"ত"- তে তেল (১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
নিজের প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে!সবাই কম-বেশি চায় কেউ তার প্রশংসা করুক।এতে কারো জাস্ট ভালো লাগে বা কারো হয়তো ইন্সপিরেশন তৈরি হয়।সে যাইহোক,ওদিকে না যাই।
এখন যুগটা এমন হয়ে গেছে ভাই,তেলবাজি ছাড়া বোধয় চলা মুশকিল।তেলবাজি কি,তা তো বলে দিতে হবেনা নিশ্চয়ই!?
Source
নিজের দক্ষতাকে কিংবা নিজের কনফিডেন্সকে মানুষ কাজে খুবই কম লাগায়।সবকিছুর আগে চিন্তা করে একটু তেল মেরে কাজটা করা যায় নাকি! ইয়েস বস!সহমত ভাই!আপনিই ঠিক,আপনি যা বলেন তা ভুল হতেই পারেনা!এগুলো দিয়ে শুরু হয়ে যায়।আর তারপর কাজের গভীরতা অনুযায়ী তেলের গভীরতা সমানুপাতিক হাড়ে বাড়তে থাকে।এগুলো কেন বললাম,হয়তো প্রশ্ন জাগছে?হ্যাঁ,এবার সেদিকেই এগোচ্ছি।
Source
গতকাল আমার ফিজিক্স প্রাকটিকাল ছিল।আমার শাখার ৮০ জন আর আরেক শাখার ৪০ জন,এই মোট ১২০ জনের প্রাকটিকাল ছিল গতকাল।ভাইভা আর লিখিত নেওয়ার পর যখন প্রাকটিকাল খাতা সাইন করার সময় এলো তখন সবার মাঝে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল।যে আগে পারছে সে আগে সাইন করে নিচ্ছে।
অনেক চেষ্টা করে স্যারের প্রায় কাছেই চলে গিয়েছিলাম। তো আমার সামনে আরো ৪/৫ জন ছিল।হিসাব মতো তো ওদের পরেই আমার সাইন পাওয়ার কথা।
এরই মাঝে সেই পিছন থেকে একজন বলে উঠলো,স্যার আপনার নাতি সাম্রাজ্য কেমন আছে?ব্যাস,স্যার বলে উঠলো!সাম্রাজ্যকে তুমি চিনলে কিভাবে?
ব্যাটা সুযোগ পেয়ে গেলো!একটু একটু করে আগাচ্ছে আর বলছে স্যার আপনার সাথে তো ফেসবুকে এড আছি আমি।আপনার স্টোরি আর পোস্টে আপনাকে,সাম্রাজ্যকে আর আপনার ছেলেকে দেখিতো মাঝে মাঝে।কি ফুটফুটে দেখতে সাম্রাজ্য!মাশাল্লাহ।
তারপর স্যার বলছে,নাতি তো আমাকে ছাড়া কিছু বুঝেই না।ঢাকা যাই শুধু ওর জন্যই।ব্যাটা আর ব্যাটার বউ তো থাকতে পারেই কিন্তু নাতিটার জন্য মন কেমন কেমন করে।
হ্যাঁ, স্যার দেখেই বোঝা যায়।একদিন দেখি আপনার ঘাড়ে চড়েছিল আর আপনি সেই ছবিতে,মেরি জিন্দেগি হে তু গান লাগিয়ে স্টোরি দিয়েছিলেন।কি সুন্দর লাগছিল।দেখে মনে হয় নাকটা আপনার মতো হয়েছে।
সবাইকে দাঁড়িয়ে রেখে প্রায় ৩/৪ মিনিট তাদের কথা হলো।তারপর ওই ছেলেকে বললো,দাও তোমার খাতাটা দাও।ওই ব্যাটা তো দিলোই, ওর দুই ফ্রেন্ডের খাতাও দিলো।
মরাল অফ দ্যা স্টোরি!?তেল দাও,কাজ সেরে নাও।
ওই ছেলেকে কি বলবো!যুগই তো এমন।তবে ওর কাজটা আমার ভালো লেগেছে।তেলবাজি না জানলে এগোনোই মুশকিল।আপনার দক্ষতা যদি ৬০% কাজ করে তাহলে বাকি ৪০ করে দেয় এই তেল।
তেল দেওয়াটা আমার ভেতর খুব কমই উঁকি দেয় কেনজানি।মানে,রস মিশায়া কথা খুব কমই বের হয় আমার।কিন্তু,এখন মনে হচ্ছে এটা ঠিক না।তেলবাজি-তে পিএইচডি করতেই হবে।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Date.11/11/22
তাহলে তো ভাইয়া আপনি বেশি দূর এগোতে পারবেন না। বর্তমান যুগে তেল ছাড়া এক পাও এগুলো সম্ভব না। এজন্যই তো তেলের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর যে ছেলেটার গল্প করলেন তার বুদ্ধি আছে। কিভাবে স্যারকে ইমোশনাল করতে খুব ভাল করেই সে জানে। স্যার যে তার নাতির প্রতি খুব ইমোশনাল সে খুব ভালো মতোই বুঝতে পেরেছিলো। এজন্য ওই জায়গায় তার নাতির গল্প করেছে। এই ছেলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বোঝাই যাচ্ছে।
মনে মনে নিজেও তা ঠাওর করতে পেরেছি।সেজন্যই ওর বিষয়টি উপভোগ করেছিলাম।
ধন্যবাদ আপু,ভালোবাসা নিয়েন।
বর্তমান যুগে নিজেকে চঞ্চল এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিতে হলে আপনাকে তেল মারতেই হবে। কারণ তেল না মাড়লে কেউই আপনাকে কাছে নিবে না। যাইহোক, আপনার মত আমিও এই তেল মারা এক চুলও ভালো লাগেনা যেটা আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে। সত্যিই এই ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষকে নিচু হতে শেখায়।
সহমত পোষণ করছি। কেনজানি মনে হয় আত্মসম্মান হারাচ্ছি।দরকার কি?তেল ছাড়া কাজ হলে হবে নাহলে না হবে।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে এমন ঘটনা ঘটলে খুবই খারাপ লাগে। কিছুদিন আগে আমার সাথে কিছুটা এমন ঘটনা ঘটেছে। আপনার পোস্টটি পড়ে ঘটনাটি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
বিরক্ত লাগলেও ওর কাহিনীটা উপভোগ করেছিলাম ভালোই।
ধন্যবাদ আপু
এই যুগে তেল মারা ছাড়া কিছুই হয় না। এখন তো সবাই স্যার ম্যাডামদের সাথেই তেল মারে। স্যার ম্যাডামরা ও তাদের কথা শুনে তাল মিলাতে থাকে। যার সাথে পারে তার সাথেই এরকম করে বেশিরভাগ মানুষ। আপনিও একটু একটু করে শিখে যান না হলে জীবনে এগোতে পারবেন না। যাই হোক খুবই ভালো লিখেছেন আপনি। পড়ে বেশ মজাই পেলাম।
চাটুকারিতা,তেল দেওয়া বিষয়গুলোকে আমার কেমন বাজে লাগে।আত্মসম্মানে লাগে কেনজানি।যা ঠিক মনে হয় তাই করি,তাই বলি।
এই জিনিস আমাদের ইন্ডিয়াতেও হয়। সব জায়গায় হয়। যে যত তেল দেবে সে তত এগিয়ে যাবে। আপনা অফিসে যখন যাবেন, সেখানেও দেখবেন একই বিষয়, আমি মেয়ে হয়েও বলছি অনেক ক্ষেত্রে এই সুযোগ মেয়েরা আরো বেশি নেয় ছেলেদের তুলনায়।সাম্রাজ্যের নামে পুরো সাম্রাজ্য দখন করে নিলো দেখছি! 😄
তা আর বলতে,পারলে সাম্রাজ্যকেই তুলে আনতো।
আর মেয়েরা এক্ষেত্রে যে অনেক এগিয়ে তা প্রতিনিয়ত দেখেই যাচ্ছি।
ধন্যবাদ দিদিভাই,ভালোবাসা নিয়েন।