গল্প:-দুই খাদকের গল্প ( শেষ পর্ব)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। দুই খাদকের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
এরপর বাড়ির কর্তা ও কর্মচারী মিলে পরামর্শ করে ঠিক করে যে তারা গরীব অসহায় মানুষদেরকে খাওয়াবে। আজকে দুপুরবেলা গ্রামের সবাই কি খাওয়ানো হবে সেটা বাড়ির কর্তা মেনে নিয়েছি। কিন্তু প্রতিদিন তো আর এভাবে সবাইকে খাওয়ানো যায় না সেই বিষয়েও সমাধান বাহির করতে চিন্তা করছিল। তখন বাড়ির কর্মচারী বলে তাহলে এই রান্নার লোককে বিদায় করে দিন। তখন বাড়ির কর্তা বলে এখন বিদায় করব কিভাবে তার কোন দোষ নেই শুধু রান্না বেশি বেশি করে সেই দোষে তো আর তাকে বের করে দেওয়া যায় না। এই বিষয়ে বাড়ির কথা ও কর্মচারী দুজনই খুবই চিন্তিত তখন বলছে যাই হোক আজকে সবাইকে খাওয়ানো হোক তারপর দেখা যাবে।
এরপর মায়ের উপর রাগ করে থাকা দুই ভাই খিদের জ্বালা থাকতে না পেরে হাঁটতে শুরু করে। হাঁটতে হাঁটতে সেই বড় বাড়িটা তাদের চোখে পড়ে। তখন তারা ভাবে খুবই খিদে পেয়েছে ওই বড় বাড়িতে গেলে নিশ্চয়ই কিছু খেতে দেবে আমাদেরকে। এই ভেবে তারা দুজন সেই বাড়িতে গিয়ে বসে। আর বাড়ির কর্মচারী এসে তাদেরকে বলে কি হলো তোমরা এখানে কি করছো কোথা থেকে এসেছো। তখন বাচ্চা দুটি বলে আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি আমাদের খুবই খিদে পেয়েছে। তখন কর্মচারী বলে কত খাবার এই বাড়িতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তোমাদের এসো কিছু খেতে দিই। তাছাড়া আজকে সবাইকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে তোমরাও খেয়ে যাবে এই শুনে দুই ভাই খুব খুশি হয়ে যায়।
আর বলে ওঠে এত খাবার নষ্ট করছ কেন কেউ কি খাবার নষ্ট করে। যত খাবার বেঁচে গেছে সবই আমাদেরকে দিয়ে দিন আমরা খেতে পারবো। তখন কর্মচারী বলে তোমরা ছোট বাচ্চা এত খাবার খেতে পারবে নাকি। তখন কর্মচারী তার কর্তার কাছে বাচ্ছা দুটোকে নিয়ে গিয়ে বলে এরা দুজনকে অনেক বেশি খেতে পারে। তখন কর্তা শুনে খুবই হাসে আর বলে তুমি কি পাগল হয়ে গেছে এই ছোট ছোট বাচ্চারা কতটুকু আর খেতে পারবে। তখন বাচ্চা দুটো বলে ওঠে আমরা অনেক বেশি খেতে পারি আপনি আমাদের ওপর বিশ্বাস করে দেখেন। আর তাছাড়া আমাদের খাবার তো দিয়ে দেখেন আমরা কতটা খেতে পারি।
এরপর সেই কাজের লোককে রান্না করতে দিয়ে বাচ্চাগুলোকে পাশে খাওয়ার খেতে দিল। বাচ্চারা খেতে খেতে এতটাই খেয়েছে যে কর্মচারী বলে উঠলো মালিকেরা তো বিশ জনের খাবার একাই খেয়ে নিল। এদিকে আবার বাচ্চা দুটোর মা তাদেরকে খুঁজতে লাগলো সব দিকেই খোঁজাখুঁজি করছে খোঁচাখুঁজি করে না পেয়ে বাড়িতে বসে বসে কান্না করছে। তার ছেলে দুটোকে খাবার না দেওয়া রাগ করে তারা কোথায় চলে গেছে। আর এদিকে রান্নার লোক খুবই খুশি হয়ে গিয়েছে আর বলছিল এতদিন পর আমার মনের মত খাওয়ার লোক পেয়েছি। আমি এত এত রান্না করি কিন্তু কেউ খেতেই চায় না আজকে ওরা খুবই ভালো খাচ্ছে আর আমার কাছেও অনেক ভালো লাগছে।
একটা সময় বাচ্চা দুটো খাবার ছেড়ে উঠে যায়। তখন বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করে কি হল তোমাদের পেট ভরে গেছে নাকি। তখন বাচ্চারা বলে না আমাদের পেটে তো অনেক খিদে রয়েছে। কিন্তু সকালবেলা মায়ের উপর রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন মায়ের কথা মনে পড়ছে আর খুবই মন খারাপ করছে এখন আমরা যাই আমাদের মায়ের কাছে যেতে হবে। তখন রান্না লোকটি বলে উঠলে কি আমার তো অনেক রান্না করা বাকি রয়ে গেছে তোমরা না খেয়ে চলে যাচ্ছ কেন। এদিকে কর্মচারী আর কর্তার মাথায় বুদ্ধি দিল তখন বলল রান্না লোকের যখন ওদের কি খাওয়ানোর এত ইচ্ছে ওদের যখন খেতে এতই ভালো লাগে তাহলে রান্না লোকটিকে ওদের বাড়িতে পাঠানো যায়। আর রান্নার লোকটিও যেতে রাজি হয়ে যায়। এরপর ছেলে দুটি সাথে রান্নার লোকটিকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর রান্নার লোকই তাদের বাড়িতে গিয়ে সারাদিন ছেলে দুটোকে রান্না করে করে খাওয়ায়। ছেলেরাও খুবই খায় প্রাণ দুটো খেতে পেয়ে খুব খুশি আর রান্না লোকটিও রান্না করে খাওয়াতে পেরে অনেক বেশী খুশী এভাবে তাদের সমস্যার সমাধান হয়। আশা করি আপনাদের কাছে আমারই গল্পটি ভালো লাগবে।
শ্রেণী | গল্প |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার দুই খাদকের শেষ পর্ব পরে খুব ভালো লাগলো। ছেলে দুটি মায়ের উপর রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। আরেক বাড়িতে তাদের অতিরিক্ত রান্না করে এই কারণে কুকের জন্য তাদের সমস্যা হচ্ছে রান্না অতিরিক্ত করতেছে। অনেক সময় অতিরিক্ত খাওয়াটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর কেউ যদি অতিরিক্ত রান্না করে সেটিও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যাইহোক ছেলে দুটোকে কুক পেয়ে ভালই করল। ছেলে দুটির সাথে কুক গেছেন তাদের বাড়িতে ভালই করেছেন ।সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরো গল্প পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
দুই খাদকের গল্পটির প্রথম পর্ব পড়া হয়েছিল। আর আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে শেষ পর্ব পড়ে আরো বেশি ভালো লেগেছে। যে লোকটি বেশি রান্না করতে পছন্দ করে, তার জন্য কিন্তু এখন বেশ ভালোই সুবিধা হয়েছে। বেশি খাওয়া ছেলে দুটোকে রান্না করে সারাক্ষণ খাওয়াতে পারবে তাহলে। আর ছেলে দুটো ও অনেক খাবার খেতে পারবে সারাদিন। আপনার লেখা গল্প গুলো আমি খুব পছন্দ করি। আজকের এই গল্প খুব ভালো লেগেছে।
আপনি আমাদের গল্পের দুটো পর্বই পড়েছেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।
এতদিন আপনার এই গল্পটার শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম আপু। আমার কাছে এই গল্পটার প্রথম পর্ব অনেক ভালো লেগেছিল। বাচ্চা দুটি প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতে পছন্দ করত, আর ওই লোকটা প্রচুর পরিমাণে রান্না করতে পছন্দ করত। লোকটা অশেষে বাচ্চাদের বাড়িতে গিয়েছিল তাহলে তো তিন জনের জন্যই ভালো। লোকটা সবসময় রান্না করতে পারবে আর বাচ্চাগুলো সব সময় খেতে পারবে।
আসলে আপু খুবই ভালো লাগে যখন নতুন নতুন গল্প শেয়ার করতে আপনাদের মাঝে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পুরো গল্পটি পড়ে একটি মন্তব্য করার জন্য।