি আপনাকে সাহায্য করবো। আমি অ্যাসাইনমেন্টগুলো তৈরি করে দিব 😂😂।
যাইহোক ভাইয়া এসাইনমেন্ট নিয়ে বেশ পারা খাচ্ছেন বুঝাই যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ও ডিসকোড এ দেখলাম এসাইনমেন্ট নিয়ে কথা বললেন। এখনো শেষ করতে পারেননি? যাইহোক যে ৬ পৃষ্ঠা বাকি আছে দ্রুত শেষ করে ফেলুন।
আপনি যদি আমার এই এসাইনমেন্ট লেখার ব্যাপারে সাহায্য করেন তাহলে বিএসসি পাশ করার সম্পূর্ণ ক্রেডিট আমি আপনাকে দেব। 😃😃 আসলেই একজন খুব দরকার যে কিনা সব সময় আমার এসাইনমেন্ট গুলো লিখে দেবে হাহাহা। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে পরীক্ষার লেখার থেকে এসাইনমেন্ট লেখার প্যারাটাই অনেক বেশি দেয়। যতগুলো পৃষ্ঠা এসাইনমেন্ট লেখে বিশ্বাস করেন ততগুলো পৃষ্ঠা পরীক্ষার খাতায় ও লেখি নাই। বুড়ো বয়সে এত এসাইনমেন্ট করতে মোটেও ভালো লাগেনা। আপনার এসাইমেন্ট লেখার প্যারাটা আমি বুঝতে পেরেছি। তবে একটা বিয়ে করে নিলে কিন্তু সুবিধা হয়
করব করব খুব শীঘ্রই বিয়ে করব। আর খুব শীঘ্রই বিয়ে করে আপনাদেরকে তাক লাগিয়ে দেবো হাহাহা। আসলেই এই প্যারা নিতে পারছি না দ্বিতীয় কাউকে খুবই দরকার।🤣🤣
ভাইয়া, ১৭ ২৫ পৃষ্ঠাই যে হতে হবে এসাইনমেন্ট এটা কি স্যার ঠিক করে দিয়েছিলেন?কারণ আমার মতে, এসাইনমেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জনের জন্য। একেকটা সাবজেক্টের তো অনেক গুলো টপিক্স থাকে, তার মধ্যে যেগুলো আসলেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোর উপর ফোকাস করেই এসাইনমেন্ট দেয়া হয়। সেগুলো বুঝে বুঝে নিজে নিজে করলে উপকারই হবে জীবন ভাই। বড়বোন হিসেবে একটু বেশি জ্ঞান দিয়ে ফেললাম বোধ হয়.. 🫣
অ্যাসাইনমেন্টের উপর স্যার ২০ মার্ক দেবে বলেছিল। আর এ কথা শুনে বন্ধুরা একেক জন ২৫ থেকে ৩০ পৃষ্ঠা লিখেছিল। সেখানে আমি মাত্র ২৫ পৃষ্ঠা লিখেছিলাম। যদিও স্যার বলেছিল যে এটা কম হয়ে গিয়েছে আরেকটু বেশি লিখলে ভালো হতো। বড় বোনদের থেকে জ্ঞান অর্জন করতে বেশ ভালই লাগে। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার মনে হয় এসাইনমেন্ট লেখা নিয়ে প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী খুব বিরক্ত হয়। অনেক সময় স্যারেরা অনেক বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দেয় কিন্তু খুব অল্প সময় থাকে সম্পূর্ণ লিখে শেষ করার জন্য। এরকম সিচুয়েশনে খুবই রাগ হয়।