"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৪৪//নাটক রিভিউ
আজ - ০৪ কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | হেমন্তকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৪৪)
- আজ ০৪ষ্ঠা কার্তিক, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ০৫ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ০২রা অক্টোবর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৪৪ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৪৪ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেয়ে তার বাসায় এসেছি। সে মূলত কারো মাধ্যমে জানতে পেরেছে যে তার পিতা এই বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করেছে আর তার পিতা এই বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করেছে এটা জেনে সে কোনভাবেই সেটা মেনে নিতে পারছে না যার কারণে সে অনেক বেশি রাগান্বিত। আসলে বৃদ্ধ বয়সে বাবা অথবা মা বিয়ে করুক এই ব্যাপারটা কোন সন্তানই মেনে নিতে চায় না তবে কিছু কিছু সন্তান আছে তারা চায় যে বাবা-মা বিয়ে করেছে তাদের প্রয়োজনে তাতে কোন সমস্যা নেই যেমনটা চঞ্চল চৌধুরীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায়। চঞ্চল চৌধুরী বাদে বাসার সাহেবের কোন সন্তানই এটা মেনে নিতে পারছে না বিশেষ করে তার মেয়ে এটা কোনভাবেই মেনে নিচ্ছে না যার কারণে সে বাসায় এসে অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে আছে। এদিকে এখন পর্যন্ত চঞ্চল চৌধুরী তার ছোট মায়ের পক্ষেই আছে এবং সে তার ছোট মায়ের পক্ষ নিয়ে তার বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে দিয়েছে।
কথা বলার এক পর্যায়ে সেখানে বাসার সাহেবের ছোট স্ত্রী সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং তাকে দেখেই তার মেয়ে আরো বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়। কিন্তু মৌসুমী হামিদ সেখানে এসে তাকে কিছুটা শান্ত করার চেষ্টা করে এবং সে তাকে এমন এমন কিছু কথা শোনায় যে কথা শুনে বাসার সাহেবের মেয়ে অনেকটাই শান্ত হয়ে যায় এবং চঞ্চল চৌধুরী এই সুযোগে সৎ ব্যবহার করে তাদেরকে কিছুটা কথা কাটাকাটি থেকে দূরে রাখে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং বাসার সাহেবের ছোট ছেলের প্রেমিকা একটা জায়গায় বসে রয়েছে মূলত বাসার সাহেবের ছোট ছেলের প্রেমিকা অনেক বেশি চিন্তিত। যদিও তার চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কানুন রয়েছে কারণ তার বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে আর এদিকে সে বাসার সাহেবের ছোট ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। হাবুডুবু খাচ্ছে বললে ভুল হবে কারণ সেও মূলত বাসার সাহেবের বাড়ির পুত্রবধূ হতে চায় না কারণ বাসার সাহেব ইতোমধ্যে বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করেছে যার কারণে সে কোনভাবেই সেই বারের পুত্রবধূ হতে চায় না। শুধুমাত্র বাসার সাহেবের ছোট ছেলের দিকে তাকিয়ে সে এখন পর্যন্ত তাকে কিছু জানাতে পারেনি। নাদিয়া এ ব্যাপারে তাকে স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে তার বাবা যেখানে বিয়ে ঠিক করেছে সেখানেই যেন বিয়ে করে নাই। কিন্তু সেই মেয়েটা কি করবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি...!!
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে এবং চঞ্চল চৌধুরী হঠাৎ তার সঙ্গে দেখা হয় যদিও তারা একে অপরের সঙ্গে অনেকদিন কথা বলে না। কিন্তু আপনারা হয়তোবা সকলেই জানেন যে বাসার সাহেবের মেজ ছেলে একটা মোটরসাইকেল কিনার জন্য মন স্থির করেছে কিন্তু তার বাবা তাকে কোনভাবেই টাকা দিচ্ছে না যার কারণে সে মোটরসাইকেল কিনতে পারছে না। আর এ ব্যাপারে সে চঞ্চল চৌধুরী শরণাপন্ন হলে চঞ্চল চৌধুরী ও তাকে বলে যে তাকে মোটরসাইকেল না কিনে একটা সাইকেল কিনে নেওয়া উচিত আর এ কথা শুনে সে অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়, যদিও তার বাবা তাকে এই কথাই বলেছিল এর আগে। আসলে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে চাচ্ছে যে ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে একটা নতুন মোটরসাইকেল কিনবে হাহাহা যা বর্তমান সময়ে প্রায় অসম্ভব।
সে কি মোটরসাইকেল কিনবে মোটরসাইকেলের কেমন দাম এ ব্যাপারটা নিয়েই সে মোটামুটি ভাবে চঞ্চল চৌধুরীর কাছে জানতে চাই কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী তার কোন কথার পাত্তা না দিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে তাকে রাগান্বিত করে তোলে। শেষ পর্যায়ে এসে চঞ্চল চৌধুরী তাকে বুঝিয়ে বলে এবং সে কিছু টাকা ম্যানেজ করে তাকে দিতে চায় আর এটা শুনে সে কিছুটা হলেও খুশি হয়।
এরপরে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেয়ে বাসার সাহেবের কাছে গিয়ে তার বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে চাই কিন্তু এ ব্যাপারে বাসার সাহেব কোনভাবেই তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চায় না। বাসার সাহেবের মেয়ে তার কাছে গিয়ে তাকে অনেক রকম ভাবেই অনেক কথা শোনায় কিন্তু বাসা সাহেব কোন কিছুই বলে না এবং চুপ করে থাকে। আর আপনারা হয়তোবা অনেক আগেই জানেন যে বাসার সাহেবের জামাই কে বাসার সাহেব কোনভাবেই তার বাসায় জায়গা দেবে না আর যেহেতু তার জামাই তার বাসায় এসেছে আর এ কথা বলায় বাসার সাহেব অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়।
বৃদ্ধ বয়সে বাবা বিয়ে করেছে এটা যেন কোন ভাবেই বাসার সাহেবের মেয়ে মেনে নিতে পারছে না তার খুবই কষ্ট হচ্ছে সেই সাথে সে যে অনেকটা কষ্ট পেয়েছে সেটাও বোঝা যাচ্ছে। বাসার সাহেবের মেয়ে তাকে অনেক রকম ভাবেই কথা শুনিয়ে সেখান থেকে চলে আসে আর এ কথা শুনে বাসার সাহেব কোন কিছু না বলে তার মেয়ের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। যেন তার মুখে কোন ভাষা নেই সে পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে এবং মেজো ছেলে একটা জায়গায় বসে তারা তাদের দুঃখের কথা বলতে থাকে মূলত তাদের দুঃখ একটাই যে বাবা তাদেরকে এখন পর্যন্ত বিয়ে দিচ্ছে না। কথা বলার একপর্যায়ে তারা সেই মেয়েটাকে নিয়ে কথা বলে যে এই মেয়েটার সঙ্গে শাহনাজ খুশি তাদের বিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তারা দু ভাই একজন মেয়েকে বিয়ে করতে চায় এ ব্যাপারটা নিয়ে মস্ত বড় একটা ঝামেলা হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে। কিন্তু বাসার সাহেবের মেজো ছেলে একটা আপোষের মধ্যে আসতে চায় কিন্তু বাসার সাহেবের বড় ছেলে কোনভাবেই সেটা মেনে নিবে না। আসলে এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না আপন ভাই যখন একে অপরের শত্রু হয়ে যায় তখন এ ব্যাপারটা দেখতে অনেক বেশি খারাপ লাগে। যদিও তাদের মধ্যে এমন বড় ধরনের কোন শত্রুতা নেই এটাই অনেক বড় কথা।
আর এরই মাধ্যমে পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৪৪ পর্ব শেষ হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে দারুণভাবে নাটকটি রিভিউ আকারে উপস্থাপন করার আশা করছি আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নাই এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৪৪ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দেখতে দেখতে পিতা বনাম পুত্রগং নাটকটার ৪৪ তম পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনার এই নাটকটার রিভিউ এর আগেও বেশ কয়েকবার পড়া হয়েছিল আমার। আপনি এই নাটকটার পর্বগুলো শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করে আসছেন। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলো ও তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
এই নাটকটার রিভিউ মাঝে মাঝে পড়া হয়, আমার কাছে তো খুব ভালো লাগে এই নাটকের রিভিউ পড়তে। আসলে এ নাটকের কাহিনী কিন্তু বর্তমান সময়ের সাথে অনেকটা মিল রয়েছে এটা সত্যি। প্রত্যেকটা পর্ব না পড়া হলেও কিছু কিছু পর্ব পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। আসলে ভাই যদি শত্রু হয় এই ব্যাপারটা অনেক খারাপ লাগে দেখতে। কিন্তু তাদের মধ্যে কোন শত্রুতা নেই এটা কিন্তু খুব ভালো ব্যাপার। পরবর্তীতে কি হয় তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।