শীতের হালকা কেনাকাটা || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
ক'দিন ধরে ভালোই শীত পড়েছে। ভাবলাম বাবুর শীতের কাপড় চোপড় আলমারি থেকে বের করি। ওমা একটা কাপড়ও বাবুর গায়ে লাগছে না বাবু অনেকটা বড় হয়ে গেছে। তো ভাবলাম ওর কিছু কাপড় চোপড় কেনো খুব দরকার। এজন্য আমি বাজারে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই মহূর্তই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
দাদাকে বলেছিলাম একটা ছবি তুলবো। সাথে সাথে দাদা পোজ দিলো। দাদাটা অনেক ভালো।
অনেকদিন ধরে হালকা শীত পড়েছিল, তবে শীতের কাপড় চোপড় পড়তে হয়নি। গতকাল বেশ ঠান্ডা অনুভব করলাম এবং বাবুর শীতের কাপড় বের করে দেখলাম একটা কাপড়ও ওর গায়ে লাগছেনা। আমি বাবুর বাবাকে বললাম যে বাবুর জন্য কিছু কাপড় কেনা দরকার। তো দুজন মিলে সন্ধ্যায় বেরিয়ে পড়লাম বাবুর জন্য কিছু কেনাকাটা করবো। তার সাথে আমারও কিছু কেনাকাটা করা লাগবে। এজন্য একটু তাড়াতাড়ি বের হয়েছিলাম। আবার সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসতে হবে যেহেতু এখন বাহিরে কুয়াশা পরে বাবুকে নিয়ে বাহিরে থাকব না বেশিক্ষণ।
আমি প্রথমে বাবুর জন্য কিছু শীতের জামা কাপড় কিনব জন্য একটা দোকানে গিয়ে বাবুর জন্য শীতের একটু হালকা পাতলা দেখে শীতের কাপড় নিলাম। কারণ বাবু বেশি মোটা কাপড় পরতে চায়না। অল্প দামের মধ্যে খুব ভালো জিনিস পেয়েছিলাম। যেগুলো আমার খুব পছন্দ হয়েছিলো।
বাবুর কেনাকাটা হয়ে গেলে আমরা একটা কসমেটিকের দোকানে গিয়েছিলাম এবং আমার কিছু আনুষাঙ্গিক জিনিস নেওয়ার ছিলো ফেসওয়াস, ক্রিম,নারকেল তেল, চুলের কিছু কাঁটা। যেগুলো বাবু চুল থেকে টেনে টেনে ভেঙে ফেলে। এজন্য বেশ কয়েকটা নিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে চলে আসি।
তারপর আরেকটি আমরা আসি জুতার দোকানে যেখান আমি একজোড়া রুমে পড়ার জন্য জুতা কিনেছিলাম। তো জুতা কিনে যখন আমি চলে আসছিলাম হঠাৎ করে কিছু পাপোশ আমার চোখে পরছিলো। যেগুলো আমার খুব দরকার ছিল। তো আমি সেখান থেকে কয়েকটি পাপোশ কিনেছিলাম দেখতে খুবই ভালো ছিলো।
তারপর বাসার জন্য আরও কিছু কেনা কাটা করে বাসায় চলে এসেছিলাম।যদিও ভেবেছিলাম সন্ধ্যার আগেই চলে আসব। কিন্তু কেনাকাটা করতে দেরি হয়ে গেলো তাই সন্ধ্যা হয়ে গেছিলো। তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই।দেখা হবে পরের ব্লগে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
বাহ আপু শীত এসে গেল আর আপনিও কেনাকাটা শুরু করে দিলেন। অবশ্য প্রতিবছরই বাবুদের জন্য কাপড়-চোপড় কিনতে হয় কারণ তারা প্রতিবছরের কিছু না কিছু পরিবর্তন হয়। তার আগের কাপড় গুলো ছোট হয়ে যায় পরবর্তীতে একটু বড় সাইজের কাপড় কিনতে হয়। বাবুর কেনাকাটার সাথে আপনিও দেখছি অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। চুলের ক্লিপ গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে আপু আমার পছন্দ হয়েছে।
চুলের ক্লিপ গুলো আমার ছেলে শুধু ভেঙে ফেলে। কতগুলো যে ভেঙেছে হিসেব নেই। তাই যখন নেই কয়েকটা করে নেই। বাবুর কেনাকাটা করতে গিয়ে আমারও প্রয়োজনীয় কিছু কসমেটিকস কিনলাম।ধন্যবাদ আপু।
ঢাকাতে এখনও ফ্যান চালানো লাগে,তবে ভোরের দিকে কিছুটা ঠান্ডা লাগে,তাই এই সময়ে পাতলা গেঞ্জি পড়ালে ভালো,ভারিটা পড়ালে ঘেমে ওদের আরো ঠান্ডা লাগে।আমার বেশি কষ্ট লাগে লোশন, ক্রিম, ভ্যাসলিন মাখতে,আলসেমির দিন চলে এসেছে। যাই হোক ভালো করেছেন বাবুর জন্য আগে আগে সব কিনে নিয়ে এসেছেন।
আমি শীতকালে বাবুকে সরিষার তেল দিয়ে দেই। লোশন দিলে ওর ঠান্ডা লাগে। আর বাবু মোটা কাপড় পরতে চায়না। আমি সবসময় ওর জন্য পাতলা আবার যেনো ঠান্ডাও না লাগে এমন জামা কাপড় কেনার চেষ্টা করি।
ঢাকায় এখনো শীত অতটা অনুভব করা যায় না। শীত আসলে কমবেশি কেনাকাটা সবারই করতে হয়। আর বাবুদের জন্য তো করতেই হয়। কারণ এই সময়টাতে তাদের গ্রোথ বাড়ে, তাই এক বছর আগের পোশাক তাদের হয় না। আর এই শীতকাল বডি ক্রিম তো মাস্ট। যাইহোক আপু কেনাকাটার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হুমম আপু বাবুদের জন্য প্রতি বছর কিনতে হয়। আমার অভিজ্ঞতা ছিলো না। তাই প্রথম বার অনেক কাপড় কিনেছিলাম। যেগুলো এবার আর হচ্ছে না।তাই সেগুলো আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়েছি গরীব মানুষকে দেওয়ার জন্য। বাবুর জন্য নতুন করে আবার কিনলাম।