আজ স্টিমিট বয়ের তৃতীয় জন্মদিন ছিল 🎉🎂|| Let's Celebrate the Birthday of steemit boy 🎉🧁
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার।
অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি আপনাদের সবার প্রিয় স্টিমিট বয়ের (ইয়ান) আজ তিন বছর পূর্ন হয়েছে। আমরা আজ খুব ছোট পরিসরে জন্মদিন পালন করেছি।
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সৃষ্টিকর্তা কাছে এবং এরপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদার কাছে। আসলে তার জন্মের সময়টা কতটা জটিলতা এবং কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলাম সেটা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। যাইহোক আজ আবারো সেই কষ্টের দিনগুলোর কথা মনে পরে যাচ্ছিল বারবার। যাইহোক আমার সন্তান এখন সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে এটাই একজন পিতা হিসেবে আমার সবথেকে বড় প্রাপ্তি। আর আমার দোয়া সবসময়ই rme দাদার প্রতি 🤲
যাইহোক গতকাল হঠাৎ করেই আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পরে এবং তাকে নিয়ে হসপিটালে অনেক রাত অবধি থাকতে হয়েছে। আসলে সৃষ্টিকর্তা আমাকে ভীষণ পছন্দ করেন তাই আমাকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা করেন বারংবার 😄 যাইহোক আজ সকাল থেকেই কাজের চাপ ছিল আমার, কারন সেলারি প্রিওড চলছে। যাইহোক তবুও মাথায় ছিল আমার ছেলের আজ জন্মদিন। বাবা হিসেবে আজকের দিনটা অনেক আনন্দের। দুপুরের আগেই বাসায় কথা হলো গিন্নির সাথে ফোনে, যদিও তার শরীর ভালো নেই। তবুও ছোট্ট পরিসরে জন্মদিন পালন করার পরিকল্পনা সাজাতে চাইলাম। বললাম আমি কেক কিনে আনবো আর তুমি যদি পারো তাহলে বিরিয়ানি রান্না করতে পারো। সে জানায় যতো কষ্ট হোক নিজেই চকলেট কেক তৈরি করবে আর বিরিয়ানি রান্না করবে। যাইহোক মনে মনে খুশি হলাম কারন বাসার তৈরি খাবার মানেই সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর।
সন্ধ্যায় কলিগদের হাতে কাজের দায়িত্ব দিয়ে ছুটলাম বাসার দিকে, এদিকে ইয়ান বারবার কল দিয়ে বিরক্ত করেই চলেছে। খুব দ্রুত কিছু বেলুন দিয়ে ঘর সাজানোর চেষ্টা করলাম, আসলে হাতে সময় না থাকলে যা হয়। কি আর করা আমার বাচ্চারা এতেই মহা খুশি।
ইয়ানকে ছোট্ট স্টেজের সামনে দাড় করিয়ে ছবি তুলে নিলাম। দূর্দান্ত পোজ দিয়ে দাঁড়িয়েছে ছেলেটা।
এই হলো আমাদের ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর চকলেট কেক। বিশ্বাস করতে পারবেন না এটা ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে এবং বাচ্চারা বেশ তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে।
যখন সবকিছু গোছানো শেষ, দ্রুত আমাদের বিল্ডিংয়ের সমস্ত বাচ্চাদের ডাক দেয়া হলো। সবাই বেশ তড়িঘড়ি করে আমাদের বাসায় চলে এলো। এবার সবাইকে দাড় করিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম।
পুরো জন্মদিনের আয়োজনের মধ্যে এই সময়টা আমার সবথেকে সেরা সময় মনে হয়েছে। দেখুন কতটা অনাবিল হাসি ছড়িয়ে পরেছে বাচ্চাদের মুখে। আমার কলিজা সত্যিই শান্তির পরশ পেলো ওদের হাসিমাখা মুখ দেখে।
এই সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত যখন আমাদের কেক কাটা হচ্ছে। বাচ্চারা সবাই মিলে কেক কাটার আনন্দ উপভোগ করেছে। আমি তো জাষ্ট ওদের ছেড়ে দিয়ে চমৎকার মূহুর্তগুলো ছবি তোলার মাধ্যমে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছিলাম। সত্যিই আনন্দঘন একটি মুহূর্ত।
এরপর কেক খাইয়ে দেয়ার পালা। প্রথমেই ইয়ান তার বোন ইলমাকে কেক খাইয়ে দেয় এবং এরপর ধীরে ধীরে সবাইকে কেক খাওয়াতে থাকে। আর এক ফাঁকে সে নিজেও এক টুকরো কেক মুখে দিয়ে সাবার করে ফেলে 😄
যাইহোক এরপর কেক, মিষ্টি বিস্কুট, চানাচুর সহ অন্যান্য নাস্তা সবাইকে দেয়া হয়। এগুলো খাওয়ার পর বিরিয়ানি এবং ঠান্ডা পানীয় খাওয়া হয়। সবমিলিয়ে বাচ্চারা ভীষণ আনন্দ করেছে। তবে আমার কিছুটা মন খারাপ ছিল অতীতের কথা ভেবে আর অনুষ্ঠানটি আর একটু জাঁকজমকপূর্ণ করতে না পারার আক্ষেপে। যাইহোক সামনের দিনগুলোতে আমার সন্তান ভালো থাকুক এই কামনা করি এবং আপনারাও ইয়ানের জন্য দোয়া করবেন ❤️
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
প্রথমে আপনার ছেলেকে জানাই তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনার ছেলে মেয়ে দুজনেই দেখছি অনেক বেশি খুশি। তবে ভাবির অসুস্থতার কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। তিনি যেন ভালোভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এটাই কামনা করি। অসুস্থতার মধ্যেও তিনি সন্তানের মুখের হাসি দেখার জন্য বিরিয়ানি কেক সব কিছুরই আয়োজন করেছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। যেহেতু ভাবি এত যত্ন করে তৈরি করেছে অবশ্যই সুস্বাদু হবেই। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
ছবিগুলি বলে দেয় জন্মদিন খুব আনন্দে কেটেছে। তবে আপনার সঙ্গে যে পরীক্ষা চলে তা হয়তো কম বেশি সকলের সঙ্গেই চলে আজকাল। পরিস্থিতি খুবই প্রতিকূলে। তাই চিন্তা করবেন না। লড়াইতে জয়ী হবেনই। আপনার স্ত্রী এর জন্য প্রার্থনা করছি, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুন। হঠাৎ করে হাসপাতাল ছোটাছুটির ব্যাপার এসে পড়লে সেটা স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ নষ্ট করে। তাই সবকিছু মিটিয়ে উঠে আনন্দে থাকুন এই প্রার্থনাই করি। আর আমার তরফ থেকে ছোট্ট বাবুর জন্য জন্মদিনের বুক ভরা ভালোবাসা।
আজ স্টিমিট বয়ের তৃতীয় জন্মদিন ছিল জেনে ভীষণ খুশি হলাম। প্রথমেই ইয়ান বাবু কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ❣️ সময় যে কিভাবে চলে যায় বোঝা মুশকিল। শত ব্যাস্ততার মাঝে ও ইয়ান বাবুর জন্মদিন সুন্দর ভাবে করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো। বাচ্চাদের হাঁসি মাখা মুখ দেখলে মনের ভিতরে ভীষণ শান্তি কাজ করে। ইয়ান বাবু আগের থেকে অনেক ভালো আছে জেনে বেশি ভালো লাগলো। মন খারাপ করেন না সামনের দিন গুলোতে ভালো ভাবে ইয়ান বাবুর জন্মদিন পালন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে পরিক্ষা করে থাকেন। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনাই করি।
প্রথমেই ইয়ান বাবুকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছাএবং ইয়ান বাবুর জন্য খালামণির তরফ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।ভাবি অসুস্থ জেনে কষ্ট লাগলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন ভাবিকে সুস্থ করে তোলে।বাচ্চাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে বাচ্চারা অনেক আনন্দ করছিল। যাইহোক শত ব্যস্ততার মাঝেও জন্মদিন খুব আনন্দের মাঝে কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সৃষ্টিকর্তা যাকে বেশি ভালোবাসেন তাকেই পরীক্ষা করেন বিভিন্নভাবে এটা ঠিক বলেছেন ভাই।ইয়ান বাবু ও আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইল ভালো থাকবেন এই কামনাই করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
দোয়া করবেন ছেলেটার জন্য।
প্রথমেই জানাই ইয়ানকে জন্মদিনের শুভেচছা ও অভিনন্দন। আসলে বাচ্চারা জন্মদিন বলতে কেক আর বেলুন পেলেই মহা খুশি। আর নিজের তৈরি খাবারের তুলনা হয় না।বাচ্চারা বেশ আনন্দ পেয়েছে। আপনারা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রথমেই ইয়ানের জন্মদিনের জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই। হাসি-আনন্দে ভরে উঠুক তার জীবন।কোন কষ্ট যেনো না ছুতে পারে তাকে।সত্যিই ভাইয়া আমার আম্মু ও একথাটি বলেন,আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার উপর অনেক পরীক্ষা নিয়ে থাকেন।কখন ও ধৈর্যহারা হবেন না।আল্লাহই একদিন সবকিছু ঠিক করে দেবেন।মনের ইচ্ছা গুলো ও তিনি দেখবেন,আমিন।
ইয়ান বাবুকে প্রথমেই তার জন্মদিনের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা তার তৃতীয় জন্মদিন ছিল এটা শুনে খুব ভালো লেগেছে। দোয়া করি সব সময় যেন আপনার ছেলে মেয়ের মুখে এরকম হাসি সারা জীবন থাকে। তারা যেন মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে পারে এটাই কামনা। আপনার ছেলে এবং মেয়ের মুখের হাসি দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। তারা অনেক বেশি আনন্দিত দেখেই বুঝতে পারছি। তার জন্মদিনের মুহূর্তটা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করলাম। মুহূর্তটি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
ওদের হাসি মাখা মুখটা দেখার জন্য আমাদের এতো কিছু করা। দোয়া করবেন ওদের জন্য।
https://x.com/emranhasan1989/status/1812576870921281542?t=ltmkpiKyCnRwoJ8COUoEiQ&s=19
প্রথমেই ভাই আপনার স্ত্রী জন্য শুভকামনা রইল এবং সুস্থতা কামনা করছি। জেনে আমি অনেক খুশি হলাম গতকাল ইয়ানের জন্মদিন ছিল। ইয়ানের জন্য শুভকামনা ও উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। আপনার স্ত্রী অসুস্থ তারপরেও স্বাস্থ্যকর চকলেট কেক তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো, বাহিরের কেক এর তুলনায় বাসায় তৈরি কেক অনেক স্বাস্থ্য সম্মত। আপনার জন্য ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন ভাই।
ইয়ান বাবু কে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। এবং ওর জন্য অনেক দোয়া রইল। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই খুশি সবাই। ভাবী অসুস্থ জেনে খুবই খারাপ লাগলো। সুস্থতা কামনা করছি। অসুস্থতার মাঝে থেকেও ছেলের জন্মদিনের রান্না করেছে। আপনাদের পরিবারের সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।