বাঙালি রেসিপি: পটল দিয়ে পাবদা মাছ রান্না।
পটল দিয়ে পাবদা মাছ রান্না |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আজকে একটা রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম। আসলে রেসিপি পোষ্ট করা বেশ ঝামেলার আর সময়ের অভাবে অনেক সময় করতে পারিনা। যাইহোক আমার গিন্নির সহযোগিতায় আজকের রেসিপি তৈরি করতে পারলাম।
কিছুদিন আগে বেশকিছু পাবদা মাছ কিনেছিলাম। গত শুক্রবার হুট করে পাবদা মাছ খেতে ইচ্ছে করলো, তাই চমৎকার খাবারটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এধরনের খাবারগুলোকে আমি তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি, কারন পেট পুরে খাওয়া যায়। যাইহোক চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপি শুরু করা যাক।
পটল | ৫০০গ্রাম | পাবদা মাছ | ৩০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
আলু | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
টমেটো | দুটো | কাঁচামরিচ | স্বাদমতো |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই পাবদা মাছগুলো কেটে ধুয়ে নিলাম এবং একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার টমেটো এবং পটল কেটে বাটিতে উঠিয়ে নিলাম। এরপর রান্নার সরঞ্জাম গুছিয়ে নিলাম।
প্রথমেই একটি পাতিল চুলায় চাপিয়ে দিলাম। এরপর সোয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম, তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম। এবার বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
এই ধাপে একে একে সমস্ত মসলা দিয়ে কষিয়ে নিলাম।
এবার টমেটোর টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম এবং মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম।
এবার পাবদা মাছগুলো দিয়ে দিলাম এবং মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার পটল এবং আলুর টুকরো দিয়ে মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম।
এবার পরিমান মতো ঝোল দিয়ে মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
এবার বিশ মিনিট তরকারিটি রান্না করলাম, ঝোল কিছুটা শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। এবার পরিবেশন করলাম।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
খাবারটি অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর। বেশ তৃপ্তি সহকারে সবাই খেলাম।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
হুট করে পাবদা মাছ খেতে ইচ্ছে করেছে আর পাবদা মাছ কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। পাবদা মাছ খেতে আমিও অনেক পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে খেতেও দারুন ছিল।
পাবদা মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ। খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। পটল টমেটো আলু এবং পাবদা মাছ দিয়ে পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। এধরনের খাবার গুলো তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছেন রেসিপি পরিবেশন দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
বাঙালি রেসিপি গুলো আমার অনেক বেশি পছন্দ। আপনি সব সময় বাঙালি রেসিপি গুলো উপহার দিয়ে থাকেন। পটল দিয়ে পাবদা মাছ রান্না দেখে খুবই ভালো লাগলো। পটল এবং টমেটো দিয়ে পাবদা মাছ রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। ভাই নিশ্চয়ই পরিবার নিয়ে জমিয়ে খেয়েছেন। রান্নার প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পটল আমার অনেক পছন্দের একটা সবজি। আর ঠিক তেমনি পাবদা মাছও আমার অনেক পছন্দের। কিন্তু আমি আগে কখনো এরকম ভাবে পটল দিয়ে পাবদা মাছ রান্না খাইনি। আপনার কাছে রেসিপিটা দেখে তো আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। আর অনেক ইউনিক লেগেছে রেসিপিটি দেখতে। পাবদা মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন, আমার কাছে তো অনেক সুস্বাদু লাগে। নিশ্চয়ই এরকম ভাবে রান্না করার ফলে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপিটা।
পাবদা মাছ খেতে আমি তেমন পছন্দ করি না। কিন্তু আজকে আপনার তৈরি আলু,পটল এবং টমেটো দিয়ে পাবদা মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। বিশেষ করে তরকারির কালারটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।মজাদারের রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
পটল দিয়ে পাবদা মাছের রেসিপি টা দেখে বেশ ভালো লাগলো। এই ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। সবজি দিয়ে পাবদা মাছ সেভাবে কখনো রান্না করা হয় না আমাদের বাসায়। বেশিরভাগ সময় পাবদা মাছ ভুনা করে খাওয়া হয়। রেসিপির কালারটা তো খুবই সুন্দর এসেছে। খেতেও নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাবদা মাছ খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি পটল এবং পাবদা মাছ দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন। তবে পটল দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। তবে অনেক সময় ভাই মন চায় পছন্দের মাছগুলো খেতে কমবেশি সবার। মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝেও উপস্থাপনা করেছেন।
পটল দিয়ে পাবদা মাছ রান্নার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো।পাবদা মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে পটল দিয়ে কখনো পাবদা মাছ খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপির পরিবেশন টা দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে । ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাবদা মাছ প্রায়ই খাওয়া হয় আমার।খুব সফট মাছ তাই খেতেও ভালো লাগে।তবে পটল দিয়ে কখনও রান্না করা হয়নি আমার। পটল সবজি এমনিতেই বেশী পছন্দ নয় আমার।তবে আপনি এতো চমৎকার করে রান্না করেছেন।আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই স্বাদের হয়েছিল। রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ জানাই মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।