ঈদ - আমার শেষ উৎসবের স্মৃতি // "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা।
উৎসব তো সবসময়ই আনন্দমুখর, সে ধর্মীয় উৎসবে হোক অথবা কোন পারিবারিক অনুষ্ঠান। তবে করোনাভাইরাস এর মধ্যে কারণেই গত দু'বছর থেকে সেরকম কোনো কোনো উৎসবে আর পরিবারের সাথে পালন করা হচ্ছে না।
এইতো কিছুদিন আগেই আমরা ঈদ পালন করলাম। তবে এবারের ঈদটা ছিল একা একা, পরিবার থেকে অনেক দূরে। তাই এই ঈদের কথা আর আজ না বলি। বরং আমার সর্বশেষ উপভোগ্য একটা উৎসবের স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
সালটা ছিলো ২০১৯, তখনও পৃথিবীটা স্বাভাবিক ছিল। তাই ঈদটা পরিবারের সাথে করা হয়েছিল। সাধারণত আমি আমার দেশের বাড়িতে, আমার বাবা মার সাথে ঈদ উদযাপন করি। বরাবরের মতোই দিনটা থাকে খুব উৎসবমুখর; সকালে বাবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া, তারপর আমার দাদার কবর জিয়ারত। বাসায় ফিরে এসে উৎসবের খাওয়া দাওয়া।
ঈদের দিনে আমি , আমার প্রিয় স্কুল মাঠে। রংপুর - বাংলাদেশ। স্থান: লিংক
আমার প্রিয় স্কুল মাঠ। রংপুর - বাংলাদেশ। স্থান: লিংক
আমার মা সাধারণত বাঙালি খাবার রান্না করেন; যেমন ভাত, মাংসের তরকারি, ডাল ইত্যাদি। তো আমার ছোটো বোন সাধারণত ঈদের স্পেশাল রান্না করে। যেমন, বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, লাচ্ছা সেমাই ইত্যাদি।
ঈদের মজার রান্না।
ঈদের স্পেসাল সেমাই।
একটা আনন্দের বিষয় হলো আমার বাবার চার ভাই; তারা সবাই একই বাসার ভিতরে থাকেন। ঈদের দিন মানে হলো আমাদের পরিবার চাচাতো ভাইবোন সবাইকে নিয়ে অনেক উৎসবমুখর একটা দিন কারন বাসার ভেতরেই মোটামুটি ৩০ জনের মতো মানুষ। বিকেলে কখনো আমরা একটু ছাদে যাই। অথবা আমাদের স্কুল মাঠে ঘুরতে যাই। স্কুল মাঠটা অনেক বড়, শহরের অনেকেই সেখানে ঘুরতে আসে বিকেলে।
আমাদের বাসার ছাদ।
শেষবারের ঈদে আমাদের শহরের ভেতরে একটা থিম পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলাম আমার ছেলেকে নিয়ে। পার্কটা নতুন হয়েছিল, অনেকগুলোর ইনডোর রাইড এবং গেমের ব্যবস্থা ছিল। আমার ছেলে সেখানে অনেক আনন্দ করেছিল। সবমিলিয়ে দিনটা অনেক উৎসবমুখর ছিল। জানিনা আবার করে এমন একটা ঈদ কাটাতে পারব। নিশ্চয়ই খুব শীঘ্রই।। স্থান : রংপুর, বাংলাদেশ।
রূপকথা থিম পার্ক। রংপুর - বাংলাদেশ। স্থান: লিংক
স্থান লিংক : ছবির সাথে দেয়া আছে।
ডিভাইস: সাওমি নোট ৭ প্রো
এডিট করেছি : মোবাইল এডিটর দিয়ে।
খুব আনন্দঘন ও উপভোগ্য দিন ছিলো আপনার ।দেখে বুঝতে পারছি। খুব সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কমেন্টের জন্য।ভালো থাকবেন।
অনেক সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।