হ্যালো বন্ধুরা,
মুলা, শুধু শীতকালীন একটি সবজি না, বরং সবজির জগতে সবচেয়ে বেশী অপপ্রচারের স্বীকার হওয়া নিরীহ একটি আইটেম। আসলে সত্যি বলতে ছোট বেলা হতেই আমি দেখে আসছি নানাভাবে, নানা শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে সবাই কেন জানি মুলাকে বেছে নেন প্রথমেই। কোন চিন্তা ছাড়াই মজার ছলে কিংবা ইচ্ছেকৃত ভাবে কেন জানি মুলার মাধ্যমে কাউকে পঁচানি দেয়ার চেষ্টা করা হতো। আমিও করতাম, মজা পেতাম। কিন্তু এটাও সত্য ছিলো যে, মুলাকে খুব বেশী অপছন্দ করতাম, মুলা রান্না হলে সেদিন তরকারি হতে দূরে রাখার চেষ্টা করতাম।
আপনি হয়তো এই রকম কোন অপপ্রচারের স্বীকার হন নাই, তাই হয়তো শব্দগুলো আপনার কাছে অপরিচিত লাগবে কিন্তু আমার কাছে খুবই পরিচিত। যার কিছু আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম এখন, মুলা খাও, মুলার তরকারি, মুলার স্বাদ, মুলার মতো দেখতে, মুলার গন্ধ। না থাক আর বেশী বলা যাবে না, পরে পাবলিক আবার মাইর দিতে পারে, হা হা হা হা । যা ভাগ মুলার দল, কিছু হুনছেন আপনি, না থাক তাইলে ঠিক আছে, হা হা হা।
তবে অনকাংখিতভাবে এটাও সত্য যে, আমি এখন মুলা পছন্দ করি এবং মুলার তরকারি বেশ খাই, কারন যত অপপ্রচারই হোক না কেন, মুলার স্বাদ কিন্তু মন্দ না। একটু ভালোভাবে রান্না করা হলে দিল ঠান্ডা হয়ে যাবে মুলার তরকারি খাওয়ার পর। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই চিংড়ি কিংবা ইলিশ মাছ দিয়ে মুলা খেতে পছন্দ করে। তবে বিশ্বাস করে, অনেক মাছের সাথেই মুলার বেশ ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। আমি নিশ্চিত অপপ্রচার হতে সরে এসে আপনি যদি মুলার আসল স্বাদ নিতে পারেন, তবে অবশ্যই এর দারুণ ফ্যান হয়ে যাবেন, বিদ্যুৎ ছাড়াই ঘুরা শুরু করবেন, হি হি হি হি।
যাইহোক, গতকাল সন্ধ্যায় স্বাদ নিলাম স্বাদের মুলার মুচমুচে পাকোড়া, সত্যি বলছি যতটা অপপ্রচার করা হয় মুলার-মুলা কিন্তু ততোটা খারাপ না। পাকোড়াগুলো সব আমি আর আমার মেয়ে খেয়ে ফেলছিলাম। স্বাদের কিছু সামনে থাকলে আমরা সবগুলো খেয়ে ফেলি, হি হি হি। চলেন তাহলে মুলার মুচমুচে পাকোড়া তৈরীর রেসিপি দেখি-
উপকরণ সমূহঃ
- মুলা
- কর্ণ ফ্লাওয়ার
- বেসন
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদ গুড়া
- ধনিয়া পাতা
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
শুরুতেই মুলাকে কুচি কুচি করে নিতে হবে, অবশ্য আপনি চাইলে বটি দ্বারাও স্লাইস করে নিতে পারেন।
এরপর একটি প্লেট কিংবা বোল নিয়ে হলুদ গুড়া, বেসন, কর্ণ ফ্লাওয়ার, পেঁয়াজ কুচি, ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ ও লবন মিশিয়ে ভালোভাবে মিক্স করতে হবে।
দেখুন মিশ্রণটা কেমন হয়েছে, তবে বেশী টাইট দিতে যাবেন না আবার, তাহলে মুলা কিন্তু গলে যাবে, হা হা হা।
এখন একটি প্যান চুলায় দিয়ে তেল ঢালবো এবং তা গরম করবো।
এরপর মিশ্রণগুলো হতে অল্প অল্প নিয়ে হাতে চাপ দিয়ে চ্যাপটা করে তেলে ছাড়বো।
কিছু সময় এগুলোকে ভাজবো, এপিট ওপিট করে উল্টে দিবো।
কিছুটা বাদামি কালার হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলতে হবে, ভুলেও কিন্তু টিপ দিতে যাবেন না, তাহলে আঙ্গুল পুড়ে যেতে পারে, হি হি হি।
তো হয়ে গেলো আমাদের মুচমুচে স্বাদের মুলার পাকোড়া, দেখুন তো দেখতে কেমন লাগছে, না না না খাওয়া লাগবে না। সেটার জন্যতো আমি প্রস্তুত আছি, আচ্ছা দাঁড়ান টেষ্টটা চেক করেই বলছি, হুমমমম সেই স্বাদ হয়েছে, মুলার পাকোড়া বলে কথা।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আসলেই ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন যে মুলা আমাদের সমাজের অবহেলিত একটি সবজি যদি ছোটবেলা যদি কেউ শুনতো মূলা দিয়ে ভাত খেয়েছে কেউ তাহলে হয়তো তাকে হেসে উড়িয়ে দিতো। কিন্তু এখন এরকম হয়না কারন অন্যনো সবজির মতো মূলার দাম ও অনেক বেশি। মূলা দিয়ে পাকোড়া সত্যিই খুব ইউনিক একটি রেসিপি এবং অন্যান্য সবজি পাকোড়া খাওয়া হয়েছিল কিন্তু মুলো দিয়ে কখনই খাওয়া হয়নি। কিন্তু আজ মুলা দিয়ে পাকোড়া বানানো শিখে ফেললাম হয়তো বাসায় খাওয়া হবে একবার ট্রাই করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম ইউনিক একটু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
প্রিয় হাফিজুল্লাহ ভাই
পোস্ট পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ।!!!
👏🎅 একটু থামেন একটু পরে প্রশংসা কর
রেসিপি সম্পর্কে বলতে গেলে
একদম নতুন এবং অসাধারণ মানের কিছু তৈরি করেছেন। যাকে বলে সাঁই এর ভেতর থেকে আগুন।
আসলে সত্যিই সবজিগুলোর ভেতরে আমরা মুলা কে সবাই অসম্মান করলেও আসলে এর কে বেশ কিছু উপকারিতা এবং অসাধারণ রেসিপি তৈরি করা সম্ভব।
যেটি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে।
অসাধারণ ছিল
ভাই আগে প্রাণ খুলে হেসে নিন, তারপর মুলার স্বাদের অনুভূতি শেয়ার করিয়েন, হে হে হে
😁😁😁😁😸👻
ভাইয়া আমি মনে করেছিলাম আপনি হ্যাংআউটে মুলা নিয়ে মজা করেছিলেন। কিন্তু এই মুলা নিয়েই আপনি এতো সুন্দর করে আমাদেরকে রেসিপি উপহার দিবেন এটা আমার কল্পনায় ছিল না। আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা মুলা নিয়ে অনেক সময় অনেক জনকে হাসি, ঠাট্টা, মশকারা এগুলো করতাম। এখনও করি কিন্তু মুলার যে কোন কিছুর প্রথম বেছে নেওয়া হয়। কারণ মুলার বিশেষত্ব গুন আছে। আমরা যত ধরনের শাকসবজি খাই না কেন আপনি বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাবেন মুলার মধ্যে সবথেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বেশি। যাইহোক আপনি আমাদের মা মনি দুজনে মিলে সবগুলো মুলার পাকোড়া খেয়ে ফেলেছেন সত্যিই। নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদেরকে দেখিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
সত্যি, বলতে মুলা আমিও খুব পছন্দ করতাম না একটা সময় কিন্তু এখন করি, কারন মুলার স্বাদ ভালই লাগে। ধন্যবাদ
মুলার পাকোড়া রেসিপি দেখে সত্যি ভাই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, যদি খেতে পারতাম তাহলে খুবই ভাল লাগত। আসলেই মচমচে এই পকোড়া গুলো খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
দেখতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি মুলার পাকোড়া , আমার ও কিন্তু মনে হচ্ছে না দেখে যে মুলার পাকোড়া কোনো ভাবে খারাপ লাগছে , দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে , তবে মুলা দিয়ে শুরুটা প্রথমে আপনিই করলেন ভাইয়া। সত্যি ইউনিক একটা রেসিপি ছিল এটা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া এটা কি হলো,এটা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।আপনি একাই খেয়ে ফেললেন আমাদের লোভ দেখিয়ে।😢তাছাড়া মনে হয় ভাবী আসার পরেই আপনি মুলা খেতে বেশি পছন্দ করছেন।😊পাকোড়াগুলি সেই মজার হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
মুচমুচে মুলার পাকোড়া রেসিপি টা আমার কাছে সম্পূর্ণ ইউনিক লেগেছে। রেসিপিটি দেখেই জিভে পানি চলে আসলো। মুলা আমার খুব একটা পছন্দ নয়, তবে মুলার পাকোড়া দেখে লোভ সামলানো মুস্কিল হয়ে গেল। আমি আপনার রেসিপিটি ফলো করে অবশ্যই বাসায় মুলার পাকোড়া বানানোর চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমাদের সাথে একটি ইউনিক রেসিপির আইডিয়া শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
@tipu curate
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
সত্যি বলতে মুলার পকোড়া আমার কাছে একদম নতুন একটি রেসিপি।এর আগে মুলার পকোড়া রেসিপি সম্পর্কে জানতাম না আর কখনও খাওয়া ও হয়নি। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে ধারণা লাভ করলাম। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।