সবাইকে শারদীয় বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ৷ দেখতে দেখতে যেন পুজোর সময় গুলো চলে গেল ৷ যদিও এবার বৃষ্টির কারনে আমি পুজো দেখতে বের হতে পারি নি ৷আর আমাদের গ্রামের মহালয়া অনেক মানুষ নৌকা ডুবে মারা গেছে বলে পুরো এলাকা খুব একটা আমেজ বা আনন্দ করে নি ৷তাই কোথাও আর ঘুরতে যাও হয় নি ৷ তবুও দাদার দেওয়া কনটেস্টে অংশগ্রহণ করলাম ৷আজ কনটেস্টের শেষ দিন ৷তো আজকে আমি পাড়ার পুজো তে নবমীর মুহূর্ত গুলো ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি ৷ আসলে যে যাই বলুক পাড়ার পুজো তে ঘুরাঘুরি করার চেয়ে অনেক আনন্দ হয় ৷ সকালে উঠে ঢাকের বাজনা তার সাথে ধুনার গন্ধ সকালে উঠেই স্নান করে পুজোতে বসে ঠাকুর মশায়ের চন্ডীপাঠ ৷সবমিলে পাড়ার এই ছোট্ট পুজোতেই আমি আনন্দ খুঁজে পাই ৷ যাহোক আমার চেয়ে বিশেষ করে ভারতীয় ইউজার বন্ধুগণ বেশ চমৎকার চমৎকার কিছু নিদর্শন তুলে ধরেছে ৷ বিশেষ করে তাদেরও দিকে যে জাঁকজমকপূর্ণ পুজো সত্যি দেখি আমি অনেক আনন্দিত ৷ তবে আমি এই কনটেস্ট আমার আমার গ্রামের পুজোতে কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছি ৷যেখানে সবাই বড় বড় পুজোতে গিয়ে লাইটিং শো রাতের আদর আঁধারে চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি৷ তার চেয়ে আমি একটু ভিন্ন কারণ আমি গ্রামে থাকাই গ্রামের পুজোতে কনটেস্টে মুহূর্তগুলোই মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

পাড়ার এই ছোট্ট পুজোতে বেশ আনন্দে উল্লাসে কেটেছে ৷ গতকাল ছিল নবমীর দিন আর প্রতিবছরই আমরা এই নবমীর দিনে ই প্রসাদ পাক করি মন্দিরে নিয়ে যাই৷ তো গতকালকেও তার বিপরীত নয় সকাল-সকাল সকালে বাড়িতেই প্রসাদ ভোগ রান্না আয়োজন৷ সকালে রান্না করেই ভেনে করে মন্দিরের নিয়ে গেলাম৷ এরপর আবার বাড়িতে এসে নতুন জামাকাপড় পরে মন্দিরে পুজো দিতে গেলাম ৷ এরপর পাড়ার সবাই মিলে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া সত্যি অনেক আনন্দ লাগে৷

স্থান : নিজ পাড়ার পুজোয়
তারিখ : ৪ অক্টোবর ২০২২

বাড়িতে খিচুড়ি প্রসাদ ভোগ রান্না করে মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার সময়৷

পাড়ার সবাই একসাথে পূজো দেওয়ার কি যে আনন্দ তা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না ৷সারাদিন সারারাত কোথায় ঠাকুর দেখে ঘুরে আসি বা না আসি
দিনশেষে পাড়ার পুজোতে আড্ডা আনন্দটা সত্যি অনেক আনন্দের৷ বিশেষ করে সেই ছোট্টবেলার শৈশবের কথাগুলো মনে পড়লে আরো অনেক ভালো লাগে এবং কি স্মৃতিগুলো চোখের আড়ালে শুধু ভেসে ওঠে ৷সেই পাঁচ টাকা দশ টাকার বিনিময়ে বেলুন ফোলানো মার্বেল নেওয়া সারাদিন সে মার্বেল ও বেলুন ফুলে পুজোর মাঠে থাকা ৷খাওয়া কোন খবর নেই ৷ আর টিনের বন্দুক যেগুলো বেশ বিকট শব্দ যদিও এখন সেই টিনের বন্দুক দেখা যায় না৷ তবুও আজ মনে পুরে দিনগুলোর কথা৷

যাহোক সবাই মিলে একসাথে পূজা করার পর প্রসাদ বিতরণের জন্য সবাই মাঠে মাটিতে বসে খাওয়া সত্যিই অনেক আনন্দের ৷ আসলে প্রতিদিনই পুজোর শেষে প্রসাদ দেওয়া হয়৷ অনেক জনে অনেক ধরনের প্রসাদ নিয়ে আসি কেউ খিচুড়ি কেউবা পায়েস আবার লুচি ফুলমুল ইত্যাদি ৷

কলার পাতা দিচ্ছে আমার পাড়ার এক বড় ভাই

সারি বদ্ধ ভাবে বসেছে

স্থান : নিজ পাড়ার পুজোয়
তারিখ : ৪ অক্টোবর ২০২২

সবাই মিলে একসাথে মাটিতে বসে প্রসাদ খাওয়ার সময়

গ্রামের এসব পূজাতে পুজো শেষে সবাই মিলে একসাথে প্রসাদ খাওয়ার কি যে আনন্দ আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয় আর এজন্যই আমাকে গ্রামের পুজো সবচেয়ে ভালো লাগে৷ তবে দুঃখের সাথে বলতে চাই যে আমি এবার পুজোয় ঘুরতে পারি নি ৷ আসলে নিজ পাড়ায় পুজো স্বেচ্ছাসেবক থাকায় নিজ দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে ৷ আর তাই পুজো তে ঘুরতে পারি নি ৷

যা হোক তবুও আমি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরে সত্যি অনেক আনন্দিত৷ আসলে আমি চেয়েছিলাম যে গ্রামে সাধারণ গুলো আসলে কি রকম তার কিছু আলোচিত্র৷ যারা যারা এই কনটেস্টে পোস্ট করছে তারা সবাই ঠাকুর দেখে বেরিয়েছে এমনকি অনেক চমৎকার চমৎকার প্রতিমা মন্ডপ সব মিলে খুব সুন্দর পোস্ট করেছে৷ আর আমি তার পুরোটাই ব্যতিক্রম আমি দেখা দিতে চেয়েছি সাধারণ ভাবে পাড়ার পুজো গুলো কি রকম কেটেছিল তার ই আলোকচিত্র৷
জানিনা আপনাদের কতটা ভালো লাগবে তবে আশা করি সবার গ্রামের এই পুজো গুলোর কাটানো মুহূর্তগুলো সবার অনেক ভালো লাগবে এবং কি সবার মন্তব্য পাওয়ার আশায় আজকে আমার এই কনটেস্টের শেষ পোস্ট এখানে শেষ করছি না৷

আর সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই rme দাদাকে যে তিনি এত সুন্দর একটি কনটেস্টের আয়োজন করেছেন৷ আর একই সাথে অনেক অনেক আলোকচিত্র আমরা দেখতে পেয়েছি বলতে গেলে ভারতবর্ষের পূজার আলোকচিত্র ছিল দেখার মতো৷ যদিও কখনো এভাবে দেখা হতো না এই কনটেস্ট না হলে ধন্যবাদ জানতে চাই বড় দাদা @rme তিনি যেন তার পরিবার সবাইকে নিয়ে আনন্দে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করে৷

ফটোগ্রাফার	@gopiray
লোকেশন	https://w3w.co/
--	--

@gopiray

সবাইকে ধন্যবাদ

---

---