DIY - জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরী
সকলকে জন্মাষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়।
আমার বাড়িতেও জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। হরিয়ানা রাজ্যের কুরুক্ষেত্র শহরের অন্তর্গত জ্যোতিশ্বর সরোবরের পাশে জায়গাটির নাম জ্যোতিশ্বর ।শোনা যায় মহাভারতের যুদ্ধের প্রারম্ভ এখান থেকেই। এই স্থানে ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার উপদেশ দেন ।এই জায়গাটি গীতার জন্মস্থান হিসাবে বিখ্যাত এবং হিন্দু ধর্মের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
কাজের সূত্রে বাবাকে বেশ অনেক বছরের জন্য হরিয়ানা রাজ্যে থাকতে হয়েছিল ।বাড়ি ফেরার সময় বাবা বহু কিছুর সাথে নিয়ে এসেছিল ছোট্ট গোপাল ঠাকুরের মূর্তি।বাবা বলে ওই সরোবরের পাশ থেকেই বাবা ছোটো পিতলের গোপাল ঠাকুরের মূর্তিটা কিনেছিল।আমিও ওই জায়গায় ঘুরে এসেছি। ভীষণ ইচ্ছা রয়েছে পুরনো স্মৃতিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার ।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রতিবারই আমি ছোট্ট গোপালের জন্য পছন্দমত রংয়ের কাপড় দিয়ে জামা তৈরি করি। যদিও মার্কেটে গোপাল ঠাকুরের জামা বহুৎ কিনতে পাওয়া যায়। তবুও নিজের হাতে বানাতে খুব ভালো লাগে। এই প্লাটফর্মে আজ প্রায় দু বছরের বেশি হল রয়েছি। আগের দু বছরেও জন্মাষ্টমীর আগে জামা তৈরি করেছিলাম ,সেটাও পোস্ট করেছিলাম ।তাই এবারেও জন্মাষ্টমীতে কিভাবে গোপালের জামা তৈরি করলাম ,তা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
তৈরী করতে খুব অল্প জিনিস লাগবে -
সিরিয়াল নং-১ | সামগ্রী |
---|---|
১ | পছন্দ মত দুই রঙের কাপড় |
২ | কাঁচি |
৩ | সুঁচ ও সুতো |
৪ | পছন্দ মত লেস |
প্রথম ধাপ |
---|
পছন্দ মত রঙের কাপড় নিয়ে নিয়েছি। একটা দিয়ে জামার ঘের হবে। আরেকটা দিয়ে জামার হাতা। লেস টা ঘেরে লাগাতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
প্রথমে রানী রঙের কাপড়ের টুকরো কেটে নিলাম। গোপালের সাইজ মত কাপড়ের টুকরো কেটে নিয়েছি। যেহেতু অনেকটা কুচি করতে হবে ,তাই লম্বা করে টুকরোটা কেটেছি ।এবার লেস টাকে ম্যাপ করে কেটে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এবারে সুতো যাতে খুলে না যায় , রানী রংয়ের কাপড়ের টুকরা চারিপাশটা সেলাই করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ |
---|
এবার লেসটাকে সেলাই করে রানী রঙের কাপড়টার সাথে লাগিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ |
---|
কুচি করতে করতে সেলাই করতে হবে ঠিক এইভাবে। গোল হয়ে যাবে মাঝের জায়গাটা।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
হলুদ রঙের কাপড়টা দিয়ে হাতা তৈরি করছি। এই কাপড়টা ভালো করে মুড়িয়ে সেলাই করে নিয়েছি ঠিক এইভাবে। হলুদ রঙের সাথে রানী রঙটা বেশ ফুটছে তাই আমি এই রং ব্যবহার করেছি। ঠিক এইভাবে ভি আকৃতির করে নেব।
সপ্তম ধাপ |
---|
ভি আকৃতি করে নিয়ে , ভি এর মুখ টা গোল এর মাঝে নীচ দিক দিয়ে সেলাই করে নিলাম। আর ভি এর খোলা দিকটা ঘেরের খোলা দুই দিকের সাথে সেলাই করলাম।
তৈরি হয়ে গেল জামা।
শেষ ধাপ |
---|
এবার আরেকটা লেস নিয়ে হাতার সাথে সেলাই করলাম আর কুচির জায়াগাটাতে।
তৈরি হয়ে গেল গোপাল ঠাকুরের জামা।
ফাইনাল লুক |
---|
আশা করি আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। নিজের হাতে কিছু করার মজাই আলাদা। জামাটা পরে গোপাল কে কেমন লাগছে, জন্মাষ্টমীর মুহূর্ত এবং বাকি আরও পোষ্ট নিয়ে নেক্সট দিন হাজির হবো। সকলে ভাল থাকুন। সকলের জন্য অনেক শুভ কামনা।
পুঁচকে গোপালের জন্য এই কাজটা অসাধারণ হয়েছে রে ,সত্যি তোর প্রশংসা না করে উপায় নেই। আর পুরো পোস্টটার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর হয়েছে ।অনেকগুলো ছবি দিয়ে ধাপে ধাপে প্রকাশ করেছিস সত্যিই খুব ভালো লাগছে।
জানি তো 🤭🤭
প্রশংসা কর , কর ! আমার প্রশংসা না করে সত্যিই কারো উপায় নেই।
অনেক ধন্যবাদ।আমার গোপালের জন্যও নতুন জামা বানানো দরকার।জামা বানানোর প্রক্রিয়া সহজ ও সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি বাড়িতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন ,ঠিক এই ভাবেই।
আপনি সুঁই এবং সুতা ব্যবহার করে কাপড় দিয়ে দারুন একটি জামা তৈরি করেছেন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপাল ঠাকুরের জন্য। সত্যি আপনার অনেক দক্ষতা রয়েছে বলতে হয়। আপনি খুবই দক্ষতা সহকারে এই জামাটি তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন উপস্থাপনা করে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এত উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপাল ঠাকুরের জন্য খুবই সুন্দর একটি জামা তৈরি করেছেন। এই জামাতে তৈরি করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে দেখে মনে হচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই জামাতে তৈরি করেছেন। খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ সময় তো লাগবেই। সেলাই মেশিন থাকলে এত সময় লাগতো না। কিন্তু ছোট জিনিস নিজের হাতে বানাতেই ভালো লাগে।
দিদি নমস্কার
দিদি প্রথমে জানাই শুভ জন্মাষ্টমী ৷আশা করছি আপনাদের ওই দিক জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভালোই আনন্দ করে পালন করেন ৷আর আমাদের এই দিক তেমন ভাবে হয় না ৷শুধু দিনটি ব্রত করে তারপরের দিন পুজো দিয়ে শেষ ৷খুব একটা আনন্দ হয় না ৷আর দিদি আপনি গোপাল ঠাকুরের বেশ চমৎকার সুই সুতো দিয়ে জামা বানিয়েছেন৷
আপনাকেও জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা
জন্মাষ্টমীতে সত্যিই অনেক আনন্দ করেছি। ধন্যবাদ।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরী করে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম কোন জিনিস তৈরি করতে হলে অনেক সময় এবং দক্ষতা প্রয়োজন হয়। এটি অনেক ইউনিক একটি আইডিয়া আমার কাছে মনে হয়েছে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্যটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপাল ঠাকুরের জামা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। আসলে জামাটি দেখতে অসাধারণ লাগছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে জামা বানানোর প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।
আমারও অনেক পছন্দ হয়েছে জামাটা।
আপু জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপাল ঠাকুরের অনেক সুন্দর একটি জামা তৈরি করেছেন আপনি। গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরির পঞ্চম এবং সপ্তম ধাপটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ একটি সৃজনশীল মুলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাদের মন্তব্য গুলো প্রতিবার আমাকে কাজে উৎসাহ দেয়।
গোপাল ঠাকুরের জামা এমন হয়তো আমার পূর্বে জানা ছিল না। তবে আপনার এই ছোট্ট জামাতি তৈরি করা দেখে বুঝতে পারলাম এবং নতুন ধারণা অর্জন করতে পারলাম এই বিষয়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নতুন কিছুর সাথে পরিচয় করাতে পারলাম ,এটা জেনে আমারও ভালো লাগলো।
দিদি আপনি চমৎকার ভাবে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপাল ঠাকুরের জামা তৈরী করেছেন। দেখতে অসাধারণ হয়েছে। নিখুঁত ভাবে পুরো কাজটি সম্পুর্ন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ ,চেষ্টা করেছি যতটা পারা যায় নিখুঁত করার।