আজ--০৪ চৈত্র| ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | বসন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ বিকেল সবাইকে......!!

পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যে মানুষগুলো দিব্যি মানুষের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারপরেও যেন সেই মানুষটার মাঝে মাঝে এমনটা মনে হয় যে তার আশেপাশে কেউ নেই। মাঝে মাঝে তার এটাই মনে হয় যে রক্তে মাংস গড়া এই মানুষটার মাঝে শুধুমাত্র রয়েছে একটা কঙ্কাল, মাঝে মাঝে তার এটাই মনে হয় যে এত এত মানুষের ভিড়ে নিজের অস্তিত্বটা কোথায়। এমন অনেক মানুষ আছে যারা কখনোই নিজের ভালোলাগা মন্দ লাগার গল্প কারো কাছে শেয়ার করে না, সে আসলে বর্তমান সময়ে কেমন আছে অতীতে কেমন ছিল এবং ভবিষ্যতে কেমন থাকবে এই ব্যাপারটা নিয়ে তার তেমন কোন মাথা ব্যাথা নেই। মাথাব্যথা যে নেই তা কিন্তু নয়, দিব্যি তারও মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ে চিন্তা হয় পরক্ষণেই আবার এটা মনে হয় যে ভাগ্যের লিখন যা লেখা আছে তাই হবে এটা ভেবে হয়তো বা সে আর কোনরকম চিন্তাভাবনা করে না। ঠিক তেমনিভাবে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কখনোই নিজের খারাপ লাগার কথা কাউকে বুঝতে দেবে না, খারাপ লাগা মন লাগা সে সবসময় নিজের মধ্যেই লুকিয়ে রাখবে। মানুষের সামনে হয়তো বা হেসে মুখে কথা বলবে কিন্তু কোন এক নিঝুম রাতের অন্ধকারে সেও একাকী সময়ে আর্তনাদে ফেটে পড়বে। তার এই আর্তনাদ আশেপাশের মানুষ কখনোই দেখতে পারে না, আশেপাশের মানুষ দেখতে পারে না বিধায় আশেপাশের মানুষ ভাবে এই মানুষটা কতই না সুখী কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তার মত দুঃখী এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই।

মাঝে মাঝে আমার এমনটাই মনে হয় যে পৃথিবীতে সেই মানুষটাই সবথেকে বেশি দুঃখী যে নিজের দুঃখের গল্পগুলো অন্যের কাছে শেয়ার করতে পারেনা। যখন কোন মানুষ নিজের ভেতরকার দুঃখ অন্য কারোর কাছে শেয়ার করতে পারেনা তখন সেই দুঃখটা তার মনের মধ্যে থাকতে থাকতে একটা সময় সেই দুঃখটা গভীর এক সমুদ্রে পরিণত হয়। যখন সেই দুঃখটা তার গভীর সমুদ্রে পরিণত হয় তখন সে নিজে নিজেই সেই সমুদ্রের মাঝে হারিয়ে যায় তবুও এই মানুষগুলো কখনোই মানুষের কাছে যায় না নিজের দুঃখ শেয়ার করতে। এটা ভেবেই সে অন্যের কাছে দুঃখ শেয়ার করতে যায় না কারণ বর্তমান সময়ের মানুষগুলো সব সময় একটু বেপরোয়া টাইপের, এই মানুষগুলো অন্যের দুঃখে কষ্টের কথা যখন শুনবে তখন তারা ক্ষণিকের জন্য তার দুঃখে দুঃখ প্রকাশ করলেও নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে তারা তার দুঃখে পৈশাচিক আনন্দ পাবে। আর মানুষ এই পৈশাচিক আনন্দে অনেক বেশি খুশি হয়।

মানুষের জীবনে দুঃখ কষ্ট হতাশা এগুলো থাকবে এটাই স্বাভাবিক। একটা মানুষের জীবনে এগুলো নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। আমি এটাই মনে করি যে হতাশা এবং দুঃখ এগুলোকে পুঁজি করে কখনোই একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকা উচিত নয়। মানুষ যখন তার হতাশা দুঃখকে পুঁজি করে নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকে এবং সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না, সময় অতিবাহিত হবার সঙ্গে সঙ্গে এই মানুষগুলো আর কখনোই জীবনে অগ্রসর হতে পারে না। দুঃখকে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যার নামই জীবন। ছোটখাটো দুঃখকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করার নামটাই জীবন, সব দুঃখকে দুঃখ মনে করতে হয় না কিছু কিছু দুঃখ মনের মধ্যে রেখে সুখ অনুভব করতে হয়।

source

জীবন নিয়ে আমাদের অনেকের অনেক রকম চিন্তাভাবনা থাকে অনেকেই আমরা জীবনটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই। জীবনটাকে আমরা এত সুন্দর ভাবেই সাজাতে চাই যে আমাদের জীবনে যেন কোন রকম দুঃখ না থাকে কষ্ট না থাকে এটাই আমরা সবসময় চিন্তা করি। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যাদের জীবন নিয়ে কোন রকম চিন্তা ভাবনা নেই, এদের সবসময়ই এটা মনে হয় যে কোন একভাবে জীবনটা চলে গেলেই হল, হোক সেটা খারাপ অথবা ভালো। এটা মেনে নেওয়ার মাঝেও রয়েছে এক আনন্দ কিন্তু মানুষ দুখের মাঝে থাকতে খুব একটা বেশি চায় না। মানুষ সবসময়ই এমন একটা জীবন চায় যে জীবন তাকে দেবে বিলাসিতা যে জীবন তাকে দেবে স্বর্গীয় সুখ কিন্তু এই সুখটা পেতে হলে অবশ্যই দরকার পরিশ্রম এবং ধৈর্য। পরিশ্রম এবং ধৈর্যের মাধ্যমে জীবনের সফলতা যতটা দ্রুত অর্জন করা যায় সেটা হয়তোবা কখনোই সম্ভব নয়। কিছু কিছু মানুষ আছে যে মানুষগুলো কখনোই কাজ করতে চায় না বা পরিশ্রম করতে চায় না। যে মানুষগুলো কাজ বা পরিশ্রম করতে চায় না সেই মানুষগুলো নিজের ভাগ্যের চাকা কিভাবে বদলাবে..?? এদের ভাগ্য কখনোই বদলায় না, এদের ভাগ্যটা সবসময়ই অপরিবর্তনশীল।

পক্ষান্তরে এমন অনেক মানুষ আছে যে মানুষগুলো কোন একটা সময় অনেক বেশি দুঃখের সাগরে দিন অতিবাহিত করেছে, দুঃখের সাগরে দিন অতিবাহিত করার পরে অবশেষে তারা পরিশ্রম করতে শুরু করেছে কোন একটা সময় গিয়ে পরিশ্রমের ফল তারা পেয়ে। আর এই পরিশ্রমের ফল হিসেবে তারা পেয়েছে এক মুক্ত জীবন। মুক্ত জীবন পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে। মাঝে মাঝে আমার এটাই মনে হয় যে একজন রক্ত মাংস করা মানুষ যদি পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের সফলতা অর্জন করতে পারে তাহলে ওপরে একটা মানুষ সে কেন পারবে না। তাকে অবশ্যই পারতে হবে আর নিজের মধ্যে যদি এরকম একটা জিদ তৈরি হয়ে যায় তাহলে সফলতা ধরা দিতে হয়তো বা বেশি সময় লাগে না।

source

পৃথিবীতে বেঁচে থাকাকালীন সময় যদি আপনি সফলতা অর্জন করতে না পারেন তাহলে মৃত্যুর পরে আপনাকে কেউ কখনো মনে রাখবে না। আপনি যে পৃথিবীতে কয়েক বছর বেঁচে ছিলেন এই কথাটা কেউই মনে রাখবে না, ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি কিছু অর্জন করে মারা যান হতে পারে সেটা ছোট্ট একটা অর্জন তারপরও দেখবেন মানুষেরা তাকে মনে রাখে। আমি মনে করি পৃথিবীতে অমর হতে হলে কিছু না কিছু অর্জন মানুষের খুবই দরকার যে অর্জনগুলো তাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করিয়ে দেবে অন্য সবার থেকে আলাদা ভাবে। সফল ব্যক্তিরা সবসময় পৃথিবীতে অমর হয়ে রয়েছে তাদের এই সফলতা দেখেই আমাদের সফল হওয়ার অঙ্গীকার করা উচিত।

তাই আমি মনে করি সফল হতে হলেও আমাদের সকলের উচিত অন্তত পরিশ্রম করা, পরিশ্রম করলে হয়তো বা শরীর শুকিয়ে যাবে চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু কোন একটা সময় যেয়ে আপনি দেখবেন শরীর শুকানো টা এখন আর আগের মত নেই চেহারাটাও আগের মত আর নষ্ট হয়নি অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। ভালো সময় যখন সামনে আসে তখন আশেপাশের পরিবেশ সহ নিজের পরিবেশও ভালো হয়ে যায়। যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy