এ সমাজ সোসাইটি দ্বিতীয় পর্ব .......!!!
ছবি এখানেথেকে নেওয়া হয়েছে !!
২১শে, মার্চ ২০২৩ইং
নমস্কার🙏
হ্যালো প্রিয় বন্ধুগণ সবাইকে নতুন ব্লগের স্বাগতম আজকে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হইলাম নতুন এক ইউনিট ব্লক নিয়ে বলতে গেলে আজকে ব্লগে থাকছে এ সমাজ সোসাইটি নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব৷
তো কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাব আমার আজকের এ সমাজ সোসাইটি দ্বিতীয় পর্বে ৷
গত পর্বে বলেছিলাম যে আসলে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এ সমাজ সোসাইটি প্রতিবেশী এবং কি পরিবার অপরিসীম ভূমিকা রাখে৷ এমন কি এদের ছাড়া চলা কখনোই সম্ভব নয় ৷ তবে দিনশেষে এটাও বলতে হয় যে, এ সমাজ সোসাইটি তোমাকে কখনোই তোমার মত চলতে দেবে না ৷ তারা শুধু ভাববে তাদের নিজের চিন্তা ভাবনাটুকু নিয়েই৷
উদাহরণস্বরূপ বলতেই হয়
মনে করুন আপনি যে কাজটাতে অভ্যস্ত কিংবা আপনি একটা নতুন কোন প্রজেক্ট হাতে নিয়ে কাজ করছেন ভালো কথা কিন্তু আপনার আশে পাশে থাকা মানুষগুলো এসব গ্লানি করবে৷ আবার অনেক কটু কথাও বলবে৷ কিংবা ধরুন আপনি একটা পার্টটাইটম জব করেন কিংবা শুধু টিউশনি করে জীবন অতিবাহিত করছেন ৷ একটা চাকরি জোগাড় করতে পারছেন না ৷ এসব আপনার সমাজের কাছে একটা উপহাস হয়ে দাঁড়াবে৷
আবার ধরুন,
আবার ধরুন তোমার নিজের পরিবারের কোথায় একবার ভাবুন ৷ তারা কি বলবে তারা বলবে এসব দিয়ে কি সংসার জীবন চলে একটা চাকরি হলে তো ভালো হতো আরও নানা কটুক্তি আর এসব কথা শুধু নিজেকেই শুনতে হয় ৷ এরপর বাবা মা বলে তার পাশের বাড়ির ছেলের কথা, তার বন্ধুর ছেলের কথা বড় চাকরি করছে অমুক করছে ঐ আরও নানা কথা যা প্রতিনিয়ত শুনতে হয় ৷ আর যার সব কথা আসে এ সমাজ সোসাইটি থেকেই ৷ আর এই সমাজ সোসাইটির কথা মেনে নিয়েই প্রতিটি মানুষকে ঠেলে দেয় এক স্বরূপ জায়গা ৷ যা একটি মানুষ কি তার নিজ পথে বা জায়গায় দাঁড়াতে ব্যর্থ করে৷
এবার আসুন,
একটা ডিভোর্স মেয়ের কথায় ৷ গত কালকের পোস্টে বলেছিলাম যে একটা মেয়ের ডিভোর্স হওয়া যে কতটা কষ্টের একমাত্র সেই মেয়ে ই বুঝেছে ৷ কিন্তু এ সমাজ সোসাইটি কি বলে জানেন?? তারা বলে যে এ মেয়ে ভালো না শ্বশুর বাড়িতে সংসার করে খেতে পারছে না ৷ কিংবা চরিত্রের উপর একটা বদনাম কলঙ্ক আরো কত নানা কটুক্তি কথা যা প্রতিনিয়ত একটি ডিভোর্স মেয়ের জীবনের বাঁচার আলো টুকু নিভে দেয় ৷ তা বলতেই হয় ৷
কিন্তু,
কিন্তু একটা বার সবাই ভাবুন তো ৷ এ সমাজ এ সোসাইটি কি কখনো জানতে চেয়েছে কেন সেই মেয়েটির ডিভোর্স হয়ে আজ নিজ বাবার বাড়ি ফেরত এসেছে৷ যে মেয়েটার একটা সুখের সংসার হওয়ার কথা ছিল ৷ সে কেন তার বাবার বাড়িতে এসে পড়ে আছে৷ এসব কোনদিন কখনো জানতে চাইবে না ৷
তাই সর্বোপরি একটা কথা বলতে হয় যে, এ সমাজ সোসাইটি তোমার কখনোই ভালো দিকটা দেখতে চাইবে না ৷ প্রতিটা সময় প্রতিটা মুহূর্ত শুধু তোমার খারাপ এবং কি মন্দ দিকটা বের করা আর এটাই হল আজকের এ সমাজ সোসাইটি৷
কথা গুলো অনেক সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ৷ আসলেই সমাজে মাঝে থেকে কখনোই নিজের মতো করে কিছু করা যায় নাহ ৷ অন্যর কটু কথা শুনে হয় ৷ সমাজ এমনই , যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়..
হুম বন্ধু খুব তাড়াতাড়ি ব্লগ টি শেয়ার করবো ৷
বাস্তব দিক থেকে আপনার কথাগুলো সব সত্য। কিন্তু আপনি যে ডিভোর্সি মেয়ের কথা বলছেন সেটা একদম চিরন্তর সত্য কথা। একটা মেয়ে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে শুধু কি মেয়েটার দোষ থাকে ছেলের পক্ষে কোন দোষ থাকে না? মেয়েদেরকে এত ছোট করে দেখে মেয়েদের দোষ দেখে শুধু ছেলেদের কোন দোষই দেখেনা। কাজ নিয়ে তো এত সমালোচনা করে বলার মত না। সেটা যত বড় ধরনের কাজ হোক কিংবা ছোট কাজ হোক এটাকে তিরস্কার করবেই করবে। সেটা হচ্ছে এই সমাজ ব্যবস্থা মূল কাজ।
জি আপু একটা মেয়ের জীবনে ধংশ করে দেয় ডির্ভোস ৷ খুব সুন্দর মতামত দিয়েছেন ৷