প্রকৃতি এবং আমাদের বর্তমান মানসিকতা || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। অবশ্য এখন ভালো না থাকার কোন কারন নেই যদি আপনি গ্রামীন পরিবেশে থাকেন। আর যদি শহরের মাঝে থাকে তাহলে নিশ্চিত ডেঙ্গুর আতংক মনের মাঝে রয়ে গেছে। কারন গতকাল পত্রিকায় পড়লাম ৭০ এর বেশী মানুষ মারা গেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে, এই সংখ্যাটা নেহাতই কম নয় কিন্তু। একটা দেশের রাজধানীর পরিবেশ কতটা সুন্দর সেটা এই সংখ্যাটা দেখলেই সহজে বুঝ যায়। যাইহোক এই বিষয়ে কথা বলা আমার মূল উদ্দেশ্য না বরং প্রকৃতির সুন্দর কিছু দৃশ্য শেয়ার করার সাথে সাথে নিজের অনুভূতি তুলে ধরাই আমার মূখ্য উদ্দেশ্য।
অবশ্য এর সাথে যথারীতি কিছু নীতিবাক্য থাকবে সব সময়ের মতো, ভালো লাগে এসব বলতে এবং নিজের ভেতরে থাকা অনুভূতিগুলোকে শেয়ার করতে। আজকাল অবশ্য সোশ্যাল সাইটগুলোতে এই রকম হাজারো বাণী নানাভাবে প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু সেগুলো আদতে আমাদের হৃদয়ে ন্যাড়া দিতে পারছে না, কারন আমরা সেগুলোকে সেই রকমভাবে উপলব্ধি করতে পারছি না। আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন শিক্ষকরা প্রায় নানা ধরনের উপদেশ বাণী শুনাতেন, আমরা সেই বাণীগুলোকে খাতায় লিখে রাখতাম। শিক্ষক কিন্তু শুধু বাণী শুনিয়েই খ্যান্ত হন নাই বরং সেটার সুন্দর একটা ব্যাখ্যা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতেন, যার ফলশ্রুতি আমরা সেই বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে সক্ষম হতাম।
এখন সেটা হয় না, এরও একটা কারণ আছে শিক্ষকদের প্রতি সম্মান কিংবা ভালোবাসা কোনটাই অবশিষ্ট নেই। যেমন নেই প্রকৃতির প্রতি মমতা কিংবা ভালোবাসা। মাঝে মাঝে পত্রিকা মারফত কিছু সাদা মনের মানুষের কথা শুনি, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সবুজ পরিবেশ তৈরীতে বিভিন্ন পতিত জায়গায় গাছ লাগিয়ে যাচ্ছেন। শুধু গাছ লাগাচ্ছেন তাই নয় বরং সেগুলোকে রীতি মতো আদর যত্ন করে বেড়ে উঠার সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে দিচ্ছেন। ঠিক এভাবেই আমাদের শিক্ষকরা আমাদের মাঝে থাকা সৃজনশীলতাকে বেড়ে তুলতেন আর তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা কিংবা শ্রদ্ধাবোধ কোনটারই কমতি ছিলো না।
গতকাল আমার ছেলেকে তার এক শিক্ষকের সাথে কথা বলার ধরন দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম, তাকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দেয় উনি তার শিক্ষক না, নিচের ক্লাসের শিক্ষক। আমি উত্তরটা শুনে আরো বেশী অবাক হলাম, নিচের ক্লাসের শিক্ষক বলে তার প্রতি শ্রদ্ধবোধ করে যাবে? হায় হায় এ কি ধরনের মানসিকতা! এবার বুঝেন সেই শিক্ষকের তার প্রতি কতটা আগ্রহ কিংবা ভালোবাসা থাকবে যে কোন কিছু শেখানোর প্রতি? আমাদের বর্তমান প্রজন্ম সত্যি বেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে, তাদের মানসিকতা দেখতে বড্ড বেশী অবাক হয়ে যাই। শিক্ষক মানেই শিক্ষক সে আমাকে কিছু পড়াক কিংবা না পড়াক। আমাদের মাঝে তো কখনোই এই ভাবনা ছিলো না।
যাইহোক, পবির্তন শুধু বর্তমান প্রজন্মের মাঝে আসছে তা কিন্তু না বরং প্রকৃতির মাঝেও আসছে। প্রকৃতি আগের তুলনায় অনেক বেশী আগ্রহী ও ভয়ানক হয়ে উঠছে। কারণ ঐ যে শিক্ষকদের মতো প্রকৃতির প্রতিও আমাদের মমতা এবং ভালোবাসা দুটোই বেশ কমে গেছে। শিক্ষকরা এখন যেমন ছাত্রদের প্রতি খুব একটা আগ্রহী না ঠিক তেমনি প্রকৃতি আমাদের প্রতি আগের মতো অতোটা নমনীয় না, ভালোবাসা দুই পাশেই সমানভাবে কমে গেছে। শীতের সুন্দর প্রকৃতির মাঝে যেমন সজীবতা থাকে, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের হৃদয়ে যদি শিক্ষকদের প্রতি তেমন সম্মানবোধ কিংবা ভালোবাসা থাকতো তাহলে সম্পর্কটা আরো বেশী সুন্দর ও মধুর হতো আমাদের সময়কার মতো। ভালোবাসা বাড়ুক প্রকৃতির প্রতি এবং আমাদের গুরুজনদের প্রতি সমানভাবে।
তারিখঃ অক্টোবর ১৪, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবর্তন প্রয়োজন আছে। পরিবর্তন প্রকৃতির নিয়ম।তাই বলে ব্যাপার টা এটা না যে শিক্ষক কে সম্মান করবে না। এটা আমাদের এই জেনারেশনের ছেলেমেয়ের একটা বাজে অভ্যাস। তারা শিক্ষক কে সঠিক সম্মান দেয় না। এটা একেবারেই অনাকাঙ্খিত। পিতা মাতার পরেই শিক্ষক এর অবস্থান। এখন তারা যদি আমাদের উপর নারাজ থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ খারাপ আছে।।
একজন বিখ্যাত ব্যক্তিদের একটা কথা মনে পরে গেল,
যে তোমাকে একদিনও পড়াবে সে তোমার শিক্ষক! কিন্তু দুখের বিষয় হলো আমরা শিক্ষকদের আর সেভাবে সম্মান করি, শ্রদ্ধার চোখে দেখি না। যার ফলে তাদের কাছে নীতি নৈতিকতার শিক্ষাটাও কম পায়। যেমনটা আমাদের প্রকৃতি করে যাচ্ছে।
প্রকৃতির পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মাঝে ও পরিবর্তন আসে।কিন্তু সব পরিবর্তন সুখকর নাও হতে পারে।বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা গুরুজনকে সম্মান আমাদের মতো করে, করে না।তাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না মা-বাবার পরেই শিক্ষকদের স্থান।প্রকৃতির বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভাইয়া ভালো লাগলো।
আমরা তো ছোটবেলা শিক্ষকদের দূর থেকে দেখলেই ভয় পেতাম। শিক্ষকরা যখন শাসন করতো তখন মুখ বুঁজে সহ্য করতাম। আর এখনকার ছোট ছোট ছেলেদেরকে শাসন করার সময় টিচারদের লাঠি পর্যন্ত ধরে ফেলে। তাই টিচারদেরও স্টুডেন্টদের প্রতি ততটা টান নেই এখন। প্রকৃতিরও একই অবস্থা। আমরা প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে ধ্বংস করে ফেলছি, তাই প্রকৃতিরও আমাদের প্রতি টান বা মায়া নেই। আমি মনে করি সবকিছুই হচ্ছে গিভ এন্ড টেক। আমি যদি কারো সাথে ভালো কিছু করি,তাহলে প্রতিদান স্বরূপ অবশ্যই ভালো কিছুই পাবো। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও চমৎকার লিখেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমানে ছাত্রদের যেমন শিক্ষকের প্রতি তেমন একটা আন্তরিকতা ভালোবাসা নেই। তেমনি শিক্ষক ও টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কে মূল্যায়ন করছে,দুদিক থেকেই সমস্যা আছে। যার কারণে অনেকটাই কমে গিয়েছে ছাত্র শিক্ষকের মধ্যকার আন্তরিকতা ও ভালোবাসা যেটি একটা সময় ভরপুর ছিল। তবে এখনকার জেনারেশন আগের কার জেনারেশন এর চাইতে উল্টো। এদের মধ্যে শিক্ষকের প্রতি আন্তরিকতা ভালোবাসা খুবই কম। আর প্রকৃতির কথা কি বলবো প্রকৃতি দিন দিন খারাপ হতে যাচ্ছে। আর এটা আমাদেরই কর্মের ফসল। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।