গ্রাম থেকে প্রথমবার পার্সেল গ্রহণ করার অভিজ্ঞতা

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমি গ্রাম থেকে আজকে একটি পার্সেল গ্রহণ করেছি। আর সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গত দুইদিন আগে আমি আর আমার মা অনলাইনে কিছু কাপড়-চোপড় দেখছিলাম। যেহেতু ছোটখাটো একটি বিজনেস শুরু করেছি কাপড়ের তাই মাঝে মধ্যে বিভিন্ন পেজ এ ঘুরে ঘুরে কাপড় দেখি। হঠাৎ করে কিছু শর্ট ড্রেস গুলো দেখতে পেলাম যেগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। ভাবলাম ছোট বোনের জন্য কয়েকটা নিয়ে দেখি কেমন। যদি ভালো হয় পরে আমার ব্যবসার জন্য আনবো।

1000029623.jpg

1000029624.jpg

গ্রামে আরো দুই দিন থাকবো এজন্য গ্রামের ঠিকানা দিয়েই আমি অর্ডার কনফার্ম করি। আর সমস্যা সেখান থেকেই শুরু হয়। শহরে হোম ডেলিভারি দুই দিনের মধ্যেই দিয়ে দেয়। কিন্তু তিনদিন পার হয়ে যাচ্ছিল তারপরও আমার পার্সেলটা আসছিলো না। ভাবলাম হয়তো বা কনফার্ম হয়নি অর্ডারটা। এভাবে চুপচাপ ছিলাম কিন্তু গতকাল বিকেল বেলা একটা নাম্বার থেকে ফোন আসে। বলে আমার ড্রেসগুলো এসে গেছে। তো ওনারা আমাকে থানা এরিয়া থেকে নিতে বলছিল। যেহেতু আমি আমাদের শহরের বাসায় ছিলাম না তাই ওনাদেরকে বললাম যে আমাকে গ্রামেই দিতে হবে।

1000029625.jpg

তখন ওরা আমাকে বললেন তাহলে গতকাল বা পরশু পেয়ে যাবেন। তো আজকে দুপুর বেলা আবারো ফোন আসে যে আমার পার্সেলটা নিয়ে ডেলিভারি ম্যান আমাদের গ্রামের বাজারে এসে অপেক্ষা করছেন। আমার গ্রাম থেকে বাজার প্রায় এক কিলো দূরে হবে।যেহেতু দুপুরের সময় ছিল কোনো ভ্যান ও পাচ্ছিলাম না। কি আর করার ছোট বোনকে নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম বাজারের উদ্দেশ্যে। রাস্তায় এত পরিমাণে রোদ ছিল আমার একটুও ইচ্ছে করছিল না যাইতে কিন্তু পার্সেলটা নিতে হবে তাই বাধ্য হয়ে যাচ্ছিলাম।

1000029627.jpg

প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট হেঁটে যাওয়ার পর বাজারে গিয়ে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে পার্সেলটা গ্রহণ করি। পার্সেলটা নিয়ে আবারও হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে আসি।সত্যি কথা বলতে এই মুহূর্তে যখন আমি আপনাদের জন্য এই গল্পটা লিখছি তখন আমার দুই পা খুবই ব্যথা করছে। আসলে এতটা পথ হাঁটার অভ্যাস নেই তো অনেকদিন পর অনেকটা পথ হেঁটেছিলাম। শহরে পার্সেল নেওয়া কতো সহজ ঘরের দরজায় এসে দিয়ে যায়। আর গ্রামে এসে কতটা দূর হেঁটে গিয়ে পার্সেলটা সংগ্রহ করতে হলো। যত কিছুই হোক সব মিলিয়ে প্রথম অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালো লেগেছে। এরপর থেকে আর কখনো গ্রাম থেকে কিছু অর্ডার করবো না।

1000029531.jpg

1000029632.jpg

তো বাসায় এসে পার্সেলটা ওপেন করলাম এবং দেখলাম কাপড়ের মান খুবই ভালো এবং প্রত্যেকটা কালার অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার ছেলে তো নতুন কাপড় দেখলে শুধু গায়ে দিতে চায় ও এটা কিছুতেই বুঝতে পারছিল না যে এগুলো ওর মানির(খালামনির)।তো কি আর করার সে বায়না ধরেছে গায়ে দেবে। তাই আমরা একটু ইয়ার্কি ফাজলামো করে ওকে গায়ে দিয়ে দিচ্ছিলাম। সেও খুবই খুশি হচ্ছিল। তো যাই হোক অভিজ্ঞতাটা খুব একটা খারাপ ছিল না তবে কষ্ট করছিল।

তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000006406.png

1000006403.gif

1000006401.gif

Sort:  
 11 months ago 

হঠাৎ করে অনেকটা পথ হেঁটেছেন এজন্য পায়ে ব্যথা হয়েছে। তবে অনলাইন থেকে ড্রেস কিনলে অনেক সময় ভয় লাগে যে কাপড়ের মান ভালো হবে কিনা। যাইহোক কাপড়ের মান ভালো ছিল জেনে ভালো লাগলো। আর বাবু তো একেবারে খালামণির জামা পরেই নিয়েছে।

 11 months ago 

আমি অনলাইন থেকে ড্রেস কেনার আগে তাদের রিভিউ গুলো দেখি যদি রিভিউ ভালো হয় তাহলে সেখান থেকে ড্রেস কিনলে অনেক ভালো হয় ড্রেসের মান। বাবু নতুন জামা দেখে পড়তে চাইছিল। তাই পড়াই ছিলাম বেশ হাসি পেয়েছিল ওকে দেখে। ধন্যবাদ আপু

 11 months ago 

আপু, আমি এতদিন জানতাম এটা আপনার ভাইয়ের মেয়ে! যাইহোক আপনাদের ছোটখাটো বিজনেস রয়েছে কাপড়ের সেটা জানা আছে।আসলেই অনলাইনে কাপড়গুলো সুন্দর দেখায় কিন্তু অনেকসময় খারাপ কাপড় ও দিয়ে দেয়।আপনি আপনার বোনের জন্য দারুণ ড্রেস নির্বাচন করেছেন,আশা করি সে পছন্দ করবে।আর সায়ানকে সুন্দর লাগছে দেখতে এই ড্রেসে।আপনার অভ্যেস না থাকার ফলে অনেক হেঁটে পা ব্যথা করছে।যাইহোক মিষ্টিগুলি কিন্তু দারুণ লোভনীয় ছিল, ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

না গো আপু ও আমার ছোট বোন। এই ড্রেসগুলো অনেক সুন্দর আমার ছোট বোন অনেক পছন্দ করেছে। জ্বি আপু অনেকদিন হাঁটার অভ্যাস নেই তাই হঠাৎ করে এতটা পথ হেঁটে পা ব্যাথা করছিল। যাইহোক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 11 months ago 

আপনার নতুন ব‍্যবসার জন্য আপনাকে শুভকামনা। আশাকরি বেশ ভালো চলবে। গ্রামের দিকে অনলাইন থেকে অর্ডার করা পার্সেল রিসিভ করা বেশ ঝামেলা এটা আমি জানি। প্রথমত হোম ডেলিভারি হয় না নির্দিষ্ট এটা স্থানে গিয়ে নিয়ে আসতে হয় । দ্বিতীয়ত সময় বেশি নেয়। এই বড় কাপড় টা শায়ানের গায়ে বেশ লাগছে কিন্তু হা হা।।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

ব্যবসাটা অনেকদিন হলো শুরু করেছি বেশ ভালোই চলছে ভাইয়া আপনাদের দোয়ায়। একদম ঠিক বলেছেন গ্রামে পার্সেল রিসিভ করা অনেক ঝামেলা এবং কষ্টকর। নতুন জামা দেখে পড়ার বায়না করছিল তাই পড়িয়ে দিয়েছিলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 11 months ago 

অনলাইনে অর্ডার করতে বেশ ভালোই লাগে, আমি তো প্রায় প্রতিমাসেই দারাজ থেকে এটা সেটা অর্ডার করি। একেবারে বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায়। যাইহোক পার্সেল পেতে তাহলে বেশ ঝামেলায় পরতে হয়েছিল আপনাকে। হয়তো ভ্যান পেলে কষ্ট আরেকটু কম হতো। তবে ড্রেসটা কিন্তু সুন্দর হয়েছে। শায়ান তাহলে তার খালামণির আগেই নতুন ড্রেসটা পড়ে নিয়েছে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

অনলাইনে অনেক কেনাকাটা করা হয় তবে শহরে কোন সমস্যা হয় না। যেহেতু গ্রামে ছিলাম তাই অনেকটাই সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। শায়ান নতুন ড্রেস দেখা মাত্র পরতে চাইছিল তাই মজা করে সবাই পড়িয়ে ছিলাম এবং অনেক হাসাহাসি করছিলাম এটা দেখে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 11 months ago 

আপনার নতুন অভিজ্ঞতাটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। শহরে যেমন পার্সেল রিসিভ করা খুবই সোজা, কিন্তু গ্রামে একদমই তার উল্টাটা। অনেকদিন হাঁটার অভ্যাস না থাকলে হঠাৎ করে অনেকটা সময় হাঁটলে পায়ে এমন আমারও ব্যথা করে আপু কিন্তু পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

জ্বি আপু অনেকদিন হাটার অভ্যাস নাই তাই হঠাৎ করে হেঁটে পায়ে ব্যথা করছিল। এটা ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের পার্সেল গ্রহণ করা খুবই ঝামেলা। অবশেষে ড্রেসগুলো হাতে পেয়ে সব ব্যথা ভুলে গিয়েছিলাম আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 63484.82
ETH 2603.17
USDT 1.00
SBD 2.81