প্রকৃতির সবকিছু সুন্দর !! @shy-fox 10% beneficiary
আমার বাংলা ব্লগে
আজ শনিবার ৫ই নভেম্বর ২০২২ ইং
বাংলা ২০ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নমস্কার,
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি নতুন পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে৷
যেমনটা বলছিলাম যে বিদ্যুৎ ঠিক আজকেও সকাল থেকেই বিদ্যুতের কোন সারা শব্দ নেই৷ আর রাত্রিবেলা ফোন ইউজ করার পর চার্জে দেওয়ার আর খেয়াল থাকে না ৷ যদিও আজকে সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে ফোনে কোন চার্জ ছিল না ৷ তাই আর ভালোভাবে একটিভ থাকা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি ৷ দুপুরের শেষে বিদ্যুৎতের হাতছানি মিল্য ৷ কিন্তু ওই যে বললাম যে বিদ্যুৎ থাকলেও আসলে তাতে কোন একটা লাভ হচ্ছে না৷ কারণ ভোল্ট নেই বললেই চলে ৷ ওই ভাবেই প্রায় ঘন্টা খানেক তার যে ফোনে চার্জ দিলাম ৷ এরপরই যদিও ছুটির দিন তাই একটু বেশি অলসতাই কাজ করছে ৷ আর বিশেষ করে এই শীতের দিনে অনেক অনেক অলসতা লাগে ৷ যা হোক দুপুরে শেষে খাওয়া-দাওয়া স্নান করার পর বিকেলবেলা হালকা একটু ঘুরাঘুরি ৷ কারণ সারাদিন ঘরের মধ্যে বন্দী হয়ে না থাকে মাঝে মাঝে প্রকৃতির সান্নিধ্য হতে বেশ ভালোই লাগে ৷
ফোনটা একটু চার্জে দেওয়ার পরেই আমি ডিস্কোর্ডে ঢুকে গান শুনতে শুনতে বাড়ি থেকে কিছু দূরে মাঝারি একটা পুকুর৷ পুকুরটি তেমন কোনো মাছ চাষ করা হয় না৷ আসলে গ্রামের মানুষ যে মাছ চাষের বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ নেই ৷ এমনিতেই পুকুরটি হালকা পানি রয়েছে আর চারপাশে পুকুরের ধার দিয়ে দুর্বা ঘাস গুলো সুন্দরভাবে দেখা যাচ্ছে৷ তো সেই বিকেলবেলাতেই বেশ সুন্দর একটি মনোরম পরিবেশ আর তাইতো ডিস্কোডে বন্ধুর সাথে আড্ডা আর গান শুনতেছি পুকুরের ধারে বসে৷ বেশ ভালই লাগছিল৷
আর এরই মাঝে পুকুরে এক ঝাঁক দেশি হাঁস৷ অর্থাৎ গ্রামের মানুষ তো প্রতি বাড়িতেই হাঁস চাষ করে ৷ কম হোক বেশি হোক প্রতি বাড়িতেই হাঁস থাকে ৷ আর সবাই এই হাঁসগুলোকে সারাদিন ছেড়ে দেওয়ার পর সেই সন্ধ্যার দিকে আবার হাঁস গুলো তাদের নিজ বাড়িতে চলে যায় ৷ আসলে তারা পশু হলেও তাদের মধ্যে কি যেন একটা আত্মিক কাজ করে৷ যে তারা তাদের নিজস্ব গৃহস্ত বাড়ি চিনতে পারে৷ আর তাইতো সন্ধ্যা বেলা হলেই নিজ নিজ গৃহস্থ বাড়ি চলে যায়৷
তো আসলে আমি খুব একটা পুকুরের দিকে পুকুরের দিকে লক্ষ্য করেনি আমি আমার একান্ত মনে ডিস্কোর্ডে কথা বলছিলাম৷ হঠাৎ করেই একদল হাঁ স প্যাক প্যাক করে শব্দ করে উঠলো জানিনা হঠাৎ করে কেন যেন এরকম করল৷ তো আমার যতদূর মনে হচ্ছে হয়তোবা কোন সাপ কিংবা বেজি আসছে তা তার জন্যই হয়তো তারা এভাবে চিৎকার করে ৷ এক দিক থেকে আরেক দিকে চলে গেল৷ আর আমি অমনি উঠেই দৌড়ে গেলাম গিয়ে দেখলাম আসলেই ইয়া বড় একটা বেজি৷ তো আমি দৌড়ে যাওয়াতে আর কোন সাহস পেল না৷
আর এরপরে লক্ষ্য করলাম যে হাঁস গুলো কি সুন্দর ভাবে তাদের নিজস্ব জীবন যাপন করতেছে ৷আসলে এক একটি জীবের একেক রকম জীবন যাপন ৷ সে দিক থেকে এই হাঁসগুলোর আলোচিত্রগুলি দেখে বেশ ভালই লাগছিল৷ আর মনে মনে ভাবছিলাম যে সত্যিই প্রকৃতির প্রতিটি জিনিসই সুন্দর ৷সেটা হোক মানুষ থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রাণীর মধ্যেই নিজস্ব জীবনযাপন করার জন্য৷ ঠিক ঐ রকম কিছু তৈরি করে দিয়েছে৷ আমি মন দিয়ে দেখছিলাম বেশ সুন্দর করে এদিক থেকে ওদিকে এভাবেই যেন চারিদিকের পুকুরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ দেখে বেশ ভালো লাগছিল আবার সবচেয়ে বেশি একটা জিনিস ভালো লাগলো ৷ যদি দলে চার-পাঁচটা হাঁস কিংবা অন্য দল একটু বেশি সংখ্যা অনেকটা একে অপরকে যেন দেখতে পারছে না৷ অর্থাৎ নিজস্ব দলের যেগুলো হাঁস সেগুলোকে ছাড়া অন্য দলের হাঁসগুলোকে যেন কোন ভাবেই এলাও করছে না ৷ বেশ সুন্দর ভাবে দেখতে পেলাম আসলে একটি হাঁসের মধ্যে ও যে এমন কিছু বিদ্যমান তা আসলে আমি দেখেই অবাক সবাই প্রকৃতি প্রকৃতির দান ৷
আর এজন্যই হয়তো বাংলার কবিগন এ প্রকৃতি নিয়ে কত সুন্দর না কবিতা লিখেছেন ৷
একটি কবিতা মনে পড়ছিল যেখানে লেখা ছিল ৷ আবার আসিব ফিরে এই বাংলায় ৷ কখনো বা হাঁস হয়ে কখনো বা শঙ্খচিল কখনো বা পাখি হয়ে উড়ে বেড়াবো এই বাংলায়৷ তবু আসবো ফিরে এই বাংলায় কখনো বা শীতের কুয়াশার চাদর হয়ে ৷ তবু আসবো এই আমার বাংলায় ৷
আসলে এ এ কবিতা গুলো যে লিখেছে কবিগন সত্যিই তাদের তাদের মনের ভেতরে যে এই প্রকৃতির সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেছেন তা আসলেই যথার্থই লিখেছেন তা আসলে পড়তে পক্ষেই আমরা তা উপলব্ধি করতে পারছি বা সে কথাগুলোর সাপেক্ষেই বাস্তব চোখে সেগুলো উপলব্ধি করছি।৷
যাহোক এরপরও একটি ছোট্ট ভিডিও ধারণ করেছি যেখানে হাঁসগুলো আপন মনে স্নান করছে৷ এই গুলো আসলে কখনো মুছে যাওয়ার নয় ৷ আসলেই প্রকৃতি যে কত সুন্দর আমরা তা প্রি মুহূর্তেই উপলব্ধি করি ৷ এবং কি স্বচক্ষে দেখতেও পারি৷
Device: realme12
তো আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!!
@gopiray
♥ সবাইকে ধন্যবাদ♥

♥ সবাইকে ধন্যবাদ♥
বাংলাদেশের সব জায়গায়তেই প্রায় একই সমস্যা চলছে। বিদ্যুৎ নেই লোডশেডিং চলছে এমন অবস্থায় কাজ করা সত্যিই অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবে আপনার গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। আমার এখন কোনো একটি গ্রামে ঘুরে আসতে ইচ্ছা করছে, সর্বোপরি আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।।।
হুম বাংলাদেশের সব জায়গায় এ পরিস্থিতি ৷ গ্রামের প্রকৃতি দৃশ্য গুলো আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক খুশি হলাম ৷ আপু একদিন সময় করে গ্রামে বেড়াতে যাবেন ভালো লাগবে ৷
ধন্যবাদ
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1588897602984370176?t=aSvWDB9cE2f6RmRD5eU1cw&s=19
আসলেই প্রকৃতির সবকিছুই সুন্দর। লোডশেডিং এর সমস্যা আমাদের এখানেও ছিল। গ্রামের বেশির ভাগ পুকুরে হাস দেখা যায়। ঝাঁকে ঝাঁকে হাস দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।আপনার ভিডিও টি দেখে খুব ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ৷ আসলে ই প্রকৃতি সুন্দর ৷
জি ভাই প্রকৃতি তার নিজের রুপ নিজের মতো করে সেজে আমাদের মাঝে বিরাজ হয় ৷ আর গ্রামের প্রকৃতি বরাবরই সুন্দর ৷
ধন্যবাদ ভাই
এটা একদম সত্য বলেছেন ভাই প্রকৃতির সৌন্দর্য্যর শেষ নেই এর প্রশংসা করেই কুল পাওয়া যাবে না।প্রকৃতি এতোটাই দারুন।আপনার প্রথম ছবিটা গ্রামের চির চেনা রুপ দারুন ছিল ভাই।
সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ৷
জি ভাইয়া, ঠিক বলেছেন প্রতিটা প্রাণীর জীবন যাপন নিজস্ব দিকটা আলাদা।একেক জীব একেক কিভাবে জীবন যাপন করছে। হাঁসের কথা বলছেন বেজি দেখে দৌড়ানোর কারণ নিজের আত্মরক্ষার জন্য। যাই হোক ভাইয়া,খুবই সুন্দরভাবে পোস্ট টি লিখেছেন কথাগুলো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গুছিয়ে পোস্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।ঠিক বলেছেন ভাইয়া, লোডশেডিং টা এখন যেন পুরো বাংলাদেশের একটা দুর্ভিক্ষ।এই লোডশেডিং দুর্ভিক্ষের কারণে আমরা প্রতিটা ইউজার প্রতিনিয়ত একটিভ থাকতে পারছি না। আমারও একই অবস্থা যাইহোক😔 ভাইয়া,সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট বিশেষ করে ভিডিওটা দেখে।ধন্যবাদ।।
আপনি যে আমার করা ব্লগটি খুব সুন্দর করে পড়েছেন ৷ তা আপনার করা মন্তব্য পড়ে আমি নিশ্চিত ৷ ভিডিও টি দেখে ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো ৷ এভাবেই পাশে থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷
ঈশ্বরের প্রতিটি সৃষ্টি খুব সুন্দর। ঐ কারণেই তো কবি লিখেছেন-
আপনি কথাগুলো একদম আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললেন। আমি প্রকৃতি ভীষন পছন্দ করি। যে কোন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার মন কেড়ে নেয়। আপনার ভিডিও টা দেখলাম। খুব ভালো লাগলো। হাঁসের এই জলকেলি আমার ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়।আমাদের বাড়িতে হাঁস ছিলো। আমার ঠাকুমা পুষতো। সন্ধ্যা হলেই বাড়ি না আসলে ঠাম্মার সাথে খুঁজতে বেড়োতাম।
কি বলেন. দিদি আপনার মুখের কথা কেড়ে নিতে পারি ৷ শুধু বলে ও লেখার চেষ্টা করেছি ৷ আর আপনিও তো বেশ চমৎকার করে মন্তব্য করেছেন ৷ হাঁসের জল খেলা ভালো লেগেছে শুনে অনেক খুশি হলাম ৷
দিদি অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷
বিদ্যুতের সমস্যা তো এখন আরো কম হওয়ার কথা। আপনাদের এরিয়াতে অন্য কোন সমস্যা আছে কি যার জন্য এখনো বিদ্যুতের সমস্যা হয়ে যাচ্ছে? আর গ্রামের এই ছোট পুকুর পাড়ে নিরিবিলিতে একা একা সময় কাটাতে আমার নিজেরও অনেক ভালো লাগে। অনেক পুরানো কথা মনে করিয়ে দিল আপনার এই পোস্ট। সবশেষে হাঁস গুলো নিয়ে ভিডিওটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই সৃষ্টির সব কিছু সত্যিই সুন্দর। শুধু সুন্দর মন নিয়ে দেখা দরকার।
একটু সংশোধনের প্রয়োজন আছে মনে হয় ভাই। শব্দ টা ইউনিক হবে। 👌
জি দাদা আসলে লিখতে ই হয়তো ভুল হয়েছে ৷ আসলে মাঝে মাঝে চেক করার পরেও কিভাবে যেন মিসটেক হয়ে যায় ৷
ধন্যবাদ দাদা ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ৷
আবার একটা ভুল করে ফেললেন।
ভাই আসলে মিসটেক হবে না কি মিচটেক হবে ৷
আপনার অবজারভেশন ক্ষমতা বেশ ভালো। আমিও মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই। খুব ভালো লাগে ছোট ছোট জিনিস অবজার্ভ করতে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি হাঁসের মুভমেন্ট গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
ও আর একটা কথা, পারলে লেখার মাঝখানে একটু গ্যাপ দিয়ে লিখবেন, তাহলে পড়তে সুবিধা হয়।
ভাই আমার অবজারভেশন কেমন তা জানি না ৷ তবে আমি আমার মতো লেখার চেষ্টা করেছি ব্যাস এতোটুকুই ৷ আর সবার প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে ৷ আর ঠিক আছে এরপর থেকে মাঝ খানে গ্যাপ রাখবো ৷ ধন্যবাদ মতামতের জন্য ৷
বিদ্যুৎ এর জন্য আজ দিনে কোনও পোস্ট দেখতে পারিনি।অনেক ঝামেলার মধ্যে আছি। যাই হোক, প্রকৃতি সত্যি ই সুন্দর। আপনার ভিডিও অংশটুকু দেখে গ্রামে যেতে ইচ্ছে করছে। 😔অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
সত্যি আপু বিদুৎ এর কারনে অনেক ঝামেলায় পরতে হয় ৷ তবে এখন থেকে বিদ্যুৎ থাকলেই একটু করে চার্জ দেই ৷