নাটক রিভিউ: তোমার পিছু ছাড়বো না। || An exceptional Drama review post.
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে একটি নাটক রিভিউ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। ইদানিং একটু সময় পেলেই নাটক দেখতে বসে যাই। কারণ আমি এখন পরিবার থেকে দূরে রয়েছে এবং একাকি সময় পার করছি। মাঝে মাঝেই গভীর রাতে এই চমৎকার নাটকগুলো দেখে একাকী আপন মনে হাসতে থাকি অথবা গভীর কিছু উপলব্ধি নিয়ে ঘুমোতে যাই। তেমনি একটি চমৎকার নাটকের রিভিউ নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে পোস্ট করতে চলে এলাম, আশা করি নাটকটি আপনাদের খুব ভালো লাগবে তো চলুন দেখে নেওয়া যাক মূল গল্পটি।
নাটকের নাম: | তোমার পিছু ছাড়বো না। |
---|---|
পরিচালনা ও গল্প: | মুহাম্মদ মিফতা আনান |
অভিনয়ে:- | ফারহান আহমেদ, তাসনিয়া ফাহরিন এবং আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা। |
শ্রেনী | সামাজিক ও শিক্ষা মূলক। |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট। |
নাটকের শুরুতেই দেখা যায় নায়িকা ফাহরিন সিগারেট ধরিয়ে টান দিচ্ছে। এদিকে নায়ক ফারহান কাঁদতে কাঁদতে তার সামনে এসে দাঁড়ায় এবং জানায় একদল ছিনতাইকারী তার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ফাহরিন তাকে আশ্বস্ত করে তার টাকা সে ফিরিয়ে এনে দেবে। মূলত ফাহরিন নিজেও একজন ছিনতাইকারী এবং ফারহানের টাকা মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এর পরের দৃশ্যে ফাহরিন তাকে নিয়ে ছিনতাইকারী গুলোর কাছে যায় এবং তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এর মধ্যেই ফাহরিন কৌশলে ফারহানের টাকাগুলো সরিয়ে নেয় এবং খালি ব্যাগ ফারহানকে দিয়ে দেয়। কিন্তু ফারহানের ব্যাপারটা বুঝতেই পারেনি। সে মনের আনন্দে বাড়িতে এসে যখন তার মায়ের কাছে ব্যাগটি দেয় তখন তার মা সেটি খালি পায় এবং ফারহানকে ব্যাপক মারধর করতে থাকে, তার মা তাকে টাকাগুলো যেভাবেই হোক নিয়ে আসতে বলে।
এবার ফারহান তার টাকা উদ্ধারের জন্য ফারিনকে বিভিন্নভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ফাহরিন বাধ্য হয়ে ফারহানের টাকাগুলো ফেরত দেয়। আসলে টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার পর ফারহানের ভেতরে ফাহরিন এর প্রতি একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে। ফাহরিনকে সে ভালোবেসে ফেলে কারণ তার এমন একজন শক্ত মানুষ দরকার যে তাকে আগলে রাখতে পারে।
এরপর ফারহান বিভিন্নভাবে ফাহরিনকে ভালোবাসার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করতে থাকে।
এর পরের দৃশ্যে ফাহরিন ফারহানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় সে যদি ৫০ টা সিদ্ধ ডিম খেতে পারে তাহলে সে তাকে ভালবাসবে। ফারহান এই চ্যালেন্জ একসেপ্ট করে এবং সে ডিম খাওয়া শুরু করে। পরদিন ফারহানের পেট একদমই খারাপ হয়ে যায়।
এরপর ফাহরিন তাকে আবারো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। সে যদি ছিনতাই করে দেখাতে পারে তাহলে সে তাকে ভালোবাসবে। ফারহান আপ্রান চেষ্টা করে যায় কিন্তু কোন মানুষকে সে ছিনতাই করতে পারে না। অবশেষে একজন মানুষের হাতে সে বেশ মার খায়।
তার এই মার খাওয়া দেখে ফাহরিন ভীষণ আশ্চর্য হয়ে যায় এবং মন থেকে বিশ্বাস করে নেয় ফারহান তাকে সত্যিই ভালোবাসে। তাদের মধ্যে সত্যিই ভাব ভালোবাসা শুরু হয়ে যায়।
এর পরের দৃশ্যে দেখা যায় ফাহরিন সুন্দর করে সেজেগুজে ফারহানের মায়ের সামনে দাঁড়ায় কিন্তু ফারহানের মা তাকে চরমভাবে অপমান করতে থাকে, রাস্তার মেয়ে বলে। তখন ফাহরিন বেশ কষ্ট পেয়ে বলে তার পিতা-মাতা যদি তাকে রাস্তায় ডাস্টবিনে ফেলে না যেত তাহলে সেও হয়তো একটি সুন্দর জীবন যাপন করতে পারতো। যাই হোক ফারহানের মা তাকে চরম অপমান করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এদিকে ফারহান পাগলের মতো ছুটে যেতে চায় ফাহরিনের কাছে।
অবশেষে ফারহান এবং ফাহরিন দুজনেই কাজী অফিসে যায় বিয়ে করার জন্য কিন্তু তারা কোন সাক্ষী না পাওয়ার ফলে ফাহরিন একজনকে ছুরি ধরে জোরপূর্ব সাক্ষী বানায়। তারপর কাজী তার পিতা মাতার নাম জানতে চাইলে সে বলতে না পারায় কাজী জানায় তাদের বিয়ে হবে না। এরপর ফাহরিন কাজীকে ছুড়ি ঠেকিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে বিয়ে পড়াতে বাধ্য করে। সবশেষে দুজনের চমৎকার মিলনের মধ্য দিয়ে নাটকটি শেষ হয়।
নাটকটি এক কথায় অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।বিশেষ করে ফাহরিন এবং ফারহানের অভিনয় অসম্ভব ভালো ছিল এবং তারা চরিত্রের সাথে এত চমৎকারভাবে মিশে গিয়ে নাটকটি উপস্থাপনা করেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। আমাদের সমাজে ফাহরিনের মতো এরকম অসংখ্য মেয়ে রয়েছে যারা ফুটপাতে থাকে এবং সমাজ তাদের কোন ধরনের মূল্যায়ন করে না। ফারহান এখানে ফাহরিনকে ভালোবেসে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি দেখতেও যেমন ভালো লেগেছে তেমন এর শিক্ষনীয় অংশটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি মনে করি আপনারা যদি নাটকটি একবার দেখে আসেন তাহলে সত্যিই ভালো লাগবে সবার কাছে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। নাটকটা আমিও দেখেছি। খুব সুন্দর নাটক। তাসনিয়া ফারিনের নাটক আমার কাছে খুব ভালো লাগে। উনি অভিনয়টাকে একদম বাস্তবের মত করে মিল রেখে করতে পারে। আপনি নাটকের রিভিউটি প্রতিটা ধাপে ধাপে এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, যা আমার খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। শুভকামনা রইল।
ফারহান আহমেদ, তাসনিয়া ফারিন এর অভিনয় এই নাটকটিতে জাস্ট অসাধারন হয়েছে। আসলে এধরনের ভিন্ন রকম ধর্মী গল্পের নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। রাতের বেলায় চমৎকার একটি নাটক দেখেছেন। এই নাটকটি আমি বেশ কিছুদিন আগে দেখেছিলাম। ফারিন এর অভিনয় বেশ ভালো ছিলো। সমাজে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
ধন্যবাদ লিমন।
আমি দুজনের অভিনয় দেখে ভীষণ অবাক হয়ে গেলাম। বাস্তবতার সাথে মিল রেখে সুন্দর অভিনয় করেছেন তারা।
ভাইয়া নাটকটি আমার দেখার সুযোগ হয়েছে, আমি দেখেছি।আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছিল।দুজনের প্রানবন্ত অভিনয় ছিল।হাসিও পেয়েছিল দেখে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
নাটকটি আপনি দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো।
সত্যিই দুজনের প্রানবন্ত অভিনয় ছিল।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। এই নাটকটি অনেক সুন্দর হয়েছে৷ আর এই নাটকের সকল বিষয় আপনি খুবই ভালোভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷ আমি সময় করে এই নাটকটি অবশ্যই দেখে নেব৷ কারণ এটি অনেক সুন্দর হয়েছে বলে আমি মনে করি৷
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে নাটকটি রিভিউ করতে। আপনাদের ভালো লাগা আমার স্বার্থকতা।
ভাই কার পিছু ছাড়তে ছাড়ছেন না😄।
ভাই আপনি আজকে যে নাটকের রিভিউ করেছে নাটকটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। কিছু কিছু সময় মানুষ ভালোবাসা অন্ধ থাকে। আর তাই যেকোনো মূল্যে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে চাই। এই নাটকে ঠিক এমন কিছু তুলে ধরেছে। বিয়ের সাক্ষী কাজী কে ছুরি দেখিয়ে বিয়ে করেছে বাহ চমৎকার লেগেছে এই বিষয় গুলো আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
না ভাই আমি কারো পিছু আর নেই 😂
বরং আমার পিছু কেউ ছাড়তে চায় না 🤪
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1708912868882883046?t=2eZNFEcxb83FGToblDz9Lg&s=19
আসলে ঠিক বলেছেন ভাইয়া, একা থাকলে নাটক দেখলে ভালো লাগে। কিছুটা সময় উপভোগ করা যায়। যাক, এ নাটকটি আমি দেখেছি। ফারিনের গুন্ডা একটা ভাব আর জোভান তাকেই ভালোবেসে বসে থাকে।
এই নাটক টা কিছুদিন আগে আমি দেখেছিলাম আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছিলো।আজ আবার আপনি রিভিউ দিয়েছেন সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাই বেশ কিছুদিন আগে আমি ভাবছিলাম সময় কাটানোর জন্য একটি নাটক দেখব। আর তখন আমার এক ছোট ভাই, তোমার পিছু ছাড়বো না নাটকটির কথা বলেছিল দেখার জন্য। আর তখনই আমি নাটকটি দেখেছিলাম। সত্যিই ভাই ফারহান ও ফাহরিন দুজনে দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। তাদের চরিত্রটিকে নাটকের মধ্যে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেয়ার জন্য।