হাস্যকর কাহিনী।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি একজন নতুন ব্লগার। আপনাদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাই। আজকে আপনাদের সাথে একটি বাস্তবিক গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাড়ির হাস্যকর নাম শেয়ার করব। আমাদের এলাকায় একটি বাড়ির নাম ছিল আগে অন্য একটি। আমি বাড়ির সামনে কিছুদিন আগে বিকেল বেলায় বসে রইলাম। এমন সময় তিন-চারটি লোক এসে আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো। মিয়াজী বাড়ি কোথায় এবং এই নামের লোকটিকে আপনি চিনেন নাকি। আমি তাকে বললাম এই নামের লোক আমি চিনি না তবে বাড়িটি আরো পিছনে ফেলে আসলেন আপনারা। তারা আমাকে বলতে লাগলো না আমরা ওই বাড়িতে গেলাম। কিছু লোক বলল এই স্কুলের পাশে বাড়ি। কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলবে।
আমি তাদেরকে বললাম এই বাড়ি নামে এখানে কোন বাড়ি নেই আমার জানা মতে। এবং আমি তাদেরকে বললাম আমাদের বাড়ি এই বাড়ি। এমন সময় বাড়ি থেকে বের হলেন। তখন তারা বলতে লাগলো এই লোকটি চিনেন নাকি একটু জিজ্ঞেস করবেন। তারপর আমি আমার বাবাকে ডেকে এবং আমার বাবার সামনে আমরা সবাই গেলাম। তারপর লোকগুলো আমার বাবাকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো মিয়াজী বাড়িটি কোথায়। আমার বাবাও তাদেরকে বলবেন আপনারা পিছনে ফেলে আসলেন। এমন সময় তাদের মধ্যে একটি লোক বললো এইখানে স্কুলের পাশে মিয়াজি বাড়ি বলল। তারপর আমার বাবা বলতে লাগলো ঠিক আছে এখানে একটি বাড়ির আগের নাম মিয়াজি বাড়ি ছিল। এবং বলতে লাগলো আপনারা কার কাছে আসলেন।
এরপর তার নামটি বললেন আমার বাবা বলল ঠিক আছে আমাদের বাড়ির থেকে দশ মিনিটের রাস্তা তারপর দক্ষিণ পাশের বাড়িটিই হচ্ছে মিয়াজী বাড়ি। এবং তারা বলতে লাগলো একটি মেয়েকে দেখতে তারা বিয়ের জন্য আসলেন। এরপর তারা কথা বলে বাড়িটির দিকে চলে গেলেন। তারপর আমার বাবা দোকানের দিকে চলে গেলেন। রাত্রে আমি আমার আর আমার বাবা রাতের খাবার খেতে খেতে বলতে লাগলাম। এই বাড়িটির নাম কবে থেকে মিয়াজি বাড়ি হল। আমার বাবা বলতে লাগলেন এই বাড়িটির নাম আগে এক সময় মিয়াজি বাড়ি ছিল। এখন কিছু কারনে বাড়িটির নাম চেন্জ হয়ে গেল। তখন আমি আমার বাবাকে বলতে লাগলাম এই বাড়িটির নাম তো হচ্ছে তুফানি বাড়ি।
তারপর আমার বাবার মুখ থেকে তাদের বাড়ির সম্পূর্ণ কথা শুনলাম। তাদের বাড়ি কিছু ছেলে ছিল আগের সময়ে। ৫ থেকে ৬ জন লোক একসাথে যে কোন কাজ করতেন। এলাকার মাঝে কোন কাজ ফেলে তারা কাজগুলো কন্ট্রাক্ট নিয়ে করে থাকেন। এবং তাদের কাজ খুব ভালো ছিল এবং অনেক দ্রুত তারা কাজ করতেন। সেই সময়ের লোক গুলো এখন সবগুলো জীবিত নেই কিছু লোক মারা গেলেন। তারা এত দ্রুত কাজ করতে এলাকার লোক তাদেরকে তুফান বলে ডাকতেন। শেষ থেকে এই বাড়িটির নাম তুফানি বাড়ি হয়ে গেল। তারপর থেকে সবাই এই বাড়িটির নাম তুফানি বাড়ি নামে ডাকে।
আমিও এই বাড়িটির নাম তুফানি বাড়ি নামে চিনি। তারপর আমার বাবার মুখ থেকে জানতে পারলাম এই বাড়িতে এখনো কাগজপত্র এবং কোন চিঠি আসলে মিয়াজি বাড়ির নামে আসে। তাদের অনেক সুন্দর একটি বাড়ির নাম ওই সময়ের কিছু লোকে তুফান বলে ডেকে বাড়িটির নাম চেঞ্জ করে দিলেন। এই হচ্ছে মিয়াজি বাড়ির নাম এখন আমরা সবাই তুফানি বাড়ির নামে চিনি।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
আপনার হাস্যকর গল্পটি পড়ে আমার কাছে ভালো লাগলো। বাড়িটির নাম ছিল মিয়াজি বাড়ি কিছু লোক গুলো বাড়ির নাম তুফানি বাড়ি বলে ডাকতো শেষ পর্যন্ত বাড়িটির নাম তুফানি বাড়ি হয়ে গেল। অনেক সুন্দর সুন্দর বাড়ির নামগুলোকে মানুষ বিভিন্ন ধরনের নাম ঢেকে বাড়ির নামটিও চেঞ্জ করে ফেলে। আপনার বাবার মুখ থেকে শুনলেন এবং সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে হাস্যকর গল্পটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর করে আমার হাস্যকর গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
এরকম অনেক বাড়ি আছে যেগুলোর এক নাম কিন্তু বিভিন্ন মানুষ সেই বাড়িটি অন্য নাম বলে ডাকে। আমার কাছে এই বাড়িতে নাম খুবই হাস্যকর লাগলো তুফানি বাড়ি। সেই বাড়িতে খুবই সুন্দর একটি নাম ছিল। গল্পগুলো আমার কাছে সব সময় পড়তে ভালো লাগে। এই গল্পটি খুবই হাস্যকর ছিল। আপনি তো জানতেনই না এই বাড়িটির নাম আগে কি ছিল। পরে আপনার বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ কাহিনী জেনে নিলেন এবং সেই কাহিনী গল্পের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অসাধারণ ছিল।
আসলে ওই সমাজের লোকগুলো দুষ্টামি করে নামটি বলতে বলতে এখন ওই নামে এলাকার সবাই বাড়িটি চিনতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।