হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি বেশ ব্যস্ততম সময় পার করছি, যেমন বাড়িতে ব্যস্ততা ঠিক তেমনি অফিসেও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ঐ যে বলে না চাপ আসলে সব দিক হতেই আসে, আমার অবস্থা হয়েছে এখন সেই রকম। চারপাশ হতে সমান তালে চাপ আসতেছে। ল্যাপটপের মেমোরি বাড়াতে হবে কিন্তু সময় পাচ্ছি না। সিম কার্ডটা ব্লক হয়ে গেছে কিন্তু এখনো তুলতে পারছি না, সময় মতো পোষ্ট করার বিষয়টিও এখন আর হচ্ছে না। আহ জীবন কতটা গতিশীল এখানে, ব্যস্ততা কতটা চঞ্চল এখানে, আর আমার অবস্থা একদমই বেগতিক, ব্যস্ততা আর চঞ্চলতার ঠেলায়, হি হি হি। আরে ভাই বুঝেন না ক্যা, সব সময় ব্যস্ততা ভালো না, সকল সময় চঞ্চলতা সুখকর হয় না, যেমনটা আমার বেলায় হচ্ছে এখন।
আসলে জীবনটাই এই রকম, যখন ব্যস্ততা আসে সব দিক হতে ব্যস্ততা আসে আবার যখন ব্যস্ততা থাকে না তখন সব দিক হতেই কেমন জানি ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে আর জীবনটাও পানসে হয়ে যায়। মোট কথা হলো সকল ক্ষেত্রে ব্যালেন্স থাকাটা জরুরী, ব্যালেন্স বিহীন কোন কিছুতেই সুখ পাওয়া যায় না বরং অশান্তি বেড়ে যায়। একটু লক্ষ্য করে দেখুন জীবনে শান্তি বা সুখ তখনই আসে যখন সকল ক্ষেত্রে একটা সুন্দর ব্যালেন্স তৈরী করা সম্ভব হয়। আবার জীবনে অশান্তি বা পেরেশানি তখনই আসে যখন কোন ক্ষেত্রেই ব্যালেন্স তৈরী করা সম্ভব হয় না। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আমাদের এই বিষয়টির প্রতি যত্নশীল থাকতে না, তা না হলে কপালে বেশ ভালোই দুঃখ আসে।
সে যাইহোক, এই বিষয়ে আবোল তাবোল জীবনের গল্প অন্য কোন দিন শেয়ার করবো। কারন আজকে কবিতা শেয়ার করার ইচ্ছা আছে আর সেটা অবশ্যই কিছুটা নিরানন্দ কিংবা দুঃখের। কারন আমাদের জীবনের এক পিঠ যেমন সুন্দর ও সুখের হয় ঠিক তেমনি অন্য আরো একটা পিঠ থাকে যেটা অসুন্দর এবং দুখে ভরা। আমরা হয়তো সুখটাকে সামনে আনতে চেষ্টা করি আর দুঃখটাকে আড়ালে। কিন্তু সম্পর্কগুলোর ভাঙ্গন, কাছে থাকা মানুষগুলোর ভিন্ন চরিত্রের দৃশ্যায়ন আমাদের নানাভাবে আঘাত করে এবং পাল্টে যেতে বাধ্য করে। পেছনে থাকা এই কথাগুলোকে আজকের কবিতায় প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করেছি। চলুন তাহলে একটু পড়ে দেখি-
মাঝে মাঝে চারপাশের দৃশ্যগুলো
হঠাৎ করেই পাল্টে যায়
মাঝে মাঝে চারপাশের চরিত্রগুলো
হঠাৎ করেই রংহীন হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে হৃদয়ের উৎকণ্ঠা
চিন্তার শীর্ষে উঠে যায়
মাঝে মাঝে সম্পর্কগুলোর বন্ধনটা
নিস্তেজ হয়ে গতি হারায়।
মাঝে মাঝে আকাশের মেঘগুলো
হৃদয়ের তৃষ্ণা দ্বিগুন করে
মাঝে মাঝে অনুভূতির ঝড়
হৃদয়ের আকাংখা জাগ্রত করে।
মাঝে মাঝে চরিত্রগুলোর আচরণ
বদলে যাওয়ার নির্মম কারণ
সুখের আবহে বাড়ে বিরহের সূর
বিষাদে জ্বলে তিক্ততার আগুন।
সম্পর্কগুলো ভেঙ্গে যায় অপ্রত্যাশিতভাবে
স্বপ্নরা ডুবে অমাবশ্যার কালো রাতে
হৃদয়ের চঞ্চলতা নির্জীবতায় আড়ালে
সুখের অনুভূতি পাল্টে যায় নিমিষে।
মানুষ বদলায় চরিত্রের নতুন চিত্রায়নে
কারনগুলো লুকিয়ে থাকে আড়ালে
সম্পর্কগুলো বদলায় ভিন্ন অনুভুতি নিয়ে
কাছের মানুষগুলোর অদ্ভুত আচরণে।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
প্রথমে বলবো আপনার ব্যস্ততা খুব তারাতারি কাটুক ৷ যাহোক আপনার কবিতার মেইন সারাংশ নিরানন্দ কিংবা দুখের৷ জি ভাই একদম যথার্থ এবং কি সঠিক কথাগুলো লিখেছেন ৷ আসলে জীবনের সব সময় এক গতি বা এক রকমই যায় না পরিবর্তন এবং পরিবর্তনশীলতা মানুষের জীবনে ঘটে থাকে৷ দু-একদিন আগে আর কিংবা পিছে তবে হ্যাঁ ভালো-মন্দ দুঃখ-কষ্ট সব কিছুকে শামিল করেই বেঁচে থাকাটা বুদ্ধিমতার কাজ ৷ কারণ এখানে সুখ যেহেতু রয়েছে দুঃখ আসবে ৷ যদিও আমার দুঃখটাকে আড়াল করার চেষ্টা করি ৷তবে সেটা আমরা আড়ালে রাখতে চাই সেটা যেন আমরা বহিঃপ্রকাশ না হয় ৷সে দিক দিক থেকেও সবার সজাগ থাকা উচিত৷ আর দিনশেষে ভালো থাকাটাই হল বুদ্ধিমানের কাজ ৷
কবিতাটি সত্যি অনেক ভালো লেগেছে ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই!!!!
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের জীবনে যদি সুখি হতে চায় এবং জীবনটা যদি উন্নতি করতে চায় তাহলে আমাদের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হবে। যখনই আমরা ব্যালেন্স ঠিক করতে পারবো না তখনই আমরা ব্যর্থ হয়ে যাব। জীবনের সফলতা খুঁজে পাবো না। আর এই সফলতার জন্য আমাদের ব্যালেন্সটা ঠিক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। এই কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি বলতে আপনার কবিতার প্রত্যেকটা লাইন অসাধারণ ছিল। কবিতার প্রত্যেকটা লাইন এর ভিতরে অর্থবোধক শব্দ আছে যেগুলো মানুষের জীবনের সাথে খুবই পরিপূরক।
হুম সেটা সত্য। তবে এই সত্যতা আমি আমার জীবনে বহু ক্ষেত্রে পেয়েছি, যেটা কল্পনা করি নাই সেটাই আমার কাছে আসছে।
জীবন হল নদীর মত।দিন দিন বেগ বাড়তেই থাকে।কখনো প্রচুর ব্যস্ততা আবার কখনো শুকনো বালুরচর।এভাবেই জীবন চলে।আমরাও এর সাথে মানিয়ে নিই।
কথা গুলো অনেক গভীর অর্থ বহন করে।একদম হৃদয়ের গভীরে আঘাত করে।ধন্যবাদ ভাইয়া অসাধারণ একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
হুম ঠিক বলেছেন, কখনো চঞ্চল আবার কখনো নির্জীব, এটাই হয়তো জীবনের নিয়ম। আর মানিয়ে নেয়টাই হলো আমাদের কাজ।
সত্যিই জীবনটাই যেন ব্যস্ততার পরিপূর্ণ।দারুণ লেখনী👌.একদম কঠিন সত্যকে তুলে ধরেছেন ভাইয়া।চলার পথে ঘাত-প্রতিঘাত ,আঘাত সবই প্রিয়জনের কাছ থেকে বেশি আসে যা মানুষের মনকে বিষিয়ে তোলে ।মানুষ ভালো থেকে খারাপের রাস্তায় পদার্পন করে তখন।অনেক গভীরতা ছিল কবিতায়,ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী এটাই হয়তো জীবনের আসল চিত্রায়ন আর সেই কারনেই আমাদের হতাশ না হয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। ধন্যবাদ
অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আমাদের জীবনের বাস্তবতার প্রেক্ষাপট গুলো সত্যিই অনেক অদ্ভুত। কখন যে কোন সম্পর্কের মাঝে ফাটল ধরে তা আমরা বুঝতেই পারি না। হয়তো প্রিয় মানুষগুলো বদলে যায় কিংবা তার অনুভূতিগুলো বদলে যায়। যাইহোক ভাইয়া আপনি আপনার এতটা ব্যস্ততার মাঝেও এত সুন্দর কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো ব্যালেন্স করে না করি তাহলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আর যখন কাজের চাপ বেশি পড়ে তখন সব দিক থেকেই একেবারে বেশি হয়ে যায়। যাই হোক ভাইয়া আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও ভালো থাকুন এই প্রত্যাশাই করি।
সময়ের প্রভাবে কিংবা নতুন চাহিদার কারনে অথবা পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমরা প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছি, প্রতিনিয়ত আমাদের সম্পর্কগুলো নতুনভাবে চিত্রায়িত হচ্ছে। বাস্তবতা সত্যি বড়ই নির্মম।
বেশি চাপ নিতে নিতে দেখিয়েন চ্যাপ্টা যেন না হোন😜।যাই হোক আসলেই সব কিছুই ব্যালেন্স রাখা জরুরি। অতিথি মিষ্টি যেমন খাওয়া যায় না,তেমনি ঝাল খাওয়া যায় না।আপনার কবিতাগুলো অনেক ভালো মানের হয়।তবে discord এ আপনার কবিতা গুলো অনেক মিস করি।
লাইনগুলো বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ
জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর বিষয়টি হলো ব্যালেন্স, এটা সত্যি খুব সহজ বিষয় না। মাঝে মাঝে মনে হয় নদীর একদম কিনারায় দাড়িয়ে আছি, যে কোন সময় পড়ে যেতে পারি নদীতে।
সুন্দর কবিতা সঙ্গে অনেক চমৎকার কিছু কথা ও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। আমার কথার সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি যেমন ব্যস্ততা যখন আমাদের জীবনে আসে তখন মনে হয় চারিদিক থেকে ব্যস্ততা ঘিরে রেখেছে। আবার যখন ব্যস্ততা চলে যায় তখন মনে হয় একদম অলস সময় অতিবাহিত করছে। মূল কথা হচ্ছে ব্যালেন্স থাকাটা অবশ্যই জরুরী ব্যালেন্সবিহীন কোন কিছুই সুখকর হয়ে ওঠেনা। কবিতার বিষয় বলতে চাই আপনি বরাবরই অনেক ভাল কবিতা লেখেন। সম্পর্কের বিষয়ে বলতে গেলে একটা সম্পর্ক তৈরি হতে অনেকটা দিন লাগে কিন্তু ভেঙে যেতে মাত্র কয়েক মিনিট যথেষ্ট। মোট কথা হচ্ছে মানুষ বদলে যাবে এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য আর কারণগুলো থেকে যায় স্মৃতির পৃষ্ঠার আড়ালে।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)