অসুস্থ শরীর নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া এবং সেখান থেকে এসে ডাক্তার দেখানো
"হ্যালো",
কদিন ধরে মোটামুটি মাথা ব্যাথার যন্ত্রণায় ভুগছি। দুই তিন দিন সহ্য করার মত ছিল। আমরা গৃহিণী সামান্য মাথা ব্যাথা নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না সংসারে কত কাজ থাকে। তারপর আবার বাবু।যাই হোক কয়দিন সহ্য করার মতো মাথা ব্যাথা হলেও আজকে সকাল থেকে একদমই সহ্য করতে পারছিলাম না। মাথাব্যাথায় কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিলাম। আপনাদের ভাইয়া সাথে সাথে ডাক্তার কে ফোন দিয়ে সিরিয়াল নিল। আমাদের সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় যেতে বলল ডাক্তার। এভাবে মাথা যন্ত্রণা নিয়ে শুয়ে আছি।
এর মধ্যে গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন আসলো আমার হাসবেন্ডের দাদু মানে আমার দাদা শশুর তার নাতিকে দেখতে চেয়েছে মানে আপনাদের ভাইয়াকে। সেই কথা শুনে আপনাদের ভাইয়া বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আমাদের শহর থেকে আমার শ্বশুরের গ্রামের বাড়িতে যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। তবে আমরা খুব একটা যাই না কারণ সেখানে নেটওয়ার্কের খুবই সমস্যা। কি আর করার বয়স্ক মানুষ দেখতে চেয়েছে যেতে তো হবেই। ভাবলাম যেহেতু সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখাতে যাব তাই বিকেল থাকতেই বেরিয়ে পড়ি গ্রামের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে ফিরে এসে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় চলে আসব।
তো আমরা বিকেল পাঁচটা নাগাদ রেডি হয়ে একটি বড় অটো রিক্সা নিয়ে সোজা গ্রামের উদ্দেশ্যে চলে যায়। দাদুর জন্য দাদুর পছন্দের রসমালাই নিয়েছিলাম। যেখানে গিয়ে দাদুর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় গল্পস্বল্প করে চলে আসি। যেহেতু আমার বিকেলে ডাক্তার দেখানোর ছিল তাই আর বেশি দেরি করিনি। দাদুকে দেখে খুবই খারাপ লাগছিল উনি খুবই কান্না করছিলেন আমাদেরকে দেখে। যাইহোক উনার কাছে দোয়া নিয়ে আমরা চলে আসি।
এবার আমরা একই রিক্সা নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে চলে যায়। যেহেতু আগে থেকেই সিরিয়াল নেওয়া ছিল। আর ডাক্তার আঙ্কেল ও আমাদের পরিচিত তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। এরপর ডাক্তার আঙ্কেল আমাকে দেখলেন এবং বেশ কিছু ওষুধ পত্র লিখে দিলেন এবং কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে বললেন।আমার মাথাব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ঠিকমতো ঘুম হয় না।যাদের ছোট বাচ্চা আছে তারা খুব ভালোভাবেই জানেন দিনরাত মিলে কত ঘন্টা ঘুম হয়। আমি চেষ্টা করি ঘুমানোর কিন্তু আমার যখন ঘুম পায় তখনই পাব ঘুম থেকে উঠে। তো ডাক্তার আঙ্কেল আমাকে কিছু ঘুমের ওষুধও দিয়েছেন। আরো বেশ কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে সেগুলো আমি আপনাদের সাথে আরেকদিন শেয়ার করব।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন দ্রুত সুস্থ হতে পারি।কারণ আমি অসুস্থ থাকলে আমার বাচ্চার জন্য সেটা খুবই কষ্টকর হয়। যাইহো বন্ধুরা আজকে পর্যন্ত দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
অসুস্থ হলে বুঝতে পারা যায় সুস্থতা কত বড় নেয়ামত তবুও এইরকম অবস্থায় শুভ ভাইয়ের দাদুকে দেখতে গিয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় কোথাও যাওয়ার প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে না। যাই হোক সেখান থেকে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন সুস্থতা কামনা করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।